কক্সবাজারের রামু ফতেখারকুল নাথপাড়ার চিলভী বড়ুয়া ওরফে ববি বড়ুয়া নামের এক নারী তার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।

তার অভিযোগ, এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী জিটু বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া, শিবু বড়ুয়া এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডার রিজন বড়ুয়া তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করছেন। 

আরো পড়ুন:

‘অবৈধ’ সম্পদের খোঁজ: সাবের হোসেন ও তার স্ত্রীর নামে মামলা করছে দুদক

গুমে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাসদর

এ অবস্থায় নিজের ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণের নিরাপত্তা চেয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজারে সংবাদ সম্মেলন করেন ববি বড়ুয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ববি বড়ুয়া বলেন, “আমি একজন অসহায় স্ত্রী, নির্যাতিত মা ও নিরাপত্তাহীন নারী। আমার স্বামী খোকন বড়ুয়া ফতেখারকুল ইউনিয়নের নাথপাড়ায় তেমহনী বাজারে একটি ছোট মুদি দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী চক্র জিটু বড়ুয়া, রুবেল বড়ুয়া, শিবু বড়ুয়া ও ছাত্রলীগ ক্যাডার রিজন বড়ুয়া আমাদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমরা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে।”

তিনি বলেন, তার স্বামী বিষয়টি আদালতে তুলে ধরলে অভিযুক্তরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। গত ২৪ জুন চারজন মিলে তাদের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ২৬ জুন মামলা করলে উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

জীবন নিয়ে পালিয়ে থাকার কষ্টকর অবস্থার  বর্ণনা দিতে গিয়ে বিবি বড়ুয়া বলেন,  “তারা প্রকাশ্যে বলছে, ‘তোমাদের মেরে ফেলব, লাশ গুম করে দেব। এমনকি তারা আমার সন্তানদের স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এতে আমার দুই মেয়ে ও দুই পুত্র বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। আমরা বর্তমানে অজ্ঞাত স্থানে মানবেতর জীবনযাপন করছি।”

তিনি আরো বলেন, “অভিযুক্ত রিজন বড়ুয়া নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাদের মানহানি করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। অথচ তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় ক্যাডার ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী।”

সংবাদ সম্মেলনে বিবি বড়ুয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার পরিবার ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার, তার স্বামীর দোকানটি পুনরায় খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।

ঢাকা/তারেকুর/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর ধ সন ত র স পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাপ্তবয়স্কদের এই নতুন বাংলা সিনেমায় আসলে কী আছে

চলচ্চিত্র পরিচালকেরা বরাবরই বলে থাকেন, ‘সপরিবার ছবিটি দেখতে আসুন।’ তবে ‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’ নির্মাতা জয়ব্রত দাশ বলছেন, ‘ছবিটি সপরিবার দেখবেন না’; সিনেমার পোস্টারেও বিধিসম্মত সতর্কীকরণটি জুড়ে দিয়েছেন তিনি।

৫টি কিংবা ১০টি নয়, ৫৪টি দৃশ্য বদলের পর সিনেমাটিকে ‘অ্যাডাল্ট’ সনদ দিয়েছে সার্টিফেকেশন বোর্ড। সাম্প্রতিককালে এতগুলো দৃশ্য বদলের পরও ‘অ্যাডাল্ট’ সনদ পাওয়ার ঘটনা কলকাতার সিনেমায় দেখা যায়নি।

সিনেমার পোস্টার

সম্পর্কিত নিবন্ধ