বাংলা একাডেমির কার্যক্রমে গুণগত পরিবর্তন ও সংস্কারে কমিটি গঠন
Published: 7th, July 2025 GMT
বাংলা একাডেমির কার্যক্রমে সময়োপযোগী গুণগত পরিবর্তন ও সংস্কার আনতে বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সমন্বয়ে ১৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটিতে বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও অনুবাদক ফয়জুল লতিফ চৌধুরীকে সভাপতি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মহাম্মদ আজমকে সদস্য সচিব মনোনিত করা হয়েছে।
এ কমিটি বাংলা একাডেমির আইন, প্রবিধানমালা, কাঠামো, কার্যক্রম ইত্যাদি পর্যালোচনা করে, এর সার্বিক উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সুপারিশ দেবেন।
কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি এই কমিটিকে সব সাচিবিক সহায়তা দেবেন।
কমিটিকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে সব কার্যক্রম সম্পাদন করে সুপারিশ প্রদান করতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন— কবি, প্রাবন্ধিক ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, গবেষক ও বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, বাংলাদেশের অধ্যাপক সুমন রহমান, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, বিশিষ্ট কবি ব্রাত্য রাইসু, বিশিষ্ট কবি ও চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ রোমেল, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা’র (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম, লেখক ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আ আল মামুন, বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক সাখাওয়াত টিপু, বিশিষ্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী রিফাত হাসান, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক সমকালের সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক কাজী জেসিন, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের অধ্যাপক আহমাদ মোস্তফা কামাল, বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক জাভেদ হুসেন ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) গবেষণা বিশেষজ্ঞ সহুল আহমদ মুন্না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল এক ড ম এক ড ম র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিবাচক মনে করছে এনসিপি
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জমা দেওয়া সুপারিশকে ইতিবাচকভাবে দেখছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
এ বিষয়ে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব গতকাল রাতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণভোটের ক্ষেত্রে নোট অব ডিসেন্টের (ভিন্নমত) কার্যকারিতা না রাখা, পুরো সনদকে “হ্যাঁ”, “না” ফরম্যাটে গণভোটে দেওয়া এবং গণ-অভ্যুত্থানের ভিত্তিতে আদেশ জারি করা—এ বিষয়গুলোকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি।’
এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, ‘২৭০ দিনের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদ রাখার বিষয়টিও ইতিবাচক। কিন্তু আদেশের পূর্ণাঙ্গ কপিটা আমরা এখনো পাইনি। তবে আমরা সংস্কারকৃত সংবিধানকে সংশোধিত সংবিধান, ২০২৬ নামকরণের কথা বলেছিলাম।’
ঐকমত্য কমিশনের জমা দেওয়া সুপারিশ নিয়ে বিএনপির অসন্তুষ্টি প্রসঙ্গে এনসিপির নেতা আরিফুল ইসলাম আদীবের মন্তব্য হচ্ছে, যে বিষয়গুলো বিএনপির বিপক্ষে যায়, তারা সেগুলোকে অনৈক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হিসেবে দেখে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অধিকাংশ দল যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে, বিএনপি তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির ক্ষেত্রে ২৫টি দল একমত, বিএনপি আর এনডিএম একমত হয়নি।
এনসিপির নেতা বলেন, মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে ৩০টি দলের মধ্যে ২৫ থেকে ২৮টি দল একমত হয়েছে, সেখানে বিএনপি ও তাদের সমমনা কয়েকটি দল দ্বিমত করেছে। তিনি বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগে হওয়াকে ইতিবাচক বলে আমরা মনে করি। কারণ, গণভোটের মাধ্যমে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত ফয়সালা হয়ে যাবে। এরপরই সংস্কারের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হবে।
আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, আজকালের মধ্যে এনসিপির দলীয় সভা হতে পারে। সেখানে আলোচনা করে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।