৮ ঘণ্টা ধরে অচল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক
Published: 2nd, July 2025 GMT
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে ৮ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে পটিয়া বাইপাস এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টার পর্যন্ত সড়কেই অবস্থান করছেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও র্যাবের সদস্যরা রয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা ও সাড়ে ১১টায় পটিয়া থানা-পুলিশের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১৯ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে উভয় পক্ষ। তবে নেতা-কর্মীদের দাবি, পুলিশ তাঁদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ বলছে, নেতা-কর্মীরা ‘মব’ সৃষ্টি করছিল।
এর প্রতিবাদে আজ পটিয়া থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেয় সংগঠনটি। আজ সকাল ৯টার থেকেই থানা ঘেরাও শুরু করেন তাঁরা। পরে খণ্ড খণ্ড মিছিলে এসে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন। সেখানে স্লোগান দিয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাহেদ মো.
আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, বাইপাস সড়কে পটিয়া মডেল মসজিদের সামনে মহাসড়কে অবস্থান করছেন নেতা-কর্মীরা। সেখানে আন্দোলনকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। অবরোধের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক কার্যত অচল হয়ে পড়ে। তবে পরীক্ষার্থী ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও যাত্রীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, যান চলাচল করতে না পারায় অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। বিকেল ৪টার দিকে আবদুর রহমান নামের এক বাসচালক জানান, বেলা ১১টা থেকে আটকে আছেন। পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন তিনি।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ। তিনি বলেন, ওসি জায়েদ নূরের অপসারণ না হলে তাঁরা সড়ক ছাড়বেন না। শুরুতে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেও পরে তিনি অপসারণের আগপর্যন্ত তাঁরা সরবেন না বলে ঘোষণা দেন।
বেলা তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস, পটিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, সেনাবাহিনী ও র্যাব আসে। তাঁরা আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে আন্দোলনকারীরা জানান, ওসির অপসারণ আদেশ এলে তারপর তাঁরা সরবেন।
জানা গেছে, গতকাল রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চায়নি। পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের ওই কর্মীকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, তাঁকে থানায় আনার পর পুলিশ মামলা নেয়নি। এ নিয়ে আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। এতে তাঁদের কয়েকজন আহত হয়।
পুলিশের দাবি, মিছিল নিয়ে ওই ব্যক্তিকে মারতে মারতে থানার ভেতরে নিয়ে আসেন। তাঁর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ করার অভিযোগ তোলা হয়। এ সময় তাঁরা থানায় ভেতরে একপ্রকার ‘মব’ সৃষ্টি করে। তাই আইনের ভেতরে থেকে পুলিশ তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, ‘থানায় সে সময় সাতজন রিমান্ডের আসামি ছিল। তাঁরা ছাত্রলীগ কর্মীকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে আসেন। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করি, কিন্তু তাঁরা থানার ভেতরে ঢুকে চড়াও হয়ে পড়েন।’ পুলিশের হামলার বিষয়ে ওসি বলেন, আইনের মধ্যে থেকে পুলিশ তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করেছে।
মহাসড়কের ওপর অবস্থান নিয়েছেন অবরোধকারীরা। আজ বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া মডেল মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত কর ম দ র অবস থ ন কর ম র অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’