ঢাকায় আসছেন—এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেতা আহাদ রাজা মির। গতকাল বুধবার এক ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি লিখেছেন, ‘হাই বাংলাদেশ, শিগগিরই দেখা হবে।’ সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা জুড়ে দেন তিনি।

আহাদকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা চলছে। কেউ কেউ লিখেছেন, আহাদ রাজা মিরকে দেখতে মুখিয়ে আছেন তাঁরা। অনেকে প্রশ্ন করেছেন, তিনি কবে আসছেন?

তিনি কবে ঢাকায় আসছেন, কেনই–বা আসছেন কিংবা কারা নিয়ে আসছেন, তা এখনো খোলাসা করেননি এই পাকিস্তানি তারকা।

অভিনেতা আহাদ রাজা মির.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আহ দ র জ আসছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রোববার থেকে দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকা দেওয়া শুরু

দেশে রোববার ১২ অক্টোবর থেকে প্রথমবারের মতো টাইফয়েডের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে। সরকার প্রায় পাঁচ কোটি শিশু-কিশোর-কিশোরীকে বিনা মূল্যে এই টিকা দেবে। জন্মসনদ নেই এমন শিশুরাও এই টিকা পাবে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলা হয়। ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ উপলক্ষে এই সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। সহযোগিতা করে ইউনিসেফ।

দেশে টাইফয়েডের টিকার এটাই প্রথম ক্যাম্পেইন। চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। টিকাটি তৈরি করেছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সরকার এই টিকা পেয়েছে টিকাবিষয়ক আন্তর্জাতিক মঞ্চ গ্যাভির কাছ থেকে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে) অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, টিকাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। এটি নিরাপদ। নেপাল, পাকিস্তানসহ আরও আটটি দেশে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। এই টিকার বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনো উদাহরণ নেই। তিনি বলেন, টাইফয়েড সারাতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। টাইফয়েড কমে এলে দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমে আসবে।

ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানানো হয়, দেশে ২০২১ সালে ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে মারা যায় ৮ হাজার, এদের ৬৮ শতাংশ ছিল শিশু। দেশে টাইফয়েডের প্রকোপ বিষয়ে ধারাবাহিক তথ্য, উপাত্ত ও পরিসংখ্যান না থাকলেও অনুমান করা হচ্ছে এটি বাড়ছে। এ ছাড়া ওষুধ প্রতিরোধী টাইফয়েড জ্বরের প্রকোপও দিন দিন বাড়ছে।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, ক্যাম্পেইনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত সব ছাত্র-ছাত্রীকে এক ডোজ করে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। এর বাইরেও ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে। শহর এলাকার পথশিশুদের টিকা দেবে এনজিওরা।

৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। বলা হয়, ইতিমধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশু টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে। এই নিবন্ধন অব্যাহত আছে। যেসব শিশুর জন্মসনদ নেই বা জন্মনিবন্ধন হয়নি, তাদের জন্যও টিকার নিবন্ধন করা যাবে। এর জন্য নিকটস্থ টিকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ