দুই লেনের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেন করার দাবিতে সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উপজেলা পরিষদ ও আমিরাবাদ স্টেশনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। অবরোধের কারণে মহাসড়কে প্রায় ২০ মিনিট যানচলাচল বন্ধ ছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে সরে যান স্থানীয় বাসিন্দারা।

অবরোধকারীদের দাবি, দুই লেনের সড়কের কারণে, প্রায়ই দীর্ঘ যানজটে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। এ ছাড়া কিছুদিন পরপরই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে প্রাণও যাচ্ছে। এরপরও সরকার এই সড়কের দিকে নজর দিচ্ছে না। এ কারণে তাঁরা অবরোধ শুরু করেছেন।

অবরোধকারীদের একজন লোহাগাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা তামিম মির্জা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দ্রুত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংস্কার করে ছয় লেন করতে হবে। ফিটনেসহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। নাইলে মহাসড়কে দুর্ঘটনার কমবে না।’

অবরোধে অংশ নেওয়া লোহাগাড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুসলিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মহাসড়ককে ছয় লেনে উন্নীত করার দাবি না মেনে নিলে তাঁরা কঠোর কর্মসূচি নেবেন। দ্রুত সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

জানতে চাইলে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছয় লেনের দাবিতে ছাত্র-জনতা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা তাঁদের দাবি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানাব। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছয় ল ন অবর ধ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণ আফ্রিকায় হোস্টেলে বন্দুক হামলা, নিহত ১১

দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হোস্টেলে বন্দুক হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোরে রাজধানী প্রিটোরিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত সলসভিল শহরতলিতে বন্দুকধারীদের হামলায় আরো ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে।

পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার অ্যাথলেন্ডা ম্যাথে বলেন, “কমপক্ষে তিনজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী এই হোস্টেলে প্রবেশ করে, যেখানে একদল লোক মদ্যপান করছিল এবং তারা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।”

গুলিবর্ষণের উদ্দেশ্য অজানা এবং এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অপরাধপ্রবণ দেশটিতে ধারাবাহিক গণহারে গুলিবর্ষণের ঘটনাগুলির মধ্যে এটি সর্বশেষ ঘটনা।

হামলায় নিহতদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী এক ছেলে এবং ১৬ বছর বয়সী এক মেয়েও রয়েছে।

ম্যাথে বলেন, “"আমি নিশ্চিত করতে পারি যে মোট ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।”

হোস্টেলটিকে ‘অবৈধ শিবিন’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এই অবৈধ ও লাইসেন্সবিহীন মদের দোকানের ক্ষেত্রে আমরা একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। এখানে নিরপরাধ মানুষও ক্রসফায়ারের কবলে পড়ে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ