বিভিন্ন দেশের চিন্তাবিদ, রাজনীতিক, কূটনীতিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের নিয়ে ঢাকায় আগামীকাল শনিবার শুরু হতে যাচ্ছে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন। চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ আয়োজন চলবে টানা তিন দিন।

আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫’ আয়োজন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংস্থাটির সভাপতি জিল্লুর রহমান আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন। পাঁচ তারকা হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে এবার এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সিজিএস জানিয়েছে, চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনে ৮৫টি দেশের ২০০ বক্তা, ৩০০ প্রতিনিধি ও এক হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী যোগ দেবেন। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ভাঙন ও পুনর্গঠন: পরিবর্তনশীল বিশ্বে ক্ষমতা ও বিশৃঙ্খলতার মধ্যে পথনির্দেশ’। ২২ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ সম্মেলন চলবে।

জিল্লুর রহমান বলেন, সবাই একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন অংশীদারত্বের উদ্ভব ঘটেছে। রাজনীতি, অর্থনীতি ও প্রযুক্তির এই সময়ে বঙ্গীয় এই অঞ্চল এখন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে।

সিজিএসের সভাপতি আরও বলেন, এসব পরিবর্তনের ভবিষ্যৎ প্রভাব কী হবে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের জন্য সামনে কী রয়েছে, তা এই সম্মেলনের আলোচনায় উঠে আসবে।

জিল্লুর রহমান বলেন, বে অব বেঙ্গল সম্মেলন প্রথম দুই বছর আয়োজন করতে গিয়ে বিগত সরকারের সময় তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। প্রথম বছরের আয়োজনে হোটেলে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি ছিল। স্পনসরদের হুমকি দেওয়া হতো। বিদেশি অতিথিদের আসতে না করা হতো।

জিল্লুর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় সরকারের সঙ্গে না থাকলে কোনো কিছুই সহজ নয়। তাঁর সংস্থা কাজের দিক থেকে স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলে। এই আয়োজনের অর্থের জোগানের বিষয়ে ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে বলেও জানান তিনি।

এবারের সম্মেলনে পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী। তিনি বলেন, এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় ভূরাজনৈতিক সম্মেলন।

এবারের বিষয়গুলো হচ্ছে—পরিবর্তিত জোট ও ক্ষমতার নতুন কাঠামো; বহুমাত্রিক সংকট: যুদ্ধ, ভঙ্গুর রাষ্ট্র ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার সমাপ্তি; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভুয়া তথ্যের হুমকি; নিষেধাজ্ঞা ও ঋণের যুগে অর্থনৈতিক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস এবং জলবায়ু সীমান্ত, অভিবাসন ও নিরাপত্তা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিজিএসের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর সুবীর দাস ও চিফ অব স্টাফ দিপাঞ্জলী রায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ল ল র রহম ন স জ এস

এছাড়াও পড়ুন:

আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে বাংলাদেশ কতটা এগোল

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি আজ বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য হ্রাস, উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। এক দশক আগেও যেখানে অনেক দেশ ডিজিটাল আর্থিক রূপান্তরে পিছিয়ে ছিল, সেখানে এখন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোও দ্রুত প্রযুক্তিভিত্তিক আর্থিক সেবার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।

এই পরিবর্তনের ধারায় বাংলাদেশও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশেষত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) দেশের আর্থিক খাতে নতুন গতি এনেছে।

বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন ‘গ্লোবাল ফিনডেক্স ডেটাবেস ২০২৫: কানেক্টিভিটি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ইন দ্য ডিজিটাল ইকোনমি’তে দেখানো হয়েছে, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বৃদ্ধির পাশাপাশি আর্থিক অন্তর্ভুক্তিও দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের ৭৯ শতাংশ এখন কোনো না কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টধারী, যা ২০১১ সালের তুলনায় ২৮ শতাংশ পয়েন্ট বেশি।

একই সময়ে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেও অ্যাকাউন্টধারীর হার ৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এসব দেশের ৪০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এখন নিয়মিত সঞ্চয় করছেন—যা ২০২১ সালের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।

সামগ্রিকভাবে অ্যাকাউন্টধারীদের ৫৫ শতাংশই এখন সঞ্চয় করছেন। তবে পুরুষ ও নারীদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান বিদ্যমান, পুরুষদের ৪৩ শতাংশ নিয়মিত সঞ্চয় করলেও নারীদের ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ৩৬ শতাংশ।

বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল রূপান্তরের প্রধান চালিকা শক্তি মুঠোফোনের অহরহ ব্যবহার। সাব–সাহারান আফ্রিকা বাদ দিলে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর ৮৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি মুঠোফোন ব্যবহার করেন, যার মধ্যে ৬৭ শতাংশ মানুষই স্মার্টফোন ব্যবহারকারী। ফলে ডিজিটাল লেনদেন অতিদ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে এবং অ্যাকাউন্টধারীদের ৮২ শতাংশ এখন ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত।

দক্ষিণ এশিয়ায় গত এক দশকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অগ্রগতি আরও সুস্পষ্ট। গ্লোবাল ফিনডেক্স বলছে, এই অঞ্চলে প্রাপ্তবয়স্কদের ৭৮ শতাংশ এখন কোনো না কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টধারী—২০১৪ সালে যা ছিল মাত্র ৪৬ শতাংশ।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির যাত্রাপথকে আরও সুগম করা। কারণ, বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির দৃশ‍্যত অগ্রগতি ঠিকঠাক এগোচ্ছে বলে মনে হলেও সামনে পথ এখনো দীর্ঘ। দেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ এখনো ব্যাংকিং সেবার বাইরে, যা বারবার আমাদের অগ্রগতির লাগাম টেনে ধরছে।

ভারত এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে অর্থাৎ ৮৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৮২ শতাংশ, নেপালে ৬০ শতাংশ, বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ এবং পাকিস্তানে মাত্র ২৭ শতাংশ।

তবে ডিজিটাল পেমেন্টে দক্ষিণ এশিয়া এখনো পিছিয়ে। ভারতের ৪৮ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কার ৪৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নিয়মিত ডিজিটাল পেমেন্ট করলেও বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তানে এই হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম। বিশেষ করে স্মার্টফোনের অভাব ও অসচ্ছলতা নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে বড় ধরনের বাধাগ্রস্ত করছে। এই অঞ্চলের প্রায় ৩০ কোটি নারী এখনো মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারের বাইরে।

বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি বড় পরিবর্তন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দেশে এমএফএস অ্যাকাউন্ট দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩ কোটি ৯৩ লাখে—যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এমএফএস লেনদেনও বেড়েছে ৩২ শতাংশের বেশি, বর্তমানে যার পরিমাণ ১ দশমিক ৭২ লাখ কোটি টাকা। দেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন, তাই গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় আনতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম দৃশ্যমান পরিবর্তন এনেছে।

২০১৯ সালে সক্রিয় এমএফএস অ্যাকাউন্ট ছিল ২৯ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে বেড়ে হয়েছে ৫৪ শতাংশ। বিল পরিশোধ, রেমিট্যান্স, ক্ষুদ্র ব্যবসার লেনদেন, সরকারি ভাতা—সবই এখন মোবাইলভিত্তিক। বিশেষ করে গ্রামীণ মানুষের জন্য এমএফএস সবচেয়ে সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ডিজিটাল ব্যাংকিংয়েও অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য। ২০১৯ সালে যেখানে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার ২৫ শতাংশ ছিল, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ শতাংশে। কোভিড–পরবর্তী সময়ে মানুষ অনলাইন লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠায় ই–কমার্স, ইউটিলিটি বিল, আন্তব্যাংক লেনদেনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রবাহ শক্তিশালী হয়েছে।

বর্তমানে ২ কোটি ৮৭ লাখের বেশি নো–ফ্রিল অ্যাকাউন্ট আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আরেক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। নো-ফ্রিল অ্যাকাউন্ট (এনএফএ), যেখানে মাত্র ১০/৫০/১০০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খোলা যায় এবং যাতে কোনো ন্যূনতম ব্যালান্স বা চার্জ প্রযোজ্য হয় না। গত এক বছরে এসব অ্যাকাউন্টে জমা বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের জুনে যেখানে মোট জমার পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৭২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ২০২৫ সালের জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকায়।

এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে—দেশের ২০ হাজার ৫৫৭টি এজেন্ট আউটলেটের ৮৬ শতাংশ এজেন্ট আউটলেট গ্রামে হওয়ায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ঘরের পাশেই জমা, উত্তোলন, রেমিট্যান্স গ্রহণ, ঋণ আবেদনসহ বিভিন্ন সেবা পাচ্ছেন। এ ছাড়া ৪৫ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি স্কুল ব‍্যাংকিং অ্যাকাউন্টের ৫৩ দশমিক ৫২ শতাংশই গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এসেছে। বাংলাদেশ ব‍্যাংকের স্কুল ব‍্যাংকিং কার্যক্রম এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

তবে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। দেশের ৭২ শতাংশ মানুষ এখনো কার্যত আর্থিক সাক্ষরতা থেকে পিছিয়ে। সুদ বা মুনাফা হিসাব, ঋণের ঝুঁকি, নোট শনাক্তকরণ ও প্রতারণার ফাঁদ থেকে বাঁচা—এসব বিষয়ে সচেতনতার ঘাটতি অনেককে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। ডিজিটাল সেবার প্রসারে সাইবার অপরাধও বেড়েছে—ফিশিং, হ্যাকিং, জালিয়াতি প্রতিরোধে শক্তিশালী নিরাপত্তাকাঠামো এখন অতি জরুরি।

বাংলাদেশে নারীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এখনো প্রত্যাশার তুলনায় কম। সামাজিক সীমাবদ্ধতা এবং ডিজিটাল জ্ঞানে দক্ষতার ঘাটতি নারীদের অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে রাখছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যাংকঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। লোন সম্পর্কে সঠিক ধারণা, জামানতের অভাব ও পর্যাপ্ত ক্রেডিট স্কোর না থাকায় নারী উদ্যোক্তারা ঋণসুবিধা থেকে অনেক সময় বঞ্চিত হন।

পাশাপাশি গ্রামীণ ইন্টারনেট অবকাঠামো দুর্বল হওয়ার কারণে ও গ্রাহকবান্ধব ইন্টারনেট প‍্যাকেজের অভাবেও ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সুফল পুরোপুরি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সার্বিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এই বাস্তবতায় কিছু নীতিগত উদ্যোগ জরুরি—গ্রামীণ নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থিক সাক্ষরতা বৃদ্ধির উদ্যোগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক আর্থিক সাক্ষরতা প্রসারের ক্ষেত্রে আন্তমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথ কর্মসূচি বাস্তবায়ন, ডিজিটাল নিরাপত্তা জোরদার, স্মার্ট ও জামানতবিহীন ক্রেডিট স্কোরিং, সরকারি ভাতা ও রেমিট্যান্স সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন, সব ডিজিটাল লেনদেনে আকর্ষণীয় রিওয়ার্ড পয়েন্ট দেওয়া, গ্রামীণ ইন্টারনেট অবকাঠামোর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং ইন্টারনেটের খরচ সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনা।

সব মিলিয়ে বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির যাত্রাপথকে আরও সুগম করা। কারণ, বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির দৃশ‍্যত অগ্রগতি ঠিকঠাক এগোচ্ছে বলে মনে হলেও সামনে পথ এখনো দীর্ঘ। দেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ এখনো ব্যাংকিং সেবার বাইরে, যা বারবার আমাদের অগ্রগতির লাগাম টেনে ধরছে।

তবে এমএফএস, এজেন্ট ব্যাংকিং, স্কুল ব্যাংকিং, ডিজিটাল ব্যাংকিং এবং নো–ফ্রিল অ্যাকাউন্ট কোটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। যেসব মানুষ একসময় ব্যাংকে যেতে সংকোচ বোধ করতেন, আজ তাঁরা মুঠোফোনেই অধিকাংশ লেনদেন সম্পন্ন করছেন। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে সঠিক নীতি ও প্রযুক্তির সমন্বিত প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি সফল মডেল হয়ে উঠতে পারে।

এম এম মাহবুব হাসান, ব্যাংকার, উন্নয়ন গবেষক ও লেখক

ই–মেইল: [email protected]

(মতামত লেখকের নিজস্ব)

সম্পর্কিত নিবন্ধ