নিজ দলের কর্মীকে পুলিশে দিল বিএনপি
Published: 17th, August 2025 GMT
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় জীবন হোসেন নামে নিজ দলের এক কর্মীকে পুলিশে দিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে তাকে কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
অভিযুক্ত জীবন উপজেলার ফারাশপুর গ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
জায়ামাত-এনসিপি চায় না নির্বাচন হোক: দুলু
বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর হতে হবে: আযম খান
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, সম্প্রতি ইয়াবা কেনাবেচা নিয়ে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেন জীবন। সেই অডিও বিএনপির নেতাদের কাছে এলে তারা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করেন। মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় জীবনকে আজ কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন নেতারা।
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাইদুল বলেন, “জীবন হোসেন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মাদক কেনাবেচা নিয়ে তার একটি অডিও শনিবার আমাদের কাছে আসে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের নির্দেশে রবিবার জীবনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “মাদকের সঙ্গে কোনো আপোষ নেই। সঠিক প্রমাণ থাকলে মাদক ও চাঁদাবাজদের আমরা নিজেরাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করব।”
কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “জীবন নামে একটা ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।