৬ বলে প্রয়োজন ১১ রান। হিসেব একেবারেই সোজা। সেই লক্ষ‌্য তাড়া করতে নেমে যদি দুইটি ওয়াইড ও একটি নো বল পাওয়া যায় তাহলে ব‌্যাটসম‌্যানদের আর কী চাই? 

অথচ সমীকরণ এতো সহজ হওয়ার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুপার ওভারে দেওয়া লক্ষ‌্য বাংলাদেশ তাড়া করতে পারেনি। ১ রানের আক্ষেপে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সুপার ওভার খেলে পরাজয়ের তীব্র যন্ত্রণায় ভুগছে। 

মিরপুর শের-ই-বাংলায় বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে উইকেটে খেলেছে তা বড় শট খেলার জন‌্য আদর্শ ছিল না মোটেও। কিন্তু সুপার ওভারের এতো সহজ সমীকরণও মিলবে না? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চারিদিকে। 

ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারেননি সৌম‌্য। আকিলের বলে আউট হওয়ার আগে ৩ বলে ৩ রান করেন। দলের পরাজয়ের জন‌্য সৌম‌্য নিজের ব‌্যর্থতাকেই দায়ী করছেন, ‘‘হ্যাঁ! এটা বলতে পারেন আমি ব্যর্থ। বাঁহাতি স্পিনার ছিল। আমারও আত্মবিশ্বাস ছিল যে, না আমি একটা বাউন্ডারি এখান থেকে আদায় করতে পারব। কিন্তু হ্যাঁ, এটাও ঠিক যে উইকেটও ওমন ছিল না যে, ছয় বা বাউন্ডারি মারা সহজ। বলটাও অনেক পুরাতন হয়ে গেছে ৫০ ওভারের পরের বল, বল যাচ্ছিল না।”

সুপার ওভারের আগে মূল ম্যাচেও ২টি ফ্রি হিট পান সৌম্য। নবম ওভারে প্রথমটিতে কোনো রান নিতে পারেননি। এরপর ২৯তম ওভারে পাওয়া ফ্রি হিটে নেন মাত্র ১ রান। ৩ ফ্রি হিটে তার রান কেবল ২। সৌম‌্য উইকেটের বিষয়টিও সামনে আনলেন, ‘‘মূলত বড় শট করতে গেলে উইকেটের একটা সাহায্য লাগে। বলটা একটু ধীরে আসছিল এবং টার্নও ছিল অনেক বেশি। তো হ্যাঁ! পরবর্তীতে যদি কখনও এরকম উইকেট থাকে, অবশ্যই ঐরকমভাবে অনুশীলন করতে হবে যে এই উইকেটে ছয় মারতে হবে কীভাবে।”

“আজকে তিনটা ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারিনি। আগেও অনেকগুলো ফ্রি হিট আছে, সেভাবে ব্যবহার করতে পারিনি। অমন কিছু (মানসিক সমস্যা) ছিল না। সুপার ওভারে যে বল খেলেছি, প্রায় সবই ফ্রি হিট ছিল। আমার টার্গেটই ছিল ছয় বা বাউন্ডারি মারার। আমি পারিনি। হয়তো এখানে আমার কোনো ল্যাকিং আছে।” - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

এরকম উইকেটে কীভাবে ছয় মারতে হয় অনুশীলন করতে হবে: সৌম‌্য

৬ বলে প্রয়োজন ১১ রান। হিসেব একেবারেই সোজা। সেই লক্ষ‌্য তাড়া করতে নেমে যদি দুইটি ওয়াইড ও একটি নো বল পাওয়া যায় তাহলে ব‌্যাটসম‌্যানদের আর কী চাই? 

অথচ সমীকরণ এতো সহজ হওয়ার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুপার ওভারে দেওয়া লক্ষ‌্য বাংলাদেশ তাড়া করতে পারেনি। ১ রানের আক্ষেপে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সুপার ওভার খেলে পরাজয়ের তীব্র যন্ত্রণায় ভুগছে। 

মিরপুর শের-ই-বাংলায় বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে উইকেটে খেলেছে তা বড় শট খেলার জন‌্য আদর্শ ছিল না মোটেও। কিন্তু সুপার ওভারের এতো সহজ সমীকরণও মিলবে না? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চারিদিকে। 

ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারেননি সৌম‌্য। আকিলের বলে আউট হওয়ার আগে ৩ বলে ৩ রান করেন। দলের পরাজয়ের জন‌্য সৌম‌্য নিজের ব‌্যর্থতাকেই দায়ী করছেন, ‘‘হ্যাঁ! এটা বলতে পারেন আমি ব্যর্থ। বাঁহাতি স্পিনার ছিল। আমারও আত্মবিশ্বাস ছিল যে, না আমি একটা বাউন্ডারি এখান থেকে আদায় করতে পারব। কিন্তু হ্যাঁ, এটাও ঠিক যে উইকেটও ওমন ছিল না যে, ছয় বা বাউন্ডারি মারা সহজ। বলটাও অনেক পুরাতন হয়ে গেছে ৫০ ওভারের পরের বল, বল যাচ্ছিল না।”

সুপার ওভারের আগে মূল ম্যাচেও ২টি ফ্রি হিট পান সৌম্য। নবম ওভারে প্রথমটিতে কোনো রান নিতে পারেননি। এরপর ২৯তম ওভারে পাওয়া ফ্রি হিটে নেন মাত্র ১ রান। ৩ ফ্রি হিটে তার রান কেবল ২। সৌম‌্য উইকেটের বিষয়টিও সামনে আনলেন, ‘‘মূলত বড় শট করতে গেলে উইকেটের একটা সাহায্য লাগে। বলটা একটু ধীরে আসছিল এবং টার্নও ছিল অনেক বেশি। তো হ্যাঁ! পরবর্তীতে যদি কখনও এরকম উইকেট থাকে, অবশ্যই ঐরকমভাবে অনুশীলন করতে হবে যে এই উইকেটে ছয় মারতে হবে কীভাবে।”

“আজকে তিনটা ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারিনি। আগেও অনেকগুলো ফ্রি হিট আছে, সেভাবে ব্যবহার করতে পারিনি। অমন কিছু (মানসিক সমস্যা) ছিল না। সুপার ওভারে যে বল খেলেছি, প্রায় সবই ফ্রি হিট ছিল। আমার টার্গেটই ছিল ছয় বা বাউন্ডারি মারার। আমি পারিনি। হয়তো এখানে আমার কোনো ল্যাকিং আছে।” - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ