শিক্ষকেরা নব উদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, আশা প্রধান উপদেষ্টার
Published: 21st, October 2025 GMT
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ফলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা নব উদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়, চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে বাড়িভাড়া আরও সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ আগামী জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়িভাড়া মূল বেতনের ১৫ শতাংশ পাবেন। তবে কারও বাড়িভাড়া দুই হাজার টাকার কম হবে না।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বাড়ানোর দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে ঢাকায় আন্দোলন করে আসছিলেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ বাড়িভাড়া বাড়ানোর পর আন্দোলন প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি নিয়ে গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে। তবে বাস্তবতা হলো, ১৫ বছরের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গতিশীল হলেও এখনই মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির মতো সামর্থ্যের অর্থনীতিতে ফেরেনি। তাই সরকারকে বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, আন্দোলনরত শিক্ষকেরা নব উদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে অবদান রাখবেন। তিনি শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনবাড়িভাড়া বাড়ানোর পর শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন উপদ ষ ট র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বকাপের ড্রতেই ব্রাজিলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ইঙ্গিত
বিশ্বকাপ ফুটবলে এটা হবেই। পছন্দের দলের সাফল্যের পথ বের করতে আকাশ-বাতাস এক করে সমীকরণ মেলান ভক্তরা। এবার যেমন ব্রাজিলের ক্ষেত্রেও হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটন ডিসিতে গতকাল রাতে বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানের পর থেকেই কেউ কেউ বলছেন, ব্রাজিল তো চ্যাম্পিয়ন হয়েই গেল!
অবশ্যই প্রশ্ন উঠছে—কীভাবে? সেটার ব্যাখ্যা শুনলে একটু অবাকও লাগতে পারে। তবে কাকতাল তো বটেই।
ব্রাজিল সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছে ২০০২ সালে। সেবার ‘সি’ গ্রুপ থেকে ধাপে ধাপে ফাইনালে উঠে এসেছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছেন ব্যাপারটি—ব্রাজিল এবার বিশ্বকাপেও তো ‘সি’ গ্রুপে! শুধু তাই নয়, ২০১৮ বিশ্বকাপ ও ২০২২ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দুই দলও কিন্তু ‘সি’ গ্রুপ থেকে উঠে এসেছে।
২০১৮ বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপের দল ছিল পরবর্তী সময়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ফ্রান্স। চার বছর পর কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে উঠে এসেছিল ‘সি’ গ্রুপ থেকে। কাকতালে বিশ্বাস রাখা ব্রাজিলের ভক্তরা তাই বলতেই পারেন, এবার তাহলে কেন নয়? কারণ, ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল ‘সি’ গ্রুপের দল, যেখানে তাদের তিন প্রতিদ্বন্দ্বী—মরক্কো, হাইতি ও স্কটল্যান্ড।
মরক্কো ও স্কটল্যান্ড বিশ্বকাপে ব্রাজিলের চেনা প্রতিপক্ষ। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে দুটি দলকেই হারিয়েছে তারা। কিন্তু বিশ্বকাপে ব্রাজিল এর আগে কখনো হাইতির মুখোমুখি হয়নি। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বকাপে হাইতি হবে ব্রাজিলের ৫০তম আলাদা প্রতিপক্ষ।
বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে স্ত্রী মারিয়ান ব্যারেনার সঙ্গে ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তি