আব্দুল করিমের ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ডাকসুর পুঁথিপাঠ
Published: 11th, October 2025 GMT
বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান পুঁথি গবেষক মুন্সী আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘পুঁথিপাঠের আসর’ আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।
শনিবার (১১ অক্টোবর) ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় এ আসরের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
বুয়েট ও ঢামেকে ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতা অভিযান
১৩ শতাধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অংশগ্রহণে ঢাবিতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এসএম ফরহাদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহদী হাসান। এছাড়া উদ্বোধনী বক্তব্য দেন জুলাই বিপ্লবে আহত যোদ্ধা ইশরাত জাহান ইমু এবং স্বাগত বক্তব্য দেন ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে শুরুতে পুঁথি পাঠ করেন বিশিষ্ট পুঁথি পাঠক বিন বনি আমিন মুন্না এবং উমামা জাহান মিম। এরপর জুলাই অভ্যুত্থানের উপর স্বরচিত পুঁথি পাঠ করেন পুঁথি পাঠক ও মুহসিন হল সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক মো.
প্রধান পুঁথি পাঠক হিসেবে পুঁথি পরিবেশন করেন পুঁথি গায়ক, সঙ্গীত পরিচালক ও শিক্ষক শ্রী পরিমল কুমার মজুমদার এবং মহানবীর (সা.) জীবনী নিয়ে পুঁথি পাঠ করেন শিশুশিল্পী আহনাফ আদিল শাফী ও তাসনিম ফারহান মাহির।
পুঁথিপাঠের আসর অনুষ্ঠানে ডাকসু নেতৃবৃন্দ বলেন, পুঁথি পাঠ এবং পান্ডুলিপি পাঠোদ্ধারের চর্চাকে পুনরুজ্জীবিত করাই এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য। প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা এবং এ বঙ্গীয় অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার ও টিকিয়ে রাখতে ডাকসুর এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম আলো আজ শুধু পত্রিকা নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান
নানা প্রতিকূলতা ও বাধা সত্ত্বেও প্রথম আলো কখনো সত্য প্রকাশে পিছপা হয়নি। সত্যই প্রথম আলোর সাহস ও শক্তি। সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশের কারণে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রথম আলোর পথচলা ছিল স্রোতের বিপরীতে। প্রথম আলো আজ শুধু একটি পত্রিকা নয়, এটি একটি প্রতিষ্ঠান। সমাজের অসংগতি তুলে ধরার পাশাপাশি প্রথম আলো আরও বেশি ইতিবাচক খবর উপস্থাপন করবে—এটাই পাঠকদের প্রত্যাশা।
প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট কুমিল্লা কেন্দ্রের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। এতে কুমিল্লার শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, গণমাধ্যমকর্মী, উদ্যোক্তা, লেখক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্মকর্তা, আইনজীবী, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনেরা অংশ নিয়ে প্রথম আলো সম্পর্কে তাঁদের মতামত তুলে ধরেন।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সমাবেশের শুরু হয়। পরে প্রথম আলোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে আয়োজন সহযোগী হিসেবে ছিল কুমিল্লার কোটবাড়ী এলাকায় প্রতিষ্ঠিত সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
‘আমরা প্রথম আলোর পাশে রয়েছি’
সমাবেশে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল বাশার ভূঁঞা বলেন, ‘প্রথম আলো তার নিজস্বতা নিয়ে যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে, সেটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনে বাংলাদেশে তারাই প্রথম বলে আমি মনে করি। অতীতের মতো আগামী দিনেও প্রকৃত সত্য তুলে ধরবে প্রথম আলো সব সময়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল হাকিম বলেন, প্রথম আলো পত্রিকা সব সময় সত্যটাই প্রকাশ করে। এটাই তাঁদের শক্তি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আলী রাজিব মাহমুদ বলেন, ‘২৭ বছর ধরে একটি পত্রিকা প্রকাশ হওয়া মানে এই পত্রিকা আমাকেও গড়ে তুলেছে। কারণ, এই পত্রিকার শিক্ষা পাতার নিয়মিত পাঠক ছিলাম আমি। গোটা দেশ ও গোটা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দেওয়ার জন্য প্রথম আলোর প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রাশেদুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে ওঠে প্রথম আলো না পড়লে পত্রিকা পড়ার তৃপ্তি পাই না। প্রথম আলো ছাত্রজীবন থেকেই আমার আস্থায় রয়েছে। এখনো প্রতিদিনই প্রথম আলোর সঙ্গে আছি।’
আরও পড়ুনপ্রথম আলো বাংলাদেশের মানুষের বিজয়ের সঙ্গী২২ ঘণ্টা আগেপ্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে মঞ্চে বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা। আজ শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে