আলো ও ছায়ার বুননে শিল্পের যে রূপরেখা আঁকা হয়, তার গভীরতায় ডুবে থাকা এক বিশেষ উপলক্ষ হলো ‘গ্যালারি কায়ার ২১তম বার্ষিকী’। ঢাকার অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠানটি তাদের যাত্রার দুই দশকেরও বেশি সময় উদযাপন করছে এক অনন্য প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে। যেখানে স্থান পেয়েছে ৩৫ জন আধুনিক ও সমসাময়িক শিল্পীর অসামান্য কাজ। ১৯৫২ থেকে ২০২৫– সাত দশকের শিল্পচর্চার বিস্তীর্ণ আয়তন ও গহিন ভাবনা জগৎকে ধারণ করেছে এই প্রদর্শনী, যা চলছে গ্যালারির নিজস্ব প্রাঙ্গণে, ২৭ জুন থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত।
এই বিশেষ প্রদর্শনী যেন কায়ার দীর্ঘ শিল্পযাত্রার এক সজীব অনুরণন। একদিকে যেমন এখানে আছে বিখ্যাত শিল্পীদের মাস্টারপিস, তেমনি রয়েছে তরুণ প্রজন্মের উদ্দীপনামূলক কাজও। একটি প্রদর্শনী শুধু চোখ নয়, মনকে ছুঁয়ে যায়, যদি সেখানে গল্প থাকে– রঙে, রেখায়, রূপে ও অভিব্যক্তিতে। গ্যালারি কায়ার এই আয়োজন সেই গল্পেরই নাম।
প্রদর্শনীর গ্যালারিতে হাঁটতে হাঁটতে দেয়ালে ঝোলানো কাজগুলো দেখে যেন মনে হয় প্রতিটি শিল্পকর্ম সময়ের প্রতিধ্বনি।
চোখে পড়ে মোহাম্মদ ইকবালের ‘আননোন ফেস’ (২০১৮)। ২২x৩০ ইঞ্চির এই মিশ্র মাধ্যমের চিত্রকর্মটি যেন এক অপার প্রশ্নচিহ্ন। এক অজানা মুখাবয়ব, যার গভীর চাহনিতে ধরা পড়ে দর্শকের নিজস্ব আত্মদর্শনের ছায়া। টেক্সচার ও রঙের স্তরবিন্যাসে মুখটি হয়ে ওঠে আত্মানুসন্ধানের এক প্রতীক। আহমেদ শামসুদ্দোহার ‘সুন্দরবন’ (২০২৪) ছবিটি ক্যাটালগের পেছনের প্রচ্ছদে। সবুজ, ছায়া ও আলোয় নির্মিত ৩০x৩০ ইঞ্চির এই অ্যাক্রেলিক চিত্র প্রকৃতির সত্তা তুলে ধরে। সুন্দরবনের প্রাণবন্ততা যেন ক্যানভাস ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়ে দর্শকের মনে।
অন্যদিকে আবুল বারক আলভীর ‘ফ্রম দ্য নেচার-১’ (২০২৫) ছবিটি বিমূর্ততার এক অপূর্ব ব্যঞ্জনা। ৩০x৪২ ইঞ্চির এই অ্যাক্রেলিক ক্যানভাসে জৈবিক রূপ ও প্রকৃতির শক্তি এক অনন্ত প্রবাহের মতো গলে পড়ে। শিল্পীর তুলির টানে সেখানে ধরা পড়ে প্রকৃতির মৌল গঠন ও আত্মা। স্মৃতি ও ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রদর্শনীতে রয়েছে একাধিক অনন্য কাজ। দেবদাস চক্রবর্তীর ‘লাভ’ (১৯৯২) নামে ক্ষুদ্র কালিচিত্রটি (৫x৮ ইঞ্চি) এক নিভৃত প্রেমের মুহূর্তকে জীবন্ত করে তোলে। এই ছবিতে ভালোবাসা শব্দহীন কিন্তু গভীর। ফরিদা জামানের ‘সুফিয়াস বার্ড’ (২০২৫) আকারে যেমন বিশাল (৩৫.
শিল্পী হাশেম খানের ‘ক্রেন’ (২০২৪) ছবিতে দেখা যায় রাজসিক পাখির দৃশ্য, ৪২x৩০ ইঞ্চির এই অ্যাক্রেলিক ক্যানভাস যেন প্রকৃতির নরম কোমলতা ও মহিমার প্রতিচ্ছবি। প্রাণবন্ত রেখায় ধরা পড়ে জীবনের ছন্দ।
প্রদর্শনীর পুরোনো চিত্রকর্মের মধ্যে মুর্তজা বশীরের ‘ব্লাডি ২১স্ট’ (১৯৫২)– এক জ্বলন্ত সামাজিক-রাজনৈতিক চেতনার দলিল। ভাষা আন্দোলনের রক্তাক্ত ইতিহাস এখানে ফিরে আসে কালো রেখার উত্তাল শক্তিতে।
কাইয়ুম চৌধুরীর ‘ফ্রিডম ফাইটার’ (১৯৯১) ছবিটি ২২x১৬ ইঞ্চির এক অসামান্য পেন ও ইঙ্কের কাজ। স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশ নেওয়া এক মুখ বা মুহূর্ত যেন এখানে জীবন্ত হয়ে ওঠে; দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ এখানে আঁকা হয় নিঃশব্দ শ্রদ্ধায়। সমসাময়িক ধারায় রঞ্জিত দাসের ‘ফিলিং’ (২০২৪) ছবিটি বিমূর্ত শিল্পের এক সাহসী অভিযাত্রা। ৩০x৩০ ইঞ্চির ক্যানভাসে ধরা পড়ে অন্তর্গত আবেগের রং ও টেক্সচারের বহমানতা– যা দর্শকের মনে এক অন্তর্নিহিত অনুরণন সৃষ্টি করে।
এই ২১ বছরের যাত্রায় গ্যালারি কায়া শুধু প্রদর্শনীর আয়োজনই করেনি, বরং শিল্পকে ঘিরে গড়ে তুলেছে এক ধরনের পরিশীলিত ও সহমর্মী পরিবেশ। শিল্পী রঞ্জিত দাস বলেন, ‘গ্যালারি কায়া নবীন শিল্পীদের যেমন জায়গা দিয়েছে, তেমনি প্রবীণ ও কিংবদন্তি শিল্পীদেরও প্রাপ্য মর্যাদায় স্থান দিয়েছে। এই ভারসাম্যই কায়াকে আলাদা করেছে অন্যদের থেকে।’
এ ছাড়াও প্রদর্শনীর সমন্বয়ক রাজেন জেন বলেন, শিল্পের ভাষা সময়ের চেয়ে বড়। সেই ভাষাকে ধারণ করে গ্যালারি কায়া ২১ বছর ধরে যে শিল্পভুবনের বিস্তার ঘটিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এই প্রদর্শনী শুধু একটি গ্যালারির বর্ষপূর্তিই নয়, এটি একান্তভাবেই দেশের শিল্পচর্চার এক অনন্য উদযাপন।
প্রদর্শনীতে যেসব বরেণ্য শিল্পীর চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুস শাকুর শাহ, আবুল বারক আলভী, হামিদুজ্জামান খান, হাশেম খান, কনকচাঁপা চাকমা, কাজী আব্দুল বাসেত, মুর্তজা বশীর, রঞ্জিত দাসসহ অনেকেই।
তাদের চিত্রকর্ম এসেছে বিভিন্ন মাধ্যমে– তেলরং, অ্যাক্রেলিক, জলরং, চারকোল, কালি ও কলম, মিশ্র মাধ্যম, কাঠছাপ এবং ক্যানভাস। প্রতিটি মাধ্যমেই উঠে এসেছে শিল্পীর নিজস্ব ভাষা ও চিন্তাজগতের প্রতিফলন।
এই আলোকময় পথচলায় গ্যালারি কায়া শুধু শিল্প প্রদর্শনের একটি স্থান হয়ে ওঠেনি; বরং হয়ে উঠেছে সময়ের সাক্ষী। উদ্যোক্তারা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন দর্শক, সংগ্রাহক, সমালোচক ও প্রয়াত শিল্পীদের, যাদের অবদান ছড়িয়ে আছে গ্যালারির প্রতিটি দেয়ালে। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গল প চ ত রকর ম প রক ত র ক অনন
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) থেকে। ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হবে এই পরীক্ষা।
এবার ‘ই’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ২৫১ জন। পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরের ব্যবহারিক ও ২৭ নম্বর থাকবে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে। পরীক্ষায় মোট দেড় ঘণ্টা সময় পাবেন শিক্ষার্থীরা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ৮১৫টি আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫৪ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। অর্থাৎ এবার প্রতি আসনের বিপরীতে ৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ মো. গিয়াসউদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুনএমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, অপেক্ষা ফলাফলের, মেধাক্রম যেভাবে১৯ ঘণ্টা আগেএর আগে গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে গত শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
এবার চারুকলা অনুষদভুক্ত ই ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষা। ১৩ ডিসেম্বর বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আসনবিন্যাস যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত এ ইউনিট এবং কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা ৪টি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনশাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, জেনে নিন খুঁটিনাটি০৯ ডিসেম্বর ২০২৫আবেদনকারী কতবিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত এ ইউনিটে আবেদন জমা পড়ে কুমিল্লায় ৩ হাজার ৪১৫টি, ঢাকায় ৫৫ হাজার ৪৭৪, খুলনায় ৩ হাজার ৯৪২, রাজশাহী ৯ হাজার ৬৩২; মোট ৭২ হাজার ৪৬৩টি। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষায় আবেদন জমা পড়ে কুমিল্লায় ৪ হাজার ২৭৭টি, ঢাকায় ৫৪ হাজার ২৮২, খুলনায় ৬ হাজার ৩২৫, রাজশাহীতে ১৪ হাজার ৯১২টি; মোট ৭৯ হাজার ৭৯৬টি।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৮৪ জন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষায় ২৫ হাজার ৮২০ ও চারুকলা অনুষদভুক্ত ই ইউনিটের পরীক্ষায় ১ হাজার ২৫১ জন আবেদন করেন। মোট আবেদন করেছেন ২ লাখ ১৪ জন।
মোট ১০০ নম্বর বিবেচনায় মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে। নিম্নের ছকে উল্লেখিত তিনটি বিষয়ে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা হবে। ইউনিট-এ, বি, সি, ডি-এর সময় হবে এক ঘণ্টা। ইউনিট-ই-এর পরীক্ষার সময় হবে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ফি ১০০০২৩ নভেম্বর ২০২৫(ক) পরীক্ষার নম্বর বণ্টন নিম্নরূপ:
বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) ৭২ নম্বর, এসএসসি/সমমান ১০ নম্বর, এইচএসসি/সমমান ১৮ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বর।
(খ) এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ের নম্বর ২৪। তবে ইউনিট ই-এর প্রতিটি বিষয়ের নম্বর ৯। প্রতিটি প্রশ্নের মান শূন্য দশমিক ৭৫। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হবে।
বি. দ্র.: (১) ইউনিট বি-এর অন্তর্ভুক্ত সংগীত ও নাট্যকলা এবং ইউনিট ডি-এর অন্তর্ভুক্ত ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের বহু নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের পর মেধাতালিকার ভিত্তিতে ৫০ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
বহু নির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে। উল্লেখ্য, ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট হারে ফি প্রযোজ্য হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি ও সময়সূচি পরবর্তী সময় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে।
(২) ইউনিট ই-এ ৪৫ নম্বরের ব্যবহারিক এবং ২৭ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গতবারে লিখিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হলেও এবার শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা-সামাজিক বিজ্ঞানের ভর্তি পরীক্ষা আজ, ২৯৩৪ আসনে পরীক্ষার্থী ১০৭৭০১ ৩ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ২২ নভেম্বর ২০২৫