গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
Published: 18th, October 2025 GMT
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রায় ১০ ঘণ্টা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা।
আজ শনিবার সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জরুন আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্বাধীন গার্মেন্টস লিমিটেডের শতাধিক শ্রমিক। এ সময় রাস্তাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
কারখানার শ্রমিকেরা জানান, স্বাধীন গার্মেন্টস লিমিটেডের শ্রমিকদের দুই মাস ধরে বেতন পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। বেতন পরিশোধ করা হবে বলে বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ ৫ অক্টোবর কারখানা কর্তৃপক্ষ ১৮ অক্টোবর বেতন পরিশোধের তারিখ নির্ধারণ করে। পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ সকালে শ্রমিকেরা কারখানার সামনে এসে দরজা বন্ধ দেখতে পান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা কারখানার সামনের আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
কারখানার সুইং অপারেটর হাসি বেগম বলেন, ‘গত দুই মাস আমরা ডিউটি করেছি এবং ওভারটাইমও করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের বেতন দেওয়া হয়নি। চলতি মাসও প্রায় শেষের দিকে। অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে রাস্তা অবরোধ করেছি।’
স্বাধীন গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কামরুজ্জামান বলেন, ‘শ্রমিকদের গত দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার চেষ্টা করছি। কারখানার আর্থিক সংকটের কারণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।’
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ জামান বলেন, শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন। চলতি মাসের ২৪ তারিখে বেতন দেওয়া হবে বলে মালিকপক্ষ থেকে কারখানার প্রধান ফটকে একটি নোটিশ টাঙানো হয়েছে। তবে শ্রমিকেরা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে গেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনা কারাগারে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৮
খুলনা জেলা কারাগারে কয়েদিদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সংঘর্ষ হয়। কারারক্ষীরা লাঠিচার্জে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কারারক্ষীসহ আটজন আহত হয়েছে।
খুলনার জেল সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান রাতে এ সব তথ্য জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য, অতিষ্ঠ মাদারীপুরবাসী
বিএনপি ২ পক্ষের সংঘর্ষ: মিলনের পর ভাই আলমের মৃত্যু
জেল সুপার রাইজিংবিডি-কে জানান, বাবু, শিমুল এবং লাভলু গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও পরে মারামারি শুরু হয়। আধাঘণ্টার বেশি সময় ধরে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পাগলা ঘণ্টা বাজিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়। এক পর্যায়ে কারারক্ষীরা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পরিস্থিতি কারা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে একজন কারারক্ষীসহ আটজন সামান্য আহত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কারারক্ষী জানান, খুলনার দুটি প্রভাবশালী সন্ত্রাসী গ্রুপ গ্রেনেড বাবু গ্রুপ ও কালা লাভলু গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলে। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
কারারক্ষীরা আরো জানান, বন্দিদের মধ্যে অনেকে এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানছে না। কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ সীমিত থাকায় তাদের মধ্যে বেপরোয়া আচরণ বাড়ছে।
একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য জানান, বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিট থেকে ৬ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এতে অন্তত ৪ থেকে ৫ জন বন্দি আহত হয়েছে। ৪০ থেকে ৪৫ জন কয়েদি সংঘর্ষে অংশ নেয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ভাই রাব্বি চৌধুরী, তার অনুসারী হিরন; রুহান-পলাশ গ্রুপের পলাশ, কালা লাবলু, সৈকত ও মইদুল প্রমুখ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার খবর পেয়ে জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধানের নেতৃত্বে কারারক্ষীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ কারারক্ষীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। পরে উত্তেজিত বন্দিদের আলাদা লকারে স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল