ওয়ালটনে স্ট্র্যাটেজিক রিকভারি ও রিপোর্টিং এক্সিলেন্স শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
Published: 12th, July 2025 GMT
প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি হেড ও ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর টি. এম. আবদুল্লাহ-আল-ফুয়াদ।
এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল মাঠপর্যায়ের রিকভারি টিমকে আধুনিক কৌশলভিত্তিক আদায় পদ্ধতি, পেশাদার কমিউনিকেশন টেকনিক, ফলোআপ স্ট্র্যাটেজি এবং কার্যকর রিপোর্টিং কৌশল সম্পর্কে সচেতন ও দক্ষ করে তোলা। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন ১৮ জন রিকভারি কর্মকর্তা, যাদের প্রত্যেকেই সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত।
উদ্বোধনী অধিবেশনটি পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানের লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ট্রেইনিং ম্যানেজার মো.
তিনি বলেন, “রিকভারি পেশাকে আরো সিস্টেমেটিক, প্রফেশনাল ও সম্মানজনক করতে হলে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। এ ধরনের ইন-হাউজ প্রশিক্ষণ ওয়ালটনের মূল শক্তিকে আরও সুদৃঢ় করবে।”
মূল সেশনগুলোতে যা ছিল:
• স্ট্র্যাটেজিক রিকভারি ইনসাইট — কৌশলগত ফলোআপ, ধাপে ধাপে রিকভারি পরিকল্পনা
• কমিউনিকেশন ও নেগোশিয়েশন টেকনিক — সময়, ভাষা ও আচরণের প্রভাব
• রিপোর্টিং ও পারফরম্যান্স ট্র্যাকিং— কীভাবে স্পষ্ট, কার্যকর এবং ফলপ্রসূ রিপোর্ট তৈরি করা যায়
• স্মার্ট টুল — মোবাইল, হ্যান্ডনোট, প্রি-ডিজাইন টেমপ্লেট ও রিকভারি ট্র্যাকার
সমাপনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও ক্রেডিট রিকভারি বিভাগের প্রধান এস. এম. জাহিদ হাসান।
তিনি বলেন, “ক্রেডিট রিকভারি একটি সম্মানজনক এবং কৌশলগত পেশা। আজকের এই প্রশিক্ষণ আমাদের টিমকে আরো প্রফেশনাল করে তুলবে, এবং রিপোর্টিং-এর মাধ্যমে আমরা ব্যবসার গভীর বিশ্লেষণ করতে পারব।”
তিনি আরো বলেন, “ওয়ালটন চায়—প্রতিটি টিম মেম্বার চিন্তা করুক যেন তারা শুধু রিকভারি করছে না, বরং প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকের মধ্যে স্থায়ী বিশ্বাস ও নৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে “
প্রশিক্ষণের শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ‘রিকভারি রিপোর্টিং হ্যান্ডবুক’-এর একটি সংক্ষিপ্ত গাইড কপি প্রদান করা হয় যাতে সবাই নিজ নিজ কাজে সহজে প্রয়োগ করতে পারেন।
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে ৩ জনকে হত্যা: ৮ জন রিমান্ডে
কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৯ জুলাই) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজের ১১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মমিনুল হক এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিদের মধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ও সদস্য বাচ্চু মিয়াও রয়েছেন। অপর আসামিরা হলেন—রবিউল আউয়াল, আতিকুর রহমান (৪২), বায়েজ মাস্টার (৪৩), দুলাল (৪৫), আকাশ (২৪), মো. সবির আহমেদ (৪৮) এবং নাজিমুদ্দিন বাবুল (৫৬)। তাদের সবাইকে পৃথক পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরো পড়ুন:
গণপিটুনিতে তিনজনকে হত্যা: ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ২
প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে শ্বশুরবাড়ি পুড়িয়ে দিল গ্রামবাসী
কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. সাদিকুর রহমান জানিয়েছেন, গণপিটুনির মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে প্রত্যেক আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। রিমান্ড শেষে মেডিকেল করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যকে গণপিটুনি ও কুপিয়ে হত্যা করে। নিহতরা হলেন—কড়ইবাড়ি গ্রামের জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫), তার ছেলে রাসেল মিয়া (২৮) এবং মেয়ে জোনাকি আক্তার (২২)। এ সময় গুরুতর আহত হন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার। রুমাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর নিহত রুবির মেয়ে রিক্তা বেগম বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লাল ও ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়াসহ ৬৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পরপরই সেনাবাহিনী এবং র্যাব অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, গণপিটুনিতে তিনজনকে হত্যার মামলার তদন্তভার প্রথমে বাঙ্গরা থানাকে দেওয়া হলেও পরে তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত করছেন ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার চক্রবর্তী।
ঢাকা/রুবেল/রফিক