2025-08-02@00:54:30 GMT
إجمالي نتائج البحث: 91

«সরক র র ঋণ»:

    সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিতরণ করা ব্যাংকঋণ খেলাপি হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ক্ষমতাচ্যুত দলটির শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ীদের অনেকেরই ঋণ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আবার দেশের অর্থনীতিতে বর্তমান মন্দাবস্থার কারণেও বহু ব্যবসায়ীর ঋণ খারাপ হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া নতুন নীতিমালার কারণেও খেলাপি ঋণ বাড়ছে। ভালো-খারাপ প্রায় সব ব্যাংকেই খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে সর্বশেষ জুন মাসের শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ২৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের বিতরণ করা মোট ঋণের প্রায় চার ভাগের এক ভাগের বেশিই ইতিমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে। গত মার্চের শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। তখন খেলাপি ঋণের হার ছিল ২৪ দশমিক ১৩...
    চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ কোটি টাকায়। সেই হিসাবে আগামী বছর ঘোষিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে নির্বাচিত সরকারের কাঁধে শুরুতেই বড় অঙ্কের ঋণের বোঝা চাপবে।অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে সরকারের দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৩ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে দেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়াবে ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা; আর বিদেশি ঋণের স্থিতি ১০ লাখ ১৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেট উপলক্ষে অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তিন বছর মেয়াদি মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি-বিবৃতি পর্যালোচনায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিবৃতিতে অর্থ বিভাগ প্রাক্কলন করেছে, ২০২৬-২৭ অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২৬ লাখ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তার পরের বছর...
    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিভিন্ন বিদেশি উৎস থেকে অর্থবছরের শেষ সময়ে বিপুল পরিমাণের ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে অভ্যন্তরীণ উৎসে ঋণ কমেছে। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুধু শেষ দিনই ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকার আগের দেনা কমিয়েছে ৬ হাজার ১১১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গত অর্থবছর ব্যাংক খাতে নিট ঋণ বেড়েছে ৭২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও যা ২৬ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা কম। যা গত চার অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। প্রতি বছরের বাজেটে সরকার অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। রাজস্ব আদায় কমায় অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বেশি ঋণ নিতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায় কমে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকায় নেমেছে।...
    সদ্য বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিট ৭৮ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় যা ২০ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা কম। অবশ্য অর্থবছরের শুরুর তুলনায় শেষ দিকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। মূলত সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমা এবং রাজস্ব আদায়ে গতি না থাকায় এমন হয়েছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ জুন পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের জুন পর্যন্ত ঋণ ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সামগ্রিকভাবে সরকারের ঋণ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকে অনেক বেড়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণ স্থিতি ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা বেড়ে ৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০৫ কোটি টাকায় ঠেকেছে।...
    উচ্চ সুদহারের পাশাপাশি ব্যাংক খাতে উচ্চ খেলাপি ঋণ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে বর্তমানে টাকা-ডলার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা ব্যবসায়ীদের কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ব্যাংক খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ: ঋণ গ্রহীতার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে ব্যবসায়ীদের বক্তব্যে এমন মত উঠে আসে। ব্যাংক খাত নিয়ে আলোচনায় গ্যাস সংকটসহ ব্যবসায়ীদের অন্য সমস্যাও তুলে ধরেন বক্তারা।  অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আইসিইউ থেকে দেশের অর্থনীতি টেনে তুলেছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। তিনি মনে করেন, সুদহার ছাড়াও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের নানা পন্থা রয়েছে। তবে চীন ছাড়া সারা বিশ্ব এ নীতি থেকে বের হতে পারছে না। বর্তমান অবস্থায়...
    দেশের ব্যাংক খাত এখন সংকটকাল পার করছে। একদিকে খেলাপি ঋণ বাড়ছে, অন্যদিকে ঋণপ্রবাহে স্থবিরতা। আবার উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থনীতি ও ব্যবসার পরিবেশ সংকুচিত হচ্ছে। আর্থিক খাতের এ রকম অব্যবস্থাপনা থেকে উত্তরণে কাঠামোগত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ আজ শনিবার এক সেমিনারে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ দশমিক ২ লাখ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২৪ শতাংশের বেশি। এর সঙ্গে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আর্থিক খাতে অস্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা ও খেলাপি ঋণ আদায়ের ধীরগতি আমাদের শিল্প উৎপাদনসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।’রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে ‘ব্যাংক খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ: ঋণগ্রহীতার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টার...
    সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ থাকলেও বাস্তবে অনেক উদ্যোক্তা এখনও আনুষ্ঠানিক ঋণ পাওয়ার বাইরে। তথ্যের ঘাটতি, ঋণ ইতিহাসের অনুপস্থিতি, জামানতের অভাব ও দুর্বল ব্যবসা পরিকল্পনা এ খাতে অর্থায়নের প্রধান বাধা সমকাল: দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদানকে আপনি কীভাবে দেখেন?  কামরুল মেহেদী: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাত একটি শক্তিশালী ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। প্রায় ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থান এ খাতের গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যদিও কভিড-১৯-পরবর্তী সংকট, মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার চাপ এসএমই খাতকে সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা দুর্বল করেছে, তবুও এটি এখনও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি।  সমকাল: এসএমই খাতে সিটি ব্যাংকের সম্পৃক্ততা জানতে চাই কামরুল মেহেদী: আমাদের প্রতিষ্ঠান এসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন, পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সহায়তার মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এসএমই ডেস্কের মাধ্যমে ঋণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা প্রদান, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আর্থিক সাক্ষরতা বাড়ানো...
    অনেক সময় উদ্যোক্তারা ঋণের শর্তাবলি ঠিকভাবে বুঝতে পারেন না।  যার ফলে সঠিকভাবে আবেদন করতে পারেন না। রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এ ক্ষেত্রে খুবই উপকারী হতো বেসরকারি প্রাইম ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এম. নাজিম এ. চৌধুরী মনে করেন, বাংলাদেশে এসএমই উদ্যোক্তা বিশেষত ক্ষুদ্র এবং নতুন উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার বাস্তব চিত্র এখনও বেশ চ্যালেঞ্জিং। যদিও এ খাতে ঋণের চাহিদা অনেক, তবে অনেক উদ্যোক্তা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ঋণ পাওয়ার জন্য প্রস্তুত নন। বিশেষ করে অনেকেরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ট্রেড লাইসেন্স কিংবা ট্রানজেকশন রেকর্ড নেই, যা ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার অন্যতম শর্ত। ব্যাংকের প্রথাগত ঋণ প্রক্রিয়া এবং জটিল কাগজপত্রের কারণে নতুন বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সহজেই পিছিয়ে পড়েন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য চিত্রটি আরও কঠিন, কারণ তারা পরিবার বা সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রয়োজনীয় সাহায্যটুক অনেক ক্ষেত্রে পান না। ...
    এই প্রথম দেশের রাজস্ব আয়ের চেয়ে পরিচালন ব্যয় বেশি হতে যাচ্ছে। ফলে সরকারকে ঋণ করে বেতন, ভর্তুকি ও সুদ পরিশোধ করতে হবে। এটা দেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদেরা। তাই অর্থনীতির স্বার্থে এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউশনের (পিআরআই) বাজেট পর্যালোচনা সভায় এই উদ্বেগের কথা জানান অর্থনীতিবিদেরা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে পিআরআই কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন। পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান প্রমুখ।অনুষ্ঠানে জাইদি সাত্তার ও আশিকুর রহমান যৌথভাবে দেশের অর্থনীতির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এ সময় আশিকুর রহমান বলেন,...
    ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা সঞ্চয়পত্রে হঠাৎ সরকারের ঋণ বেড়েছে। গত এপ্রিলে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে। যদিও আগের মাসগুলোতে অনেক কমায় চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১০ মাসে ৭ হাজার ৪৩১ কোটি টাকার ঋণ কমেছে বলে সঞ্চয় পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় তিন বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের সঞ্চয় ক্ষমতা কমেছে। এর মধ্যে ২০২২ সাল থেকে ব্যাংক খাতে ব্যাপক তারল্য সংকট সৃষ্টি হওয়ায় আমানতের সুদহার বেড়ে যায়। ট্রেজারি বিল, বন্ডের সুদহারও অনেক বেড়েছে। ট্রেজারি বিল, বন্ডে বেশ কিছুদিন ধরে সুদহার রয়েছে ১২ শতাংশের আশপাশে। আবার ট্রেজারি বিল, বন্ডের মুনাফার ওপর কোনো কর কাটা হয় না। এখানে যে কোনো পরিমাণের বিনিয়োগ করা যায়। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ৫ থেকে ১০ শতাংশ কর কাটা হয়। এসব...
    বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল বাবদ অর্থ পরিশোধ ৪ বিলিয়ন বা ৪০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এযাবৎকালের মধ্যে সরকারকে বিদেশি ঋণ পরিশোধে সর্বোচ্চ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, চলতি অর্থবছর শেষে বিদেশি ঋণ শোধের পরিমাণ ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে।অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) পক্ষ থেকে আজ রোববার প্রকাশিত বিদেশি ঋণ পরিশোধ–সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থছরের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের সুদ ও আসল বাবদ সরকার পরিশোধ করেছে ৩৭৮ কোটি মার্কিন ডলার। যেখানে গত অর্থবছরের পুরোটা সময়ে বিদেশি ঋণের আসল ও সুদ বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩৩৪ কোটি ডলার।ইআরডির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের প্রথম...
    বাংলাদেশের জন্য নতুন করে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বাংলাদেশের সরকারি খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে এ ঋণ দেবে। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ৩৭ পয়সা হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৬ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, সরকারের শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করা ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিস্থাপকতা উন্নয়নে সহায়তা করবে এ ঋণ। সরকারি ও আর্থিক খাতের সংস্কারকে সমর্থন করবে এ ঋণ, যা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ সংস্কারগুলো ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলোর জন্য উন্নত পরিষেবার ভিত্তিও স্থাপন করবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেছেন, সরকার তার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো উন্মুক্ত এবং জবাবদিহিতামূলক করার জন্য উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেন তারা জনগণকে আরো ভালো সেবা দিতে পারে। এই অর্থায়ন সরকারের নীতিমালা এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে...
    আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ হু হু করে বেড়ে গেছে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদেও খেলাপি ঋণ বাড়ত। খেলাপি ঋণ কম দেখাতে তখন নানা কৌশল বেছে নেওয়া হতো। প্রতিটি নির্বাচনের আগে বিশেষ ব্যবস্থায় খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশীয় বা বৈশ্বিক যেকোনো সংকট হলেই ছিল বিশেষ ব্যবস্থা—নির্দিষ্ট সময়ের ঋণ পরিশোধ করা না হলেও খেলাপি করা হতো না। এরপরও আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে খেলাপি ঋণ বেশ বেড়েছিল।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে, তখন মোট খেলাপি ঋণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। গত বছরের আগস্টে সরকার পতনের আগে জুন শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের...
    লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণের আসল চিত্র প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে করে মন্দ ঋণ যেন লাফিয়ে বাড়ছে। গত মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের চার লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা বা ২৪ দশমিক ১৩ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে দশ ব্যাংকেই রয়েছে প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।  সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত সরকারের সময়ে অনিয়ম-জালিয়াতির শীর্ষে থাকা ব্যাংকগুলোই রয়েছে এ তালিকায়। সরকার ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন ব্যাংকে একক আধিপত্য বিস্তর করে নামে-বেনামে বিভিন্ন উপায়ে আমানতকারীর টাকা আত্মসাৎ করেন; যার একটি বড় অংশ পাচার করা হয়। ফলে এসব ঋণ আর ফেরত আসছে না। গত ৫ আগস্টের আগে টাকা ফেরত না দিয়েও ঋণ নিয়মিত দেখানোর যে ব্যবস্থা ছিল তাও বন্ধ হয়েছে। এসব কারণে লাফিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ।  পরিমাণ বিবেচনায়...
    দেশের ব্যাংকিং খাত দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থাপনা, রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্বল তদারকি ও নানা আইনি জটিলতার কারণে সংকটে আছে। সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংকিং খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একীভূত করা হবে পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক। এর মধ্যে আগের সংকটের রেশ ধরেই ঋণ খেলাপি হওয়ার পাশাপাশি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে মন্দ ঋণ। শুধু মন্দ ঋণের পরিমাণ বাড়ছে, তা নয়; এসব মন্দ ঋণ আদায়ের সম্ভাবনাও খুবই কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে দেশের ব্যাংকগুলোর মন্দ ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণ খেলাপির ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ সময়ে ঋণ খেলাপির পরিমাণ ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। উল্লিখিত সময়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ১৭ লাখ ৪১...
    নীতি সহায়তার নামে মন্দ ঋণ নিয়মিত দেখানোর সুযোগ বন্ধের পর যেন লাফিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। গত ১৫ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে প্রায় তিন গুণ হয়েছে। মার্চ প্রান্তিক শেষে বিরূপ মানে শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। খেলাপি ঋণ যে এভাবে লাফিয়ে বাড়বে তা আগেই ধারণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গত আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পরই তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ অনেক বাড়বে। গত ফেব্রুয়ারিতে আগের সেই কথা স্মরণ করিয়ে বলেন, খেলাপি ঋণ আরও বাড়বে। কোনো তথ্য লুকিয়ে রাখা হবে না। তবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আবার কমবে। এ ছাড়া নতুন করে...
    দেশের ব্যাংক-আর্থিক খাতের খেলাপি ঋণ বেড়ে চলতি বছরের মার্চ শেষে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। ৩ মাস আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।   রবিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ শেষে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এ সময় বিতরণ করা ঋণের ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা বা  ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। আরো পড়ুন: ঈদের...
    বিদায়ী সরকারের সময় অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ছে। আবার ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ–ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অনেক ঋণ অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। এতে গত মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। অর্থাৎ বিতরণ করা ঋণের চার ভাগের এক ভাগই খেলাপি হয়ে পড়েছে। তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে পৌনে এক লাখ কোটি টাকা।গত ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। ফলে তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা।আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বা ওই তিন...
    লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় আরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। মার্চে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য আমরা লুকিয়ে রাখবো না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আদায় জোরদারের মাধ্যমে কমানো হবে। নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপি না হয় সে জন্য বিভিন্ন আইনি কঠোরতা আনার কথা জানান তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল অর্থ বের করে নিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক।...
    সরকারি পাঁচ সংস্থার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কর্মদক্ষতা বাড়াতে বাংলাদেশের জন্য ২৫ কোটি ডলারের অর্থায়ন অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড এ অর্থায়ন অনুমোদন করে। বিশ্ব ব্যাংক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে কবে এ অর্থায়ন প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ‘স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টাবিলিটি (সিটা)’ বা প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের নামে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটির আওতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিকল্পনা বিভাগ, সরকারি ক্রয় কর্তৃপক্ষ (বিপিপিএ) এবং মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কার্যক্রমকে আধুনিক ও ডিজিটাল রূপ দেওয়া হবে। এতে তথ্যের স্বচ্ছতা, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, ক্রয়...
    বাংলাদেশে সরকারি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দক্ষতা বাড়াতে ২৫০ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি ডলারের ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকদের পর্ষদে এই অর্থ অনুমোদন করা হয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিকল্পনা বিভাগ, সরকারি ক্রয় কর্তৃপক্ষ (বিপিপিএ) ও মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিএজি)।প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো, সরকারি কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দুর্নীতি কমানো, সেবা আরও জনবান্ধব করা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা বাড়ানো। খবর বিজ্ঞপ্তিবাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান গেইল মার্টিন বলেন, ‘প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে আমরা সরকার পরিচালনার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে চাই। এতে দুর্নীতি হ্রাসের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য সরকারি সেবা আরও সহজলভ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হবে।’বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই...
    দেশের ব্যাংক খাতে গ্রাহকের আমানত হিসাব যেভাবে বাড়ছে, ঋণ হিসাব সেভাবে বাড়ছে না। আবার ঋণের গতিও কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর–ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় এ বছরের জানুয়ারি–মার্চে ব্যাংকগুলোয় গ্রাহকের ঋণ হিসাব যেখানে বেড়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪২১টি, সেখানে আমানত হিসাব বেড়েছে তার প্রায় পাঁচ গুণ তথা ২৪ লাখ ৫৯ হাজার ২৮৯টি।দেশের ব্যাংকগুলোতে ঋণ হিসাবের চেয়ে আমানত হিসাব ১২ গুণ বেশি। হিসাবপ্রতি মাথাপিছু যে আমানত রয়েছে, হিসাবপ্রতি ঋণ আছে তার চেয়ে ১১ গুণ বেশি। ব্যাংক খাতের আমানত ও ঋণ হিসাবসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোতে গত জানুয়ারি-মার্চ ৩ মাসে প্রতি কর্মদিবসে গড়ে ২৭ হাজার ৩২৫টি নতুন গ্রাহক হিসাব খোলা হয়েছে। তাতে মার্চের শেষে দেশের ৬১টি ব্যাংকের ১১ হাজার ৩৬২টি শাখায়...
    ঋণ করে ঘি খাওয়ার প্রবণতা দেশের মানুষকে ঋণের ফাঁদে আটকে ফেলেছে। এবারও সরকার এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গতকাল সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট এক বিবৃতিতে বলেছে, ঋণের সুদ পরিশোধ, জনপ্রশাসন এসব খাতেই বাজেট বরাদ্দের বিরাট অংশের টাকা চলে যাচ্ছে। সরকার প্রয়োজনে এই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব সম্পদের ওপরে ভর করে বাজেট প্রণয়নের ধারাকে একটা দৃশ্যমান ধারা হিসেবে সামনে নিয়ে আসার কাজটি করতে পারত। অন্তর্বর্তী সরকার পুঁজিবাদী ধারাটি দেশের নিয়তি হিসেবে ঘোষণা করল।গতানুগতিক পথে হেঁটে যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, তা সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে না বলে মনে করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই...
    নগরের খাল ও নালা পরিষ্কার রাখতে যন্ত্রপাতি কেনার জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পের পুরো টাকাটা সরকারি বরাদ্দ হিসেবে চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।  সোমবার দুপুরে নগরের কালামিয়া বাজার ইসহাকেরপুল এলাকায় বির্জাখাল পরিদর্শনে গিয়ে সরকারের কাছে এই দাবি জানান তিনি। মেয়র জানান, নগরের ৫৭টি খাল ও ১৬০০ কিলোমিটার নালা পরিষ্কার রাখার জন্য যন্ত্রপাতি কিনতে ২০২২ সালে ৩৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছিল। প্রকল্পটির ১০০ কোটি টাকা কাটছাট করে ২৯৮ কোটি টাকা করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৬০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিতে চায় সরকার। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পটিতে ১৬০ কোটি টাকা ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে সরকার। সিটি করপোরেশন একটা সেবাদানকারী সংস্থা। ঋণ হিসেবে দিলে এটা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যে ২৯৮ কোটি টাকা ছাড়...
    অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বের শুরুর দিকে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ ছিল খুব সামান্য। দিন যত যাচ্ছে, ঋণ বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের ২১ মে পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। গত জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থবছরের ৭ মাসে যেখানে ছিল মাত্র ১৩ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। আশানুরূপ রাজস্ব আদায় না হওয়া, সঞ্চয়পত্রে ঋণ না বেড়ে উল্টো কমে যাওয়া এবং বিদেশি উৎস থেকে ঋণ ছাড় কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে শেষ সময়ে ব্যাংক ঋণ বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এদিকে আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ঋণ লক্ষ্যমাত্রা ২৫ শতাংশের মতো কমিয়ে এক লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা করতে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে...
    মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সড়ক নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় জাপানের ঋণ স্থগিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা বাংলাদেশ সরকারকে দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে (ইআরডি) দেওয়া জাইকার চিঠিতে ৪ জুনের মধ্যে সাতটি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়। যথাসময়ে উত্তর না দিলে ঋণ স্থগিতের কথা বলা হয়। সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো কর্মকর্তা বলছেন, রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে একজন প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছে। বিষয়টি সরকারিভাবে জাইকাকে জানানোর পর সংস্থাটি ঋণ স্থগিত করতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে। কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে জাপানের ঋণসহায়তায় সরকার গভীর সমুদ্রবন্দর ও ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। ২০১৩ সালে কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পটি নেওয়া হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫৭ হাজার কোটি...
    দেশের ব্যাংক হিসাবের শূন্য দশমিক ১ শতাংশ হিসাবধারীর কাছে ব্যাংকের মোট আমানতের প্রায় ৪২ শতাংশ অর্থ জমা রয়েছে। এ ধরনের ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি টাকা বা তার বেশি অর্থ জমা রয়েছে। ২০১৯ সালে এসব ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ব্যাংকের মোট আমানতের ৪৪ দশমিক ৩ শতাংশ অর্থ। দেশের ১১ হাজার ৩০০টির বেশি ব্যাংক শাখার তথ্য সংগ্রহ করে এই চিত্র পেয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা পিআরআই। গবেষণায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পিআরআই বলছে, দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে গ্রাহকের যে ঋণ হিসাব রয়েছে, তার মধ্যে ১ দশমিক ২ শতাংশ হিসাবের বিপরীতে কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। এই অল্পসংখ্যক হিসাবেই বিতরণ করা হয়েছে মোট ব্যাংকঋণের ৭৫ শতাংশের বেশি অর্থ। পিআরআইয়ের গবেষণায় পাওয়া তথ্যে বলা হচ্ছে, গত পাঁচ বছরে দেশের...
    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের তরুণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ জন্য তিনি ‘মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি’ আইন করার কথাও বলেছেন।আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।এ সময় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এই ব্যাংক প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর মতো হবে না। ব্যাংক চলবে বিশ্বাস ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে। ঋণ নিতে জামানত লাগবে না। এর পাশাপাশি এই ব্যাংকের বড় উদ্দেশ্য হবে সামাজিক ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেওয়া।’প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা। আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার সরঞ্জাম তাঁর হাতে তুলে দেব। বিনিয়োগের টাকা পেলে মানুষ, বিশেষ করে তরুণেরা নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে ব্যবসা চালু করতে পারবে।’ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস...
    বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ছয় হাজার কোটি টাকা ঋণ পাওয়ার বিষয় অনেকটা নিশ্চিত করেছে সরকার। গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে এই ঋণের বিষয়ে সম্মতি পাওয়া গেছে। চলতি মাসে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তি হবে। জুনের পর ঋণ পাবে সরকার। অর্থ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।   রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইআরডির বিশ্বব্যাংক অনুবিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) এ কে এম শাহাবুদ্দিন। অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের প্রতিনিধি এবং বিশ্বব্যাংকের ১২ সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এতে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর। সংস্থাটির যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের প্রধান কার্যালয় থেকে যুক্ত ছিলেন তাদের আইন বিভাগের প্রতিনিধিরা। বৈঠক...
    বাজেট–ঘাটতি মেটাতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে কম ঋণ নেবে সরকার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এ লক্ষ্যমাত্রা মোট বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। আগামী অর্থবছরেও তা-ই থাকছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার হতে পারে। এ বাজেট থেকেই ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আগামী অর্থবছরে আড়াই লাখ কোটি টাকার নিচে নামিয়ে আনা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি উৎস থেকে এ ঋণ নেওয়া হবে। বাজেট প্রণয়নের মূল দায়িত্বে থাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজেট–ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যমাত্রা প্রতি অর্থবছরেই মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশের আশপাশে রাখা হয়। কখনো ৫ শতাংশের একটু বেশি থাকে বাজেট–ঘাটতি, কখনোবা ৫ শতাংশের কম। তবে আগামী অর্থবছরে বাজেট–ঘাটতি ৪ দশমিক ২ শতাংশ রাখা হতে...
    কয়েক সপ্তাহ ধরে জোরালো জল্পনা-কল্পনা। সেটা হলো, বাংলাদেশ কঠিন শর্তাবলির ভয়ে এবং সেগুলোর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাবের কথা বিবেচনায় নিয়ে আইএমএফের বিদ্যমান ঋণ কর্মসূচি থেকে সরে আসার কথা ভাবছে। কিন্তু আমার মত, এমন সিদ্ধান্ত ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন এবং শুধু তাই নয়, দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য তা ক্ষতিকর। শুধু ঋণের তাৎক্ষণিক খরচের দিকে না তাকিয়ে বরং এই কর্মসূচির কৌশলগত সুবিধাগুলোর দিকে নজর দেওয়া জরুরি, বিশেষ করে ব্যাংকিং খাত, করব্যবস্থা, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও বিনিময়হার নীতির মতো দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত কাঠামোগত সংস্কারে চাপ তৈরি করার কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে আইএমএফের শর্ত।এ কথা সত্য, ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতির সাপেক্ষে খুব বড় অঙ্ক নয়, এই অর্থও আবার কয়েক ধাপে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই কর্মসূচিকে শুধু আর্থিক লেনদেন হিসেবে দেখা হলে আমরা...
    অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কঠিন শর্ত মেনে আমাদের অবস্থা পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো হোক সেটা চাই না। আইএমএফ এর শর্ত পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চলছে।” রবিবার (৪ মে) ইতালির মিলানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৫৮তম বোর্ড অব গভর্নর্সের বার্ষিক সভা শেষে এসব কথা বলেন। এর আগে অর্থ উপদেষ্টা এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ওয়াং এর সঙ্গে আলোচনা করেন। উপদেষ্টা শনিবার ঢাকা থেকে ইতালির মিলানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে সেদিনই ইতালি পৌঁছান। আরো পড়ুন: আজারবাইজানের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়াতে সম্মত প্রধান উপদেষ্টা বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনসংস্কৃতি উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করার জেরে তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি, যা জানা যাচ্ছে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে...
    শাহজাদপুরে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পাওয়ানাদারকে সরকারি খালের পাশে ৫০টি গাছ বিক্রি করে টাকা নিতে বলেন দাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. সেলিম। পাওয়ানাদার হাজি রাসেল ব্যাপারী গাছগুলো আবু তালেবের কাছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। ১৪টি গাছ কাটার পর এলাকাবাসীর বাধার মুখে চলে যান আবু তালেবের লোকজন। জালালপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের সুজাবুল আলম ও তাঁর ভাই মো. সেলিম সরকারি জলাশয় ২ বছরের জন্য ইজারা নেন। জলাশয়ে পানি না থাকায় মাছ চাষ করা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় লিজের তথ্য গোপন করে একই গ্রামের হাজি রাসেলের কাছে সাব-লিজ দেন সেলিম। বিষয়টি বুঝতে পেরে রাসেল টাকা ফেরত চান। সেলিম জলাশয়ের পাড়ের ৫০টি ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি করে টাকা নিতে বলেন। তাঁর কথামতো স্থানীয় ব্যাপারী আবু তালেবের কাছে ২ লাখ ৬০...
    জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, সরকার রাজস্ব আয় না বাড়িয়ে এবং বেশি ঋণের মাধ্যমে বেশি ব্যয় করে ‘গণি মিয়ার’ মতো সমস্যায় পড়তে চায় না। অবশ্যই আমাদের ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য থাকতে হবে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সামষ্টিক অর্থনীতির অংশীদারত্ব ও রাজস্ব পদক্ষেপ নিয়ে যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে ইআরএফ এবং ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা এফআইসিসিআই।ইআরএফ–এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ। ফরেন চেম্বারের পক্ষে বক্তব্য দেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুল কবির। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার।অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান...
    খামারিদের স্বল্প সুদে ঋণ দিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “কৃষি ও প্রাণিসম্পদ আলাদা নয় বরং অবিচ্ছেদ্য। তাই কৃষকদের মতো প্রাণিসম্পদ লালন-পালনকারীদের সব সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।ইতোমধ্যেই প্রাণিসম্পদ খামারিদের জন্য পৃথক ব্যাংক তৈরির বিষয়ে সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি খামারিদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যেও মন্ত্রণালয় কাজ করছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) আয়োজিত ‘Strengthening Partnership for Innovation in Livestock Research and Development’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। আরো পড়ুন: সলেমানের সোলার পাম্পে উপকৃত ১১০০ কৃষক, সাশ্রয় একরে ৪০০০ টাকা গাজীপুরে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের কৃষির উন্নতি হয়েছে সত্যি, কিন্তু একই সাথে গোখাদ্য নষ্ট হচ্ছে-এমন মন্তব্য করে...
    বাংলাদেশ এখন আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আইএমএফের সব শর্ত মেনে আমরা ঋণ নিতে চাই না। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন এ কথা বলেন। চলতি মাসে ঢাকায় আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সফরে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩০ কোটি ডলার ছাড়ের বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। মুদ্রার বিনিময় হার অধিকতর নমনীয় করা ও কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের সমঝোতা হয়নি। সম্প্রতি আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরসহ সরকারের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। অর্থ উপদেষ্টা...
    বে টার্মিনাল নির্মাণ ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বিশ্ব ব্যাংক ৮৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে।  এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) মধ্যে পৃথক দুটি চুক্তি সই হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল এইচ. মার্টিন চুক্তিপত্রে সই করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার উপস্থিত ছিলেন।  চুক্তির আওতায় বিশ্ব ব্যাংক বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল মেরিন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে। এছাড়া, সামাজিক সুরক্ষা জোরদার প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০০ মিলিয়ন ডলার দেবে। বিশ্ব...
    গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ ও শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশকে ৮৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে গতকাল দুটি চুক্তি সই করেছে সংস্থাটি।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বে টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা ও জাতীয় সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থার আধুনিকীকরণে সহায়তা করার লক্ষ্যে দুটি চুক্তি সই করেছে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ। মোট ৮৫ কোটি ডলারের দুটি ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশবিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, টেকসই উন্নয়নের ধারায় টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশে মান শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে প্রতিবছর শ্রমবাজারে যে প্রায় ২০ লাখ তরুণ প্রবেশ করছেন, তাঁদের জন্য এই শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টি অত্যাবশ্যক। এ ছাড়া এই ঋণের অংশ হিসেবে বাণিজ্য ও রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি...
    রাশিয়ার ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর আন্তর্জাতিক লেনদেনের বার্তা পাঠানোর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সুইফট সিস্টেমের নিষেধাজ্ঞা থাকায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণের অগ্রিম ও সুদ পরিশোধ করা যাচ্ছে না। বিশেষ কোনো উপায়ে এ অর্থ পরিশোধ করা যায় কিনা– এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইবে বাংলাদেশ। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আজ শুক্রবার রাতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকে অংশ নিতে অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে। এর বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক আরোপসহ দ্বিপক্ষীয় বেশ কিছু আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এ সফরে কোন কোন বিষয় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে– জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রথম উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে...
    দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণদাতা দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে দায়দেনা পরিশোধে বাড়তি সময় পাওয়া গেছে। ২০২৭ সালের মার্চ থেকে প্রকল্পের ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ শুরু করার কথা ছিল বাংলাদেশের। বিভিন্ন জটিলতার কারণে সরকার দুই বছর সময় চেয়েছিল। রাশিয়া সময় দিয়েছে দেড় বছর।  এদিকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণের কিস্তি যথাসময়ে পরিশোধ না হওয়ায় ১৬ কোটি ৪০ ডলারের যে জরিমানা হয়েছিল, তা  মওকুফ করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশ কিস্তি ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারেনি। রূপপুরের ঋণের সংশোধিত প্রটোকলে রাশিয়া এমন ছাড় দিয়েছে। বৈদেশিক দায়দেনার চাপ কমাতে অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৯ সালের মার্চ থেকে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করার সময় নির্ধারণে রাশিয়া সরকারকে অনুরোধ করে। সংশোধিত প্রটোকলে ২০২৮ সালের...
    বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।  বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বাড়তি শুল্কের বিষয়ে সরকারের করণীয় নিয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েটার্স ফোরাম-বিএসআরএফের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দেওয়া বক্তব্যে এই তথ্য তুলে ধরেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ভুল পদক্ষেপের কারণে সামগ্রিক অর্থনীতি সমস্যার মুখে পড়েছিল। তবে এখন মূল্যস্ফীতি ক্রমান্বয়ে কমছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে বোরো ধান উঠলে চালের বাজারে স্বস্তি আসবে।” আরো পড়ুন: ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বৈষম্যহীন নতুন দেশ গড়া সম্ভব হবে’ ঈদ ও স্বাধীনতা দিবস ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র সচিব শুল্ক-সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে সরকারের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র একপেশে শুল্ক...
    যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এখন বাণিজ্য যুদ্ধের মুখোমুখি। যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালে চীনে ১৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯৫ বিলিয়ন (২৯ হাজার ৫০০ কোটি) ডলার।এই ঘাটতি কমাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর পাল্টা শুল্ক নজিরবিহীনভাবে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন। এর জবাবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর অস্বাভাবিক হারে নতুন শুল্ক আরোপ করলেও পরে ৯০ দিনের জন্য তা স্থগিত করেছেন। কিন্তু চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক বহাল রেখেছেন। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বেড়েছে।চলতি সপ্তাহের শুরুতে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ‘শেষ পর্যন্ত লড়তে’ প্রস্তুত এবং যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘন করছে।চীন কীভাবে পাল্টা জবাব...
    দেশের ব্যাংকগুলোর ডলার ব্যবহারের সীমা কমিয়ে দিয়েছে বেশির ভাগ ব্যাংক ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান। এতে ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বিদেশি ঋণে। তাতে গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বিদেশি ঋণ ৭৪ কোটি মার্কিন ডলার কমে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর–ডিসেম্বর প্রান্তিকে যে পরিমাণ বিদেশি ঋণ কমেছে, তার মধ্যে সরকারি খাতের ঋণ কমেছে ২১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আর বেসরকারি খাতের  ঋণ কমেছে ৫২ কোটি ২০ লাখ ডলার। বেসরকারি খাতের ঋণের মধ্যে বায়ার্স ক্রেডিটই কমেছে ৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যখন কোনো আমদানিকারকের পক্ষে বিদেশি ব্যাংক আমদানি মূল্য শোধ করে দেয়। আর ৬ মাসে আমদানিকারক সুদসহ তা পরিশোধ করে তাকেই বায়ার্স ক্রেডিট বলা হয়। দেশের ব্যাংকগুলো তার বিদেশি ব্যাংকের...
    চলতি বছর বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকস প্রতিষ্ঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এনডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির কাজবেকভ এ কথা জানান।কাজবেকভ বলেন, ‘এক্সপান্ডেড ঢাকা সিটি ওয়াটার সাপ্লাই রেজিলিয়েন্ট প্রকল্প’ বাস্তবায়নের জন্য ৩২ কোটি ডলার অনুমোদন করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের উন্নয়ন চাহিদার কথা মাথায় রেখে এ বছর তাঁরা এই অর্থায়নের পরিমাণ তিন গুণের বেশি করতে চান।এ সময় নতুন এই বহুপক্ষীয় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।এনডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের গ্যাস খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বড় ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে এনডিবির। তিনি আরও বলেন, দেশের...
    জেলেদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নামে ব্যাংক চালুর চেষ্টা করছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।  মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বরিশালের বেলস পার্কে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ফরিদা আখতার বলেন, “ইলিশ হলো রুপার খনি। এই সম্পদ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন, শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়। সবাইকে নিয়ে ইলিশ উৎপাদনে নতুন লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করার ইচ্ছ আমাদের।” আরো পড়ুন: ইউএসটিআরকে বাণিজ্য উপদেষ্টার চিঠিযুক্তরাষ্ট্রের আরো ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ মুন্সীগঞ্জ মেডিকেলের জায়গা নির্ধারণ হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ন্যায্য মূল্যে ইলিশ কিনতে ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধের কথা বলেন। দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানির ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।  অনুষ্ঠান...
    বড় ঋণগ্রহীতা বেশির ভাগই পলাতক। কেউ কেউ আছেন জেলে। এর মধ্যেই খেলাপি ঋণ আদায়ে রেকর্ড হয়েছে। গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো ৯ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা আদায় করেছে। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর আদায় ৮ হাজার ২৬ কোটি টাকা, যা প্রায় ৮২ শতাংশ। ঋণ পরিশোধ না করেও নিয়মিত দেখানোর সুযোগ বন্ধ; কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকি এবং কোনো কোনো ব্যাংক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আদায় জোরদার করেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ব্যাংকাররা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর নীতি নিয়েছে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের কাছে একটা কঠোর বার্তা গেছে– টিকে থাকতে হলে ব্যাংকের টাকা ফেরত দিতে হবে। ঋণ পরিশোধ না করে আর আগের মতো নিয়মিত দেখানো যাবে না। আবার চলতি মূলধন ঋণে সীমা বাড়িয়ে নিয়মিত দেখানোর পথও বন্ধ।...
    অনলাইন—আইএমএফ মিশনের সফর/ বাড়তি রাজস্ব আদায়, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও খেলাপি ঋণ কমানো নিয়ে মূল আলোচনা অনলাইন—আইএমএফ মিশনের সফর/ বাড়তি রাজস্ব আদায়, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও খেলাপি ঋণ কমানো নিয়ে মূল আলোচনা আইডি: ০৩০৫৩ সেকশন: মেটা: ট্যাগ: । ছবি: বাংলাদেশ সরকার ও আইএমএফের লোগো। চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড়ের আগে বাংলাদেশের আর্থিক খাতের নানা দিক পর্যালোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি মিশন এখন ঢাকার পথে রয়েছে। মিশনটি আগামীকাল রোববার লাগাতার বৈঠক শুরু করবে। দুই সপ্তাহ ধরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক চলবে। মার্কিন ডলার অর্থাৎ মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে বাড়তি ৫৭ হাজার কোটি টাকা আদায়, ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও খেলাপি ঋণের হার কমিয়ে আনা—এ বিষয়গুলো...
    চীন সরকার ও সে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রায় ৩০টি চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে। মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্প এবং প্রযুক্তি খাতে সহায়তা দেবে তারা। এ ছাড়া সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ঢাকার পাশে থাকবে বেইজিং।  প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে নানা খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার সকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এ বৈঠক হয়েছে। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ বৈঠকে শি জিনপিং বাংলাদেশে সংস্কার কার্যক্রমে ড. ইউনূসকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। দু’দেশের সম্পর্ক আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।  এদিকে বাংলাদেশ ও চীন ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর...
    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে দেশটির সরকার ও কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের প্রায় ৩০টি কোম্পানি বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে। এটা প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশের উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানানোর পর এসেছে। চীন মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০ কোটি ডলার ঋণ প্রদান, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫ কোটি ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫ কোটি ডলার বরাদ্দ প্রদানের পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে। প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ...
    প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ঐতিহাসিক চীন সফরে দেশটির সরকার ও কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ।ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের প্রায় ৩০টি কোম্পানি বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে। এটা প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশের উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানানোর পর এসেছে।চীন মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে প্রায় ৪০ কোটি ডলার ঋণ প্রদান, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫ কোটি ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫ কোটি ডলার বরাদ্দ প্রদানের পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে।প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ সফর।’বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন...
    অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ কর্মসূচি থেকে বের হয়ে গেলে অন্য উন্নয়ন সহযোগীরাও নানা প্রশ্ন তুলতে পারে। তাই আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চায় সরকার। আগামী জুনে আইএমএফ দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।  আইএমএফের ঋণ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ঋণ না নেওয়াটা খুব ভালো। তবে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (ডিজিপি) ও ঋণের অনুপাত অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। তা ছাড়া সরকারি ব্যয়ের চাহিদা মেটানোর মতো রাজস্ব না থাকার কারণেই ঋণ নিতে হয়। বাজেট সহায়তা হিসেবে আইএমএফ ঋণ দিচ্ছে। প্রকল্পে অনেক ঋণ এলেও তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো...
    বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের সংকটে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। তাই আগামী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) এলএনজি কিনতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঋণ নিচ্ছে সরকার। ৩৫ কোটি ডলার বা ৪ হাজার ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঋণ দিতে আগ্রহী ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে আগ্রহপত্র আহ্বান করে শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্রে ঋণ নেওয়ার তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় ঋণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে গ্যারান্টার (নিশ্চয়তাদানকারী) হিসেবে থাকবে বিশ্বব্যাংক। আগ্রহী ব্যাংকগুলোর প্রস্তাব নিয়ে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করবে জ্বালানি বিভাগ।সুদযুক্ত ঋণ নিয়ে দায় শোধ হবে না, উল্টো নতুন দায় তৈরি করবে। ঋণ নিয়ে বিল শোধের এ প্রক্রিয়া একটি দুষ্টচক্র। এলএনজি–নির্ভরতা দুষ্টচক্রের দায় আরও ঘনীভূত করেছে। খন্দকার...
    শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এক-তৃতীয়াংশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি ছাড়িয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর বেনামি ঋণ, জালিয়াতির ঋণসহ আদায় অযোগ্য অনেক ঋণ খেলাপির তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণও বাড়ছে। ফলে এসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে কি না—এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা।শেয়ারবাজারে বর্তমানে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ৩৬টি। এসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণার আগে তাদের গত বছরের প্রাথমিক আর্থিক প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছে। এসব প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পাওয়ার পর লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে ব্যাংকগুলো। সেই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, তালিকাভুক্ত ১২টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে। ফলে এসব ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারবে কি না—এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণাসংক্রান্ত নতুন একটি নীতিমালা করেছে। ওই নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের...
    বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। জানুয়ারিতে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। এর আগে গত ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। সাম্প্রতিক সময়ের এ প্রবৃদ্ধি যে কোনো সময়ের তুলনায় কম। এর আগে করোনা অতিমারির পর ২০২১ সালের মে মাসে একবার বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমেছিল। এ ছাড়া বেশির ভাগ সময় প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে ছিল। ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চ সুদহারের কারণে ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় এখন বিনিয়োগ চাহিদা কম। ডলার সংকট কিছুটা কাটলেও এখনও নানা সমস্যা রয়েছে। আবার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। এর মধ্যে আমানত প্রবৃদ্ধি কমে সাড়ে ৭ শতাংশের নিচে নামায় ব্যাংকগুলোর হাতে বিনিয়োগযোগ্য তহবিল কম। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাসের সংকট এখনও কাটেনি। আবার দেশে রাজনৈতিক পট...
    দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত ১০ মার্চ পর্যন্ত সরকার নিট ৩৮ হাজার ৫১০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। গত জানুয়ারি পর্যন্ত যেখানে সরকারের ব্যাংক ঋণ ছিল ১৩ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। এর মানে প্রথম ৭ মাসে সরকার যে পরিমাণ ঋণ নিয়েছিল, শেষ এক মাস ১০ দিনে নিয়েছে তার প্রায় দ্বিগুণ। ব্যাংক খাত থেকে ঋণ বাড়ার কারণের মধ্যে রাজস্ব আদায় কম হওয়া, সঞ্চয়পত্র থেকে প্রত্যাশিত ঋণ না পাওয়া এবং বিদেশি উৎস থেকে ঋণছাড় কমে যাওয়া উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, অর্থবছরের শেষ সময়ে স্বাভাবিকভাবে সরকারের ঋণ বেড়ে থাকে। তবে এখন পর্যন্ত যে ঋণ নিয়েছে, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় তা অনেক কম। আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া বাজেটে চলতি অর্থবছর ব্যাংক  থেকে ১  লাখ ৩৭...
    বসুন্ধরা গ্রুপকে ঋণ পুনঃ তফসিলের সুবিধা না দেওয়ায় দাবিতে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সামনে ঝটিকা প্রতিবাদ করেছে নারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘জাস্টিস ফর মুনিয়া’। এই কর্মসূচি থেকে মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার পুনঃ তদন্তের দাবিও জানানো হয়। আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে ৯ জন নারী একটি ব্যানার হাতে ঝটিকা প্রতিবাদ করেন। কর্মসূচিতে অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, অধিকারকর্মী নাজিফা তাসনিম খানম, নাসরিন সিরাজ, বীথি ঘোষ, প্রাপ্তি তাপসী ও সায়দিয়া গুলরুখ। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে ছবিসহ একটি পোস্ট দেন।কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একাধিক নারী বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর কলেজশিক্ষার্থী মোসারাত জাহান মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তা সত্ত্বেও পুলিশ ও পিবিআই তাঁকে...
    প্রিপেইড গ্যাসের মিটার বসাতে উচ্চ সুদে ঋণ দিতে চায় জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো–অপারেশন (জেবিআইসি) এবং দেশটির অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক। এ জন্য তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে। এসব ব্যাংক থেকে সরকার ৭৩০ কোটি টাকা ঋণ নিতে চায়, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ দেবে জেবিআইসি। বাকি অর্থ দেবে জাপানের অন্য কোনো ব্যাংক। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সরকার এই ঋণ নিলে তার জন্য সুদ দিতে হবে ৩ দশমিক ৩৯ থেকে ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত। আর এই ঋণ হবে কঠিন শর্তের। ১০ বছর মেয়াদি এ ঋণের প্রথম কিস্তি পরিশোধ করতে হবে ৬ মাস পর। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই এ ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল তিতাস গ্যাসের...
    ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলো থেকে সরকার ৬ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে। গত ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংক থেকে নেওয়া সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা। এছাড়া সরকারের ব্যাংক-বহির্ভূত ঋণও বেড়েছে। চলতি প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ব্যাংকের বাইরে থেকে ২৪ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে সরকার। গত অর্থবছরের একই সময়ে নিট ঋণ নেওয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৯০ কোটি টাকা। শুক্রবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। আরো পড়ুন: ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক ফেব্রুয়ারিতে ২০০০ কোটি টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন কিছু ব্যাংকের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ: গভর্নর গত সপ্তাহে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ বেড়েছে। চলতি...
    ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়া বেড়েছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলো থেকে সরকার ৬ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে। এতে গত ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংক থেকে নেওয়া সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা।শুধু ব্যাংক নয়, সরকারের ব্যাংক-বহির্ভূত ঋণও বেড়েছে। চলতি প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ব্যাংকের বাইরে থেকে ২৪ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে সরকার। যদিও গত অর্থবছরের একই সময়ে নিট ঋণ নেওয়া হয়েছিল ৭ হাজার ৯০ কোটি টাকা।বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, যা এর...
    আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের বেশ কিছু ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। আবার একক গ্রুপ যে পরিমাণ ঋণ নিতে পারে, তার চেয়ে অনেক বেশি ঋণ নিয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের ঋণগুলোকে একাধিক গ্রুপ হিসেবে ভাগ করেছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক একাধিক ব্যাংককে চিঠি দিয়ে বলেছে, বসুন্ধরা সংশ্লিষ্ট সব ঋণ একক গ্রুপ হিসেবে চিহ্নিত হবে।এমন পরিস্থিতিতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এতে বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী ও কবির আহাম্মদসহ ঊর্ধ্বতন অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সভা সূত্র জানায়, বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে বলা হয়েছে, বসুন্ধরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। এসব আলাদা গ্রুপ হিসেবে দেখাতে...
    বেসরকারি খাতের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপকে ঋণ পুনঃতপশিল সুবিধা দিতে সম্মত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, বসুন্ধরা গ্রুপকে যথাযথ ডাউনপেমেন্ট জমাসহ সব ধরনের নিয়ম মেনে ঋণ পুনঃতপশিল করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে বসে দ্রুত পুনঃতপশিলের ব্যবস্থা করতে ডেপুটি গভর্নরদের নির্দেশ দেন তিনি। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নরের সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী ও ড. কবির আহমেদ। আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে বৈঠকে আরও যোগ দেন বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল। বৈঠক সূত্র জানায়, আহমেদ আকবর সোবহান জানিয়েছেন, তাঁর চার ছেলের ব্যবসা আলাদা করা। বসুন্ধরাকে আলাদা পাঁচটি ইউনিট...
    চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ হাজার কোটি টাকা। প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) এ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের বেশি বা ৫০ দশমিক ৫৭ শতাংশ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। আলোচ্য সময়ে কৃষি ঋণ বিতরণের পরিমাণ ১৯ হাজার ২১৫ কোটি টাকা।  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে সরকারি ব্যাংকগুলো কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে ৮ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ১০ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৭৮৩ কোটি টাকা। কৃষি খাতে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের অন্তত ২ শতাংশ কৃষি খাতে বিতরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেসব ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কৃষিঋণ বিতরণ করবে না, তাদের জরিমানার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেসব ব্যাংক...
    তিনি সরকারের আমলা। তবে সে তথ্য গোপন করে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে দুই ব্যাংক থেকে নিয়েছিলেন সাড়ে সাত কোটি টাকা ঋণ। কিন্তু ঋণের কিস্তি আর দেননি। সেই ঋণ সুদ-আসলে হয়েছে প্রায় ৯ কোটি টাকা। ঋণখেলাপিকে খুঁজে পেতে হয়রান ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এক পর্যায়ে জানতে পারে, তিনি আসলে ব্যবসায়ী নন, সরকারের আমলা। সেই কর্মকর্তা হলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন-২) একরামুল হক চৌধুরী। পরে দুই ব্যাংক কর্তৃপক্ষই জনপ্রশাসন এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এখন ওই কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কাজ থামিয়ে দিতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ। চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া সরকারি কাজ ব্যতিরেকে কোনো ব্যবসায় বা চাকরিতে জড়িত হতে পারবেন না। তবে নন-গেজেটেড সরকারি...
    বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ১৪টি লে–অফ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা দিচ্ছে সরকার। পাওনা পরিশোধে কোম্পানিটিকে ঋণ হিসেবে এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে, যা পরে বেক্সিমকো গ্রুপকে পরিশোধ করতে হবে। পাওনাদারদের মধ্যে শ্রমিক রয়েছেন ৩১ হাজার ৬৭৯ জন, আর কর্মচারী ১ হাজার ৫৬৫ জন। আগামী ৯ মার্চ থেকে এই পাওনা পরিশোধ শুরু হবে। রমজানের মাঝামাঝি পর্যন্ত ধাপে ধাপে এসব পাওনা পরিশোধ করা হবে।সচিবালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বেক্সিমকো শিল্পপার্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা–সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এসব তথ্য জানান।এ সময় আরও জানানো হয়, আজ শুক্রবার থেকে বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ১৪টি প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হবে। বন্ধ এসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ দেবে ৩২৫ কোটি...
    উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার পক্ষ থেকে ঋণের অর্থ ছাড়ের পরিমাণ এবং নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছেই। অথচ আগে নেওয়া ঋণের সুদাসল পরিশোধের পরিমাণ বাড়ছেই। গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধ বেড়েছে ৩১ শতাংশ। অন্যদিকে নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬৭ শতাংশ। এ ছাড়া উন্নয়ন সহযোগীদের পক্ষ থেকে অর্থ ছাড় কমেছে ১০ শতাংশের মতো।  অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত সাত মাসে ঋণের সুদাসল বাবদ ২৯ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২০ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ পরিশোধ বেড়েছে ৮ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। অর্থবছরের সাত মাসে বিদেশি মুদ্রায় সুদাসল পরিশোধের পরিমাণ ২৪২ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৮৬...
    গাজীপুরের কালীগঞ্জে বিকল্প শিক্ষা ও দক্ষতা কার্যক্রমের প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১০৮ জন প্রশিক্ষিত নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়াও ২১ প্রশিক্ষিত নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সহযোগিতা পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বেসরকারি সংস্থা ইকো সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) আয়োজনে এবং ইউনিসেফ ও কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) অর্থায়নে উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাদার্ত্তী গ্রামের ইএসডিও’র কার্যালয় প্রাঙ্গণে দুদিনব্যাপী এ চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরী তাসমিন ঊর্মী।  এছাড়া অন্যদের মধ্যে ইউনিসেফের শিক্ষা কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ, ইএসডিও'র শাহরিয়ার মাহমুদ, এএসএম রাজিউল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানাজ আক্তার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ঈসমাইল ভূঁইয়াসহ ইএসডিও’র অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী, প্রশিক্ষিতপ্রাপ্ত সহস্রাধীক চাকরি...
    খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসতে শুরু করেছে। গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এটি মোট ঋণের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। এই খেলাপি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২ লাখ ১৩১ কোটি টাকা বেশি। গত বছরের শেষ তিন মাসে বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গতকাল সংবাদ সম্মেলনে খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি গভর্নরের দায়িত্ব নিয়ে বলেছিলাম খেলাপি ঋণ বাড়বে। এখন দেখা যাচ্ছে, আমার অনুমান ঠিক আছে। তবে এখনও আমাদের খেলাপি ঋণ সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছায়নি। সামনে এটা আরও বাড়বে। কোনো তথ্য আমরা লুকিয়ে রাখব না।’ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আবার কমবে বলে তিনি মনে করেন। নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপি না হয়...
    খেলাপি ঋণের পরিমাণ তিন লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে তা সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই করছে।দেশের ব্যাংকব্যবস্থায় গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা, যা গত সেপ্টেম্বর শেষে ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকেই শ্রেণিকৃত ঋণ বা খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে মোট বিতরণ করা ঋণের ২০ দশমিক ২০ শতাংশ খেলাপি হয়ে গেছে।আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব তথ্য দেন। রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এদিকে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বা ওই তিন মাসে ব্যাংকব্যবস্থায় খেলাপি ঋণ বাড়ে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। এর মানে গত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) খেলাপি...
    ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। এর তিন মাস আগে সেপ্টেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা।   বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের ঋণের স্থিতি ছিল ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয় ৯ শতাংশ। এরপর ২০২৪ সালের...
    সার আমদানির জন্য ঋণ নিলে ব্যয় বেশি, ঋণ না নিলে ভর্তুকি বাড়বে। এখন কোন দিকে যাবে কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিএডিসি। বিদেশি ঋণের সুদ হার কম হলেও সময়মত কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। অন্যদিকে দেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়বে। জানা গেছে, সার আমদানির অর্থ যোগান দিতে কৃষি মন্ত্রণালয় আইটিএফসি থেকে ঋণ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। ঋণ নিয়ে সার আমদানি করা হলে ব্যয় তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে ভর্তুকির পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে বিএডিসি। এ অবস্থায় সার আমদানির জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের একটি প্রস্তাব আটকে আছে। সূত্র জানায়, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সার আমদানির জন্য ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা (ঋণ) গ্রহণের বিষয়ে...
    সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। পাশাপাশি আর্থিক খাতে সুশাসন ও স্বচ্ছতা ফেরানো, ঋণের সুদহার কমানো এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণে নীতি-সহায়তার ধারাবাহিকতা চেয়েছে সংগঠনটি। এ জন্য বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ঘটিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ভ্যাট কমানোর ওপর জোর দিতে বলেছে তারা। এ ছাড়া শিল্প খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সহায়ক জ্বালানি মূল্য নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই। ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিদ্যমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পর্যালোচনা (জুলাই-ডিসেম্বর, অর্থবছর ২০২৪-২৫)’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের ঢাকার মতিঝিলের নিজস্ব মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, উদ্যোক্তাদের...
    চলতি অর্থবছরে ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ৬০০ জন অসচ্ছল ও দরিদ্র ইমাম-মুয়াজ্জিনকে সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, আর্থিক সাহায্য হিসেবে ৪ হাজার ৬২০ জন অসহায়-দরিদ্র ইমাম-মুয়াজ্জিনকে পাঁচ হাজার টাকা হারে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকা দেবে মন্ত্রণালয়।  বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়।  ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে ট্রাস্টভুক্ত ইমাম ও মুয়াজ্জিনে সংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজার। ট্রাস্টের মাধ্যমে কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধি ইত্যাদি কারণে অক্ষম হয়ে পড়লে তাকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া, কোনো ইমাম বা মুয়াজ্জিন আকস্মিক মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, তাদের মেধাবী ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার জন্য সাহায্য এবং ইমাম-মুয়াজ্জিনকে সুদমুক্ত ঋণ দেওয়াসহ সার্বিক কল্যাণে কার্যক্রম গ্রহণ...
    বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) ও এর আওতাধীন উৎপাদন বন্ধ ঘোষিত মিলসমূহের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ২০২৪ সালের পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৩৫ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।    ২০২৪ সালের আগস্ট-ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচ মাসের বেতন-ভাতাদি পরিশোধের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে ৬৩.৪৯ কোটি বরাদ্দ চাওয়ার বিপরীতে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে বিজেএমসি'র অধীন ২৫টি মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার পর  ১০৪৭ জন কর্মকর্তা ও ১৬৫২ জন কর্মচারীর বেতন-ভাতাদি বিজেএমসি এবং মিলসমূহের নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়। পরবর্তীতে বিজেএমসি'র তহবিলে নগদ টাকার স্থিতি কম থাকায় ও যথাসময়ে বেতনভাতা না পাওয়ায় ও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপনসহ ২০২৪...
    বেসরকারি খাতের ব্যাংকের খেলাপি ঋণ যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে ঋণ পুনঃতপশিলের পরিমাণও। গত জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে ব্যাংকিং খাতে মোট ৭ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতপশিল হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশই নিয়মিত করেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। ব্যাংকিং খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি সময় কেবল সরকারি ব্যাংকেই নানা জালিয়াতি হতো। খেলাপি ঋণও হুহু করে বাড়ত এসব ব্যাংকে। তবে গত কয়েক বছরে বেসরকারি খাতের ব্যাংক দখল করে ঋণের নামে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা ঘটনা হয়েছে। এসব ঋণের বড় অংশই এখন খেলাপি হচ্ছে। যে কারণে খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলের প্রবণতাও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম ৯ মাসে খেলাপি ঋণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭...
    বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী কাঁচা পাট রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কাঁচা পাট রপ্তানিতে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রপ্তানিকারকদের ঋণ স্থিতির ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে পুনরায় ২ বছরের মরাটরিয়াম (সকল দেনা স্থগিত) সুবিধা দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলার অনুযায়ী, কাঁচা পাট রপ্তানিকারকদের জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত মতে, ঋণ স্থিতির ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট গ্রহণ করে পুনরায় ২ বছরের মরাটরিয়াম সুবিধা প্রদান করা যাবে। এক্ষেত্রে, গ্রাহকের ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ তারিখ ভিত্তিক বিদ্যমান ঋণ স্থিতি বিবেচনায় নিতে হবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। এ ছাড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কাঁচা পাট রপ্তানিকারকদের জন্য যেসব সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেগুলো হলো- কাঁচা পাট...
    বেড়েছে খেলাপি ঋণ। ২০১১ সালে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ যেখানে ছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ, সেখানে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ ১৩ বছরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ১০.৮১ শতাংশ। এ সময় আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনার কারণে অন্তত ১০টি ব্যাংক তীব্র ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি: সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। আরো পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে, কমেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় স্বর্ণের দাম বাড়ল, বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর সরবরাহ চেইনের দুর্বলতা ও ক্রুটির কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুদ্রানীতি ও...
    ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের শেষ ছয় মাসের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আড়াই শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে।আজ সোমবার চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো হলেও কমানো হয়েছে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি।বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, জুন শেষে সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সাড়ে ১৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। ডিসেম্বর শেষে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৮ দশমিক ১ শতাংশ।...
    সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন বেসরকা‌রি ঋণ প্রবৃ‌দ্ধি ও নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রেখে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন,২০২৫) মুদ্রানীতি (  ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট’-এমপিএস) ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকার আমলের এবং বর্তমান গভর্নরের প্রথম মুদ্রানীতি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বছরে দুইবার (‘জানুয়ারি-জুন’ ও ‘জুলাই-ডিসেম্বর’ সময়ের জন্য) মুদ্রানীতি নীতি ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, চলতি অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৭ থে‌কে ৮ শতাংশ নামা‌নোর লক্ষ্য...
    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তিসহ কোনো দাতা সংস্থার ঋণের জন্য একেবারে মরিয়া হয়ে নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট এবং ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ভালো। আজ রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজারের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বব্যাংকের দেওয়া শর্তের প্রায় সবগুলো পুরণ করেছে সরকার। নীতি প্রণয়ন ও রাজস্ব আদায়ে আলাদা বিভাগ হবে, রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, করছাড়ও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আগামী জুনের আগে আরও কিছু শর্ত বাস্তবায়ন হবে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি কি পিছিয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগামী মার্চে তাদের বোর্ড মিটিং হবে। এটা জুন পর্যন্ত...
    বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে ঋণ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশে। আগের মাস শেষে যা ছিল ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ। বর্তমানের এ ঋণ প্রবৃদ্ধি সাম্প্রতিক সময়ের সর্বনিম্ন। ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকা এবং ডলার সংকটের কারণে এমনিতেই বিনিয়োগ চাহিদা কম রয়েছে। আবার উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে মুদ্রা সরবরাহ কমাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাড়ানো হচ্ছে সুদহার। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট রয়েছে। এর মধ্যে দেশের পট পরিবর্তনের পর যাদের হাতে টাকা রয়েছে, তাদের অনেকেই পলাতক। সব মিলিয়ে ঋণ প্রবৃদ্ধিতে আরও ধীরগতি দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭ কোটি টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বর শেষে যা...
    বিদেশি ঋণের অর্থে বিনিয়োগ ও রপ্তানি সহায়ক অবকাঠামো না হলে তা পরিশোধে সমস্যা তৈরি করে। কারণ ঋণের অর্থ ব্যবহারের ফলে যদি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) না আসে, যদি রপ্তানি থেকে ডলার দেশে না আসে, তাহলে ঋণ পরিশোধ বেড়াজালে পড়ে যায়। বিদেশি ঋণ খারাপ কিছু নয়। কথা হচ্ছে, এ অর্থ কোন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই হচ্ছে আসল বিষয়।  বিদেশি ঋণ নিয়ে পরিশোধে সরকারের চাপ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেছেন  শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে একনেকের অনুমোদন হওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য জানানোর পাশাপাশি  জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি কথা বলেন। একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ...
    ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সব ধরনের ফেডারেল অনুদান এবং ঋণ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন সহায়তা, দুর্যোগ ও ত্রাণ এবং অন্যান্য বহু প্রকল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ‘অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট’ এর (ওএমবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান ম্যাথিউ ভেথ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। ম্যাথিউ ভেথ জানান, প্রেসিডেন্টের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে ফেডারেল অর্থায়ন পর্যালোচনার জন্য এই স্থগিতাদেশ আরোপ করা হয়েছে। এর আগে, গত সপ্তাহে ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশের মধ্যে বৈচিত্র্য, সাম্য এবং অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভেথ এই অফিস আদেশে আরও উল্লেখ করেন, যেসব নীতি প্রেসিডেন্টের এজেন্ডার বিপরীত, সেগুলোর জন্য ফেডারেল সম্পদের ব্যবহার করদাতাদের অর্থের...
    সব ধরনের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ দেওয়া বন্ধ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া আদেশ আটকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদলত। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এ আদেশ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে এর ঠিক আগমুহূর্তে ডিস্ট্রিক্ট জজ লরেন আলীখান ট্রাম্পের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবামাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিস্ট্রিক্ট জজ লরেন আলিখান স্থানীয় সময় আগামী সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ট্রাম্পের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। ওই দিন এ বিষয়ে আরেকবার শুনানির জন্য সময় ধার্য করেছেন বিচারক। আরো পড়ুন: ট্রাম্পের দাবি মেনে নিল কলম্বিয়া অভিবাসী দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র-কলম্বিয়া পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ গত সোমবার ‘অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট’ এর (ওএমবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান ম্যাথিউ ভেথ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছিল, প্রেসিডেন্টের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য...
    রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধে জটিলতা দ্রুতই কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার জি খোজিন।  দায়িত্ব নেওয়ার পর রবিবার (১৯ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন রাশিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।  পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, অতীতেও রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে ছিলো। সহযোগিতার এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধের জটিলতা নিয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, “দ্রুতই এর সমাধান হবে। বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাশিয়া।” এই বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি চালু হলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।  রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানান তিনি।  বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ভাবনা ১৯৬১ সালে শুরু হলেও ২০০৮ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে...
    আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো ঋণ খেলাপিকে মনোনয়ন না দেওয়ার বিষয়ে বিএনপি সতর্ক থাকবে বলে অঙ্গীকার করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘‘আমরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, খেলাপিরা মনোনয়ন যেন না পান তা নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট থাকব। এ বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকব’’, বলেন তিনি। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত ‘শ্বেতপত্র ও অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে তিনি বক্তব্য রাখেন। আরো পড়ুন: তরুণ প্রজন্মকে পড়ালেখায় বেশি গুরুত্ব দিতে হবে: মির্জা ফখরুল  খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অনেকটা বেটার’: ফখরুল প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল এই অঙ্গীকার করেন। রেহমান সোবহান জানতে চান, ঋণ খেলাপিদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত রাখা এবং অর্থ ও...
    ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে অবশেষে খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলে আবার বিশেষ সুবিধা দিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল, সুদ মওকুফ ও ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা এই সুযোগ পাবে না। পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে করতে বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি যাচাই-বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সাম্প্রতিক আন্দোলন, অগ্নিকাণ্ড, করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ প্রকৃত ক্ষতির মুখে পড়া ২০ কোটি টাকা বা তার বেশি ঋণে বিশেষ পুনঃতপশিলের প্রস্তাব কমিটির কাছে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে শিগগির নীতিমালা জারি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত সরকারের সময় ঢালাওভাবে ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। বিভিন্ন নীতি ছাড়ের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কম দেখানো হচ্ছিল। আবার প্রভাবশালীরা কিস্তি না দিলেও খেলাপি দেখানো হচ্ছিল না। আইএমএফের ঋণ নেওয়ার কারণে গত...
    ২০২৪ সালের জুনের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশের লোকসংখ্যা যদি ১৮ কোটি ধরা হয়, তাহলে আমাদের প্রত্যেকের রাষ্ট্রীয় ঋণভার হচ্ছে ১ লাখ টাকা। না, এ ঋণভারে কোনো ব্যক্তিগত ঋণ নেই, এটা হচ্ছে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায়। আমরা এ দায় না মেটাতে পারলে এ ঋণভার বর্তাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর। অন্যভাবে বললে, আজ বাংলাদেশে যে শিশু জন্মাচ্ছে, সে এ ঋণভার নিয়েই জন্মাচ্ছে।সত্যিকার অর্থে ১৮ লাখ কোটি টাকা সংখ্যাটি সত্যিই বিশাল। তবে এ অবস্থা তো এক দিনে তৈরি হয়নি। চার বছর আগে সংখ্যাটি ছিল ১১ লাখ কোটির মতো। ১৮ লাখ কোটি সংখ্যাটি গত কয়েক বছরের তিনটি বাজেটের সমান। মোট ঋণের মধ্যে দেশজ ঋণের পরিমাণ ১০ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ও...
    সরকারি কর্মচারীদের ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে গৃহীত ঋণ মূল্যেও তুলনায় কম মূল্যে দলিল সম্পাদন নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় ‘গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ এর কিছুটা সংশোধন করেছে। এর ফলে একদিকে সরকারি রাজস্ব হারানোর আশঙ্কা কমবে অন্যদিকে ঋণ গ্রহীতারা ও হয়রানি হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এ সংক্রান্ত একটি সংশোধনীতে অনুমোদন দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। জানা গেছে, প্রজাতন্ত্রের কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮ সংক্রান্ত পরিপত্র বিগত ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই জারি করা হয়। বিগত ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর উক্ত নীতিমালায় কতিপয় সংশোধন আনা হয়। নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৭.১ গ(২) অনুযায়ী ঋণ প্রদানের জন্য ডেট-ইক্যুইটি অনুপাত হবে...
۱