রোনালদোর অষ্টম পেনাল্টি মিস, তবুও শীর্ষে পর্তুগাল
Published: 12th, October 2025 GMT
পেনাল্টি মিস করে হতাশার মধ্যে ডুবে গিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু সেই হতাশা দূর করে শেষ মুহূর্তে নায়ক হয়ে উঠলেন রুবেন নেভেস। তার ইনজুরি-টাইম গোলেই পর্তুগাল শনিবার দিবাগত রাতে নাটকীয়ভাবে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডকে। আর ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে পর্তুগীজরা।
লিসবনের জোসে আলভালাদে স্টেডিয়ামে যেন দেজা ভু। চার বছর আগেও এই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যোগ করা সময়ে জোড়া গোল করে নায়ক হয়েছিলেন রোনালদো। এবারও শেষ মিনিটেই জয় ছিনিয়ে নিলেন তার সতীর্থ নেভেস, যেন সেই স্মৃতি নতুন করে ফিরে এলো।
আরো পড়ুন:
আলবার বিদায়ী রাতে মেসির রেকর্ড
দক্ষিণ কোরিয়ার জালে ব্রাজিলের ৫ গোল
এই ম্যাচের ৭৫ মিনিটে স্লোভাক রেফারি ইভান ক্রুজলিয়াক পেনাল্টির বাঁশি বাজান। এ সময় ফ্রান্সিসকো ত্রিনকাওয়ের শটে দারা ও’শিয়ার হাতে লেগেছিল বল। সবাই যখন ধরে নিয়েছে রোনালদোই এবার পর্তুগালকে এগিয়ে দেবেন। তখন আয়ারল্যান্ডের গোলরক্ষক কেলেহার অবিশ্বাস্য সেভ করেন। রোনালদোর পেনাল্টি ফিরিয়ে দেন তার পা দিয়ে! মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে নিস্তব্ধতা। এটা ছিল জাতীয় দলের হয়ে রোনালদোর অষ্টম পেনাল্টি মিস। আর ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৩০তম।
কিন্তু ফুটবল যে অনিশ্চয়তার খেলা, তা আবারও প্রমাণিত হলো ইনজুরি টাইমে। প্রথম মিনিটেই ত্রিনকাওয়ের ক্রস থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন রুবেন নেভেস। বল কেলেহারকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়াতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম, বাঁচলো রোনালদোর সম্মানও।
আয়ারল্যান্ডের জন্য ম্যাচটি ছিল গর্বের, কিন্তু ফল ছিল নির্মম। তিন ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা কঠিন পরিস্থিতিতে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) আর্মেনিয়ার বিপক্ষে জয় না পেলে প্লে-অফের আশা কার্যত শেষ হয়ে যাবে তাদের।
অন্যদিকে, পর্তুগাল স্বস্তিতে এগোচ্ছে তাদের লক্ষ্যপথে। ৩ ম্যাচ খেলে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে ‘এফ’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল পর ত গ ল পর ত গ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পদ ও সন্তান লাভের জন্য প্রার্থনা
জীবনের এমন অনেক মুহূর্ত আসে যখন মনে হয়, সবকিছু যেন থমকে দাঁড়িয়েছে। আয়ের উৎস শুকিয়ে যাওয়া, পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে থাকা বা জীবনে বরকতের অভাব—এসব চাপে মানুষের মন ভারী হয়ে ওঠে। ইসলামে এমন সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এমন একটি দোয়া মহানবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর সেবক আনাস ইবনে মালিক (রা.)-এর জন্য করেছিলেন। এই দোয়া শুধু ধন-সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধি চায় না, বরং সবকিছুতে আল্লাহর বরকত কামনা করে।
দোয়ার উৎস ও প্রেক্ষাপটহাদিসে বর্ণিত, আনাস (রা.)-এর মা উম্মে সুলাইম নবীজিকে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার এই সেবক আনাসের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’ তখন নবীজি (সা.) দোয়া করেন: ‘আল্লাহুম্মা আকসির মালাহু ওয়া ওয়ালাদাহু, ওয়া বারিক লাহু ফীমা আ'তাইতাহু।’
এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং পৌত্রাদি মিলিয়ে তিনি ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।আরও পড়ুনতাকওয়া মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্পদ৩০ জুন ২০২৫অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তার ধন-সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দাও এবং তুমি যা দান করেছ, তাতে তার জন্য বরকত দান করো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৩৪৪)
আনাস (রা.) তখন মাত্র দশ বছরের একটি ছেলে, যিনি নবী (সা.)-এর সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। এই দোয়ার ফলাফল অবিশ্বাস্য: আনাস (রা.) ১০৩ বছর বেঁচে ছিলেন এবং তাঁর তিনি পৌত্রাদি মিলিয়ে ১২০-এরও বেশি সন্তান লাভ করেন (সহিহ মুসলিম থেকে বর্ণিত)। তাঁর জীবন ছিল বরকতের জীবন্ত উদাহরণ।
দোয়ার উদ্দেশ্য শুধু ধন নয়, বরকতএই দোয়ার সৌন্দর্য এতে যে এটি ধন-সম্পদের পাশাপাশি বরকতের জন্য প্রার্থনা করে। ইসলামে ধনকে শুধু সঞ্চয় নয়, বরং আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে দেখা হয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯)
আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে ধর্মের দাবি১৯ মে ২০২৫ধন বেড়ে গেলেও যদি বরকত না থাকে, তাহলে তা ধুলোর মতো উড়ে যায়।’সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬,৪৩৯আধুনিক জীবনে এর প্রাসঙ্গিকতা আরও বেশি। অর্থনৈতিক সংকট, চাকরির অনিশ্চয়তা বা পরিবারের চাপে অনেকে কষ্ট পান। কিন্তু এই দোয়া স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সত্যিকারের সমৃদ্ধি আল্লাহর রহমতে। সন্তানের ক্ষেত্রেও তাই—সন্তান লাভের সঙ্গে তাদের সুস্থতা, শান্তি ও ইমানের বরকত চাওয়া জরুরি।
আজকের দিনে, যখন পরিবারের আকার ছোট হচ্ছে এবং অর্থের চাপ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ধর্মীয় অনুশীলন (যেমন দোয়া) মানসিক চাপ কমায় এবং জীবনে ইতিবাচকতা বাড়ায়। ইসলামি ঐতিহ্যে এই দোয়া শুধু ব্যক্তিগত নয়, পরিবারের জন্যও ব্যবহার করা যায়।
দোয়ার সঙ্গে সদকা দেওয়া, কোরআন তিলাওয়াত এবং হালাল উপার্জনের চেষ্টা করুন—এগুলো বরকতের দরজা খোলে।
আরও পড়ুনসন্তান প্রতিপালনে মহানবী (সা.)-এর ১০টি নির্দেশনা২০ আগস্ট ২০২৫