সরকারের ব্যাংক ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে
Published: 30th, June 2025 GMT
সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিট ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় যা ২০ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা কম। অবশ্য অর্থবছরের শুরুর তুলনায় শেষ দিকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। মূলত সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমা এবং রাজস্ব আদায়ে গতি না থাকায় এমন হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ জুন পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকে অনেক বেড়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণ স্থিতি ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা বেড়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০৫ কোটি টাকায় ঠেকেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগের দায় পরিশোধ হয়েছে ৫১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ঋণ স্থিতি কমে ১ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকায় নেমেছে। এর মানে এ পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৯৯ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.
ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের বাইরেও সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে থাকে। ব্যাংক ব্যবস্থার বাইরে থেকে সরকার আরও ৪৬ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎসে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৯১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ কমানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২৪-২৫ অর্থবছর মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশ এবং চলতি অর্থবছর সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মূলত এ কারণেই বাণিজ্যিক ব্যাংক ও অন্য বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিশোধ করা হচ্ছে। অবশ্য এ সময়ে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংকে বিপুল অঙ্কের ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঋণ সরক র র ঋণ ক ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
পুনরায় রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের আবেদন আহ্বান
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের কাছে পুনরায় আবেদন দাখিলের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে এ রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে: নাহিদ
শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার
বিভাগটি থেকে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন দাখিল করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে মামলার বর্তমান অবস্থা, এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের পরিষ্কার ফটোকপি সংযুক্ত করার অনুরোধ করা হলো।
দেশে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ অসংখ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হয়রানিমূলক বা কথিত ‘গায়েবি মামলা’ যাচাই করে প্রত্যাহারের উদ্যোগ চলমান।
এর আগে, সলিসিটর অনুবিভাগ থেকে দেশের সব পাবলিক প্রসিকিউটর ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরদের এসব মামলার তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিষয়টি আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে জাতীয় দৈনিকগুলোতে গণবিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়।
সরকারি সূত্র জানায়, বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত মামলার তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় পর্যায়ে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। ধাপে ধাপে আরো মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী