সারা দেশ কাঁপিয়ে তোলা ভূমিকম্পে ঢাকার মেট্রোরেল ব্যবস্থায় কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার মেট্রোরেল নির্ধারিত সময়েই চলবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। আতঙ্ক ছড়ানো এই ভূমিকম্পে পুরান ঢাকার একটি ভবনের রেলিং ভেঙে পড়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে নিহত হন দুজন।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন আজ মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয় বিকেলে। ফলে ভূমিকম্পের সময় মেট্রোরেল চলছিল না। তবে ভূমিকম্পের পরপরই মেট্রোরেলের নির্মাণ-পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) রেল চলাচলের পথ এবং স্টেশন পর্যবেক্ষণ শুরু করে।

আরও পড়ুনভূমিকম্পে দুই শিশুসহ নিহত ৫, তিন জেলায় আহত দুই শতাধিক৩৯ মিনিট আগে

ডিএমটিসিএল এমডি ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ভূমিকম্পের পরপরই তারা লাইন, স্টেশন ভবনসহ স্থাপনা পরীক্ষা করেছেন।

‘এমনকি কিছু বিয়ারিং প‍্যাডও ইন্সপেকশন করা হয়। সমস্যা পাওয়া যায়নি। ফলে বিকেলে মেট্রোরেলে যথাসময়ে চলাচল করবে’, বলেন ফারুক আহমেদ।

চলাচল শুরুর আগে দুই দিক থেকে দুটি পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে বলেও জানান ফারুক আহমেদ। আজ মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয় দুপুরের পর। উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেনটি ছাড়ে বেলা ৩টায়, মতিঝিল থেকে ছাড়ে ৩টা ২০ মিনিটে। উত্তরা থেকে রাত ৯টায় শেষ ট্রেনটি ছাড়ে, মতিঝিল থেকে ছাড়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।

আরও পড়ুনমেট্রোরেলের চলাচল সময় রোববার থেকে বাড়ছে, আগামী মাসে বাড়বে ট্রিপও১৫ অক্টোবর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি’

‘ভূমিকম্প হওয়ার সময় বাসায় ছিলাম। টেবিলে বসে একটা উপন্যাস পড়ছিলাম। হঠাৎ টেবিলটা নড়ে উঠল। পরে খেয়াল করে দেখলাম ভবনটা দুলছে। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আবুল মুনছুর। চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকায় তাঁর বাসা। ভবনের পাঁচতলায় থাকেন তিনি।

দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামেও আজ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপরই আবুল মুনছুর ফেসবুকে লেখেন, ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।

আবুল মুনছুরের মতোই অভিজ্ঞতা আরেক চাকরিজীবী মোহাম্মদ সাইমুমের। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। সাইমুম বলেন, ‘ছুটির দিনে বাসাতেই ছিলাম। হঠাৎ খাটটা নড়ে উঠল। দুলতে থাকল কয়েক সেকেন্ড।’

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্প চলাকালে ও পরপরই নগরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ সড়কে নেমে আসেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিজ্ঞতার কথা জানান।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম থাকেন নগরের হালিশহর এলাকায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবনটা কাঁপছিল। অল্পতেই শেষ হয়ে গেছে। বড় দুর্যোগ হয়নি।’

চট্টগ্রামে কোনো ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের কোথাও ভবন হেলে পড়া বা দুর্ঘটনার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি’