নেইমার কাঁদলেন, সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপারটিও জানালেন
Published: 30th, June 2025 GMT
সান্তোসের অনুশীলনে ফেরার পর সম্প্রতি নেইমার একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শুধু তাঁর পরিবার ও বন্ধুবান্ধব। আর দশটা সংবাদ সম্মেলনের মতো হয়নি এ আলাপচারিতা। কাছের মানুষদের প্রশ্নের উত্তরে নেইমার কান্নায় যেমন ভেঙে পড়েছেন, তেমনি জানিয়েছেন এই বিশ্ব যদি আজই শেষ হয়ে যায়, তাহলে ব্যক্তিগত ও পেশাদার ক্যারিয়ার নিয়ে তাঁর কোনো আক্ষেপ থাকবে না।
শুধু তা–ই নয়, মাঠের বাইরে তাঁর জীবন ও আচরণ নিয়ে মানুষের সমালোচনা নিয়েও কথা বলেছেন নেইমার। জানিয়েছেন, লোকে তাঁকে যেভাবে বিচার করে, তাতে কখনো কখনো তাঁর কষ্ট লাগে, তবে ‘সবাই ভুল করে’, এ কথাও স্বীকার করেছেন নেইমার। বেশ খোলামেলা আলাপচারিতার এই সংবাদ সম্মেলনে নিজের জীবনে সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার কী হতে পারে, সেটাও জানিয়েছেন সান্তোস তারকা।
আরও পড়ুনমেসিকে হারানোর পর তাঁর জার্সি, শর্টস, জুতা—সবই নিয়ে গেলেন দেম্বেলে৮ ঘণ্টা আগেজীবন নিয়ে নেইমারের একটাই ভয়—এমন কোনো অসুখে পড়লেন, যেটায় ভুগে তাঁর স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গেল!
নেইমারের ভাষায়, ‘আমার একটাই ভয়, এমন কোনো অসুখ হলো, যেটায় ভুগে সবকিছু ভুলে গেলাম! স্মৃতিশক্তি হারানো, এটাই আমার একমাত্র ভয়। ভুলে গেলাম কে আমি, আমার গল্প কী, লিগ্যাসি কী, সারা জীবন যাদের সঙ্গে চলেছি, তাদেরও ভুলে যাওয়া; এই একটি ভয়ই পাই আমি।’
আমাদের জীবনে কী ঘটে, সেসব যারা বোঝে না তাদের এমন সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। আর ভুল সবাই করে। স্বপ্ন, আশা ও গল্প নিয়ে সবাই তো মানুষ।সান্তোস তারকা নেইমারব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হ্যান্ডলে গতকাল এই সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও পোস্ট করা হয়। যেখানে প্রথম প্রশ্নেই নেইমারকে কাঁদতে দেখা যায়। প্রশ্নটি ছিল, সান্তোসে ফেরার বিষয়ে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের যে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সাহায্য পেয়েছেন, তা নিয়ে। কেঁদেকেটে নেইমার ধরে আসা গলায় বলেন, ‘সান্তোসের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা, ঘরে থাকা, আমার জন্য বড় সুখের উৎস। ব্রাজিল থেকে অনেক বছর দূরে থাকার পর সান্তোসে ফিরতে পেরেছি, আমার শহরে ফিরেছি। বন্ধুদের কাছাকাছি থাকতে পারছি। তোমরাই আমার শক্তির উৎস। আমি যা কিছুর মুখোমুখি হয়েছি, সেসব তোমাদের প্রেরণাতেই।’
সান্তোসের অনুশীলনে নেইমার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নিলে আসবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড সবুজ সংকেত দিলেই কাতার থেকে রয়্যাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী জানান, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। লন্ডনযাত্রার জন্য তিনি এখনো ফ্লাই করার মতো সক্ষম নন। জুবাইদা রহমানও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য।