ফাইল ছবি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘চরিত্ররা কেউ কথা বলে না, শুধু হাঁটে আর চিন্তা করে!’

বুদাপেস্টের এক বিষণ্ন বিকেল। শহরের বুকজুড়ে নীরবতা, বৃষ্টি পড়ছে অনবরত, আর এক তরুণ লেখক কাঁধে একটি ছেঁড়া ব্যাগ ঝুলিয়ে হাঁটছেন প্রকাশনা অফিসের দিকে। ব্যাগে তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘সাতানট্যাঙ্গো’র পাণ্ডুলিপি। ১৯৮৩ সাল। হাঙ্গেরিতে তখন কঠোর সমাজতান্ত্রিক শাসন, সাহিত্যে কেবল উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিশানা দেখানো ছাড়া অন্য বয়ান সরকারের কাছে ‘অনুচিত’ মনে করা হয়।

লাসলো ক্রাসনাহোরকাই তখনো একেবারেই অজানা নাম। প্যারিস রিভিউকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাসলোর ভাষায়, ‘আমি কেবল চেয়েছিলাম মানুষকে তার নিজের ভয়টার সামনে দাঁড় করাতে। প্রকাশক পাণ্ডুলিপি দেখে দ্বিধায় পড়েছিলেন। তিনি বলেন, এই বইয়ে তো কেউ কথা বলে না, শুধু হাঁটে আর চিন্তা করে! পাঠক কি ঘুমাবে না?’

লাসলো শান্তভাবে জবাব দেন, ‘তারা ঘুমাবে না, তারা ভয় পাবে।’ সংলাপটি প্রথম উল্লেখ করেন লেখকের জীবনীকার জর্জ শির্তেশ (George Szirtes), যিনি ‘সাতানট্যাঙ্গো’র ইংরেজি অনুবাদকও।

সাতানট্যাঙ্গো বইয়ের প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ