ফের মা হতে যাচ্ছেন ভারতের জনপ্রিয় কমেডিয়ান ভারতী সিং। সোমবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে মা হতে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। ভারতী সিং ও হার্ষ লিম্বাচিয়া দম্পতির এটি দ্বিতীয় সন্তান। 

ভারতী সিং তার বেবি বাম্পের একটি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, কোনো পাহাড়ি অঞ্চলে দাঁড়িয়ে আছেন ভারতী। তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছেন তার বর হার্ষ। এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন—“আমরা আবারো প্রেগন্যান্ট।” 

আরো পড়ুন:

শর্বরীকে সঙ্গে নিয়ে ‘সাইয়ারা’ সিনেমার নায়কের নয়া মিশন

প্রাক্তন প্রেমিকা দীপিকায় বুঁদ রণবীর কাপুর (ভিডিও)

এরপর থেকে ভক্ত-অনুরাগীদের পাশাপাশি সহকর্মীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন ভারতী-হার্ষ দম্পতি। অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি লেখেন, “অভিনন্দন।” ফারাহ খান লেখেন, “আরে বাহ! অভিনন্দন।” অভিনেত্রী কাশ্মীরা শাহ লেখেন, “ঈশ্বর তোমাদের দুজনকেই আশীর্বাদ করুন।” নিয়া শর্মা লেখেন, “ এ খবরে হৃদয় হাসছে।” এমন অসংখ্য মন্তব্য শোভা পাচ্ছে কমেন্ট বক্সে।  

কয়েক বছর প্রেম করে ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর লেখক হার্ষের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ভারতী। ২০২২ সালের ৩ এপ্রিল পুত্র সন্তানের মা হন। এটি তাদের প্রথম সন্তান।  

একই বছরের শেষের দিকে গর্ভধারণের অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ভারতী। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন, হঠাৎ করেই ভারতী নাকি বুঝতে পারেন তিনি মা হবেন। তাও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আড়াই মাস পর। তার বেশি ওজনের জন্যই নাকি আড়াই মাস পর্যন্ত বুঝতে পারেননি তিনি অন্তঃসত্ত্বা। 

২০২৩ সালে অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের ‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’ রেডিও শোয়ে হাজির হয়েছিলেন ভারতী। এসময় কারিনা কাপুরকে চমকে দিয়ে ভারতী বলেছিলেন—“আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন বর না কি খাবার কোনটি থেকে আপনি ১৫ দিন দূরে থাকতে পারবেন? জবাবে বলব, তাহলে আমি আমার স্বামীর কাছ থেকে দূরে থাকব।” 

এসব কথা বলার পরই ভারতী বলেছিলেন, “আমি আবার মা হতে চাই। কারণ আমি এটা খুব উপভোগ করছি।” অবশেষে ভারতীর সেই ইচ্ছা পূর্ণ হতে যাচ্ছে। তবে কবে নাগাদ দ্বিতীয় সন্তানের মুখ দেখবেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি এই কমেডিয়ান। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক সন ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকের রিমান্ড চায় পুলিশ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হাসান এ আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালতে আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আবদুল হান্নানকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর পল্টন থানার এসআই শামীম হাসান আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের চারটি কারণে দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা অজ্ঞাতনামা দুজন সন্ত্রাসী ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। গুলিতে ওসমান হাদি গুরুতর জখম হন। র‍্যাব-২ ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে মোটরসাইকেলের মালিক মো. আবদুল হান্নানের বিষয়ে জানতে পারে। ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোটরসাইকেলের বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি আসামি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আসামিকে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিদের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার, জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের নাম–ঠিকানা সংগ্রহসহ অবস্থান জানা, মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন ও তথ্য-অর্থের সম্পর্ক সংগ্রহ এবং কোন স্থান থেকে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে, তার উৎস জানার জন্য পুলিশের নিজ হেফাজতে রেখে আবদুল হান্নানকে সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেটের (রেজিস্ট্রেশন নম্বর) সূত্র ধরে গতকাল শনিবার আবদুল হান্নানকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আটক করে র‍্যাব-২। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মোটরসাইকেলটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন। পরে তাঁকে পল্টন মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা একটি মোটরসাইকেল থেকে এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করেন। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুনওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের নম্বর ধরে মালিককে আটক৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ