ফোনের ওপাশ থেকে ভেসে এল হালকা হাসির আওয়াজ। এরপর খানিক থেমে সানী বললেন, ‘গানই আমার ঘর। আর সেই ঘরটা একটু নিঃসঙ্গতাই ভালোবাসে।’ নিঃসঙ্গ সেই ঘর থেকেই বেরিয়েছে অনেক সুর। সুরগুলো কখনো পর্দার নায়কের হৃদয় ছুঁয়েছে, কখনো শ্রোতার বুকের ভেতর ঢেউ তুলেছে। অথচ শিল্পী নিজে সব সময়ই থেকেছেন পর্দার আড়ালে, নিজের মতো করে। ‘অনিল বাগচীর একদিন’ চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করে ২০১৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সানী জুবায়ের। টরন্টোয় এখন সংগীতের নির্জন সাধনায় নিভৃতে কাটে তাঁর দিনরাত। অনেক দিন পর তাঁর সঙ্গে আলাপ। যদিও বহু দিনের চেনাজানা। নটরডেম কলেজে থেকে ভারতের নৈনিতালের কুমায়ূন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তরের বহু স্মৃতি আমাদের। আলাপের শুরুতে বললেন, ‘আমি সংগীতকে কেবল শিল্প বলেই দেখি না, এটা আত্মা থেকে আত্মায় যাওয়ার সেতু। এই মাধ্যমে তুমি নিজেকে বোঝো, অন্যকেও চেনো। আনন্দ, যন্ত্রণা, ভালোবাসা—সুরের ভেতর সব একসঙ্গে গলে যায়।’
‘অনিল বাগচীর একদিন’ চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করে ২০১৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সানী জুবায়ের। টরন্টোয় এখন সংগীতের নির্জন সাধনায় নিভৃতে কাটে তাঁর দিনরাত।ছোটবেলায় পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গোবিন্দ রবিদাসের কাছে তাঁর সংগীতচর্চা শুরু.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
আমার শরীরের প্রতিটি হাড় ভেঙেছে: টুইঙ্কেল
বলিউড অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না। বেশ আগে অভিনয়কে বিদায় জানিয়েছেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। এখন সংসার আর লেখক হিসেবে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় তার লেখা ‘মিসেস ফানিবোনস’ বইটি।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টুইঙ্কেল খান্না। এ আলাপচারিতায় বইটির এমন নামকরণ করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এই অভিনেত্রী। কেবল তাই নয়, এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন—তার শরীরের সব কটি হাড়ই ভেঙেছে।
আরো পড়ুন:
অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে বিতর্কে শাহরুখপুত্র
সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকা তারা
টুইঙ্কেল খান্না বলেন, “আমার শরীরের প্রতিটি হাড় ভেঙেছে, প্রতিটা হাড়ই। কিছুই বাকি নেই। আমার টেইলবোন, কলারবোন, হাত-পা ভেঙেছে। আমার বাঁ দিকে ৪০টা লিগামেন্ট টিয়ার, ডান দিকে ১০টা।”
হাড় ভাঙার পর ঘরবন্দি জীবনে লেখার প্রতি টুইঙ্কেলের ভালোবাসার বীজ বপন হয়েছিল। স্মৃতিচারণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “দীর্ঘ সময় আমাকে প্রচুর কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে বলব, আমাকে বসে পড়ার সময়ও দিয়েছে। কারণ আমি নাড়াচাড়া করতে পারতাম না, তাই কোনো উপায় ছিল না। আমি আজ যা, তা এটাই আমাকে বানিয়েছে।”
কীভাবে শরীরের হাড় ভেঙেছিল, তা জানিয়ে টুইঙ্কেল খান্না বলেন, “যতটুকু মনে পড়ে, জানালা থেকে পড়ে গিয়ে আমার কলারবোন ভেঙেছিল। একটা সাইকেলের ওপর লাফিয়ে পড়েছিলাম, তারপর মাটিতে। তখন আমার বয়স আট বা নয়। ওটাই আমার প্রথম হাড় ভাঙার ঘটনা। তারপর তো চলতেই থাকল।”
বইটির নামকরণের ইতিহাস জানিয়ে টুইঙ্কেল খান্না বলেন, “মিসেস ফানিবোনস’ ও ‘বাবা টুইঙ্ক দেব’ নাম আমারই দেওয়া। আমি টুইটারে (এক্স) অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে দেখি, ‘টুইঙ্কেলখান্না’ নামটি নিচ্ছে না। কী করা যায় তাই ভাবছিলাম। এরপর নিজেকে নিয়ে ভাবতে থাকি। তারপর মনে হলো—আমি তো একটু মজার। কারণ আমার এতগুলো ‘ফানিবোনস’ আছে। সেখান থেকেই জন্ম হয়, ‘মিসেস ফানিবোনস’।”
২০১৫ সালে প্রকাশিত ‘মিসেস ফানিবোনস’ বইটি মূলত বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা কলামের সংকলন। প্রকাশের পর বইটি বেস্ট সেলার হয়। দশ বছর পর প্রকাশিত হয় বইটির সিক্যুয়েল ‘মিসেস ফানিবোনস রিটার্ন’। সম্প্রতি বইটির মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। এখন পর্যন্ত টুইঙ্কেল খান্নার পাঁচটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তার ৬ নম্বর বইয়ের কাজ চলমান, এটি একটি উপন্যাস।
গত বছর ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ফিকশন রাইটিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন টুইঙ্কেল। গত বছরের ১৬ জানুয়ারি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। স্ত্রীর হাত ধরে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন অক্ষয়।
ডিম্পল কাপাডিয়া ও রাজেশ খান্না দম্পতির কন্যা টুইঙ্কেল খান্না। ব্যক্তিগত জীবনে বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়েন তারা। এ দম্পতির প্রথম সন্তান আরাভ কুমারের জন্ম হয় ২০০২ সালে। তাদের নিতারা কুমার নামে একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। ২০১২ সালে তার জন্ম হয়।
ঢাকা/শান্ত