নেত্রকোনায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার
Published: 17th, October 2025 GMT
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজছাত্রীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এক কবিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কুল্লাগড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার কবিরাজ নূর মোহাম্মদ (৪৩) কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেড়াতলী গ্রামের বাসিন্দা। গত রোববার ভুক্তভোগী ছাত্রী তাঁর বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী উপজেলার একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়েন। নূর মোহাম্মদ ওই ছাত্রীর বাবাকে দীর্ঘদিন ধরে কবিরাজি চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। ছাত্রীর বাড়িতে তাঁর আসা-যাওয়া থাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কয়েক মাস ধরে তিনি ওই তরুণীকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করাসহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মেয়েটি সাড়া দেননি। ৭ অক্টোবর রাতে ওই ছাত্রীকে মুখে কাপড় চেপে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ বিষয়ে কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ পলাতক ছিলেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে দেয়াললিখন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচনের দাবিতে দেয়াললিখন কর্মসূচি পালন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’–এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
‘শাকসু আমার অধিকার’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘শাকসু চাই’ স্লোগানসংবলিত লেখা প্রশাসনিক ভবন, গ্রন্থাগার ভবন, নতুন ফুডকোর্ট এলাকা, গোলচত্বরের সড়কের ওপর রঙিন স্প্রে দিয়ে লিখতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা বলেন, শাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসন গড়িমসি করছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়ে গেলেও শাবিপ্রবি প্রশাসন টালবাহানা করছে।
শিক্ষার্থীদের একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর শেষ হলেও তারা ছাত্র সংসদ আয়োজন করতে পারেনি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে শুধু আশ্বাসই পাচ্ছি। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ চালুর মাধ্যমে আমরা নতুন আঙ্গিকে ছাত্ররাজনীতির চর্চা চেয়েছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীদের দাবি নভেম্বরের মধ্যে শাকসু নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। নয়তো আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঘোষণা দিয়েছিলেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে শাকসু নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে শাকসু নির্বাচনের জন্য ৮ অক্টোবর গঠনতন্ত্র পুনঃ প্রণয়ন করেছে কর্তৃপক্ষ। এরপর ১২ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন করে শাকসুর গঠনতন্ত্র হস্তান্তর করার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত তা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।