আলোর উৎসব দীপাবলিতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন প্রাক্তন বিগ বস প্রতিযোগী ও অভিনেত্রী প্রিয়া মালিক। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে পরিবারের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপনের সময়ে তার শরীরে আগুন ধরে যায়। শরীরের কিছু অংশ পুড়েছে বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। 

এ নিয়ে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রিয়া মালিক। তাতে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি আমার প্রতিবেশীদের সঙ্গে ছবি তুলছিলাম, হঠাৎ দেখি আমার ডান কাঁধ থেকে আগুনের শিখা উঠছে। তখন বুঝতে পারি, আমার পুরো পিঠে আগুন লেগে গেছে। আমি সর্বগ্রাসী আগুনের কথা বলছি, এটা ছোটখাটো কোনো আগুন ছিল না।” 

আরো পড়ুন:

অ্যাটলির ব্যয়বহুল বিজ্ঞাপনচিত্রে রণবীর-শ্রীলীলা

অভিনেতা আসরানির মৃত্যুর খবর কেন গোপন রাখল পরিবার?

পরের ঘটনা বর্ণনা করে প্রিয়া মালিক বলেন, “সৌভাগ্যক্রমে আমার বাবা আগুনে জ্বলতে থাকা আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাই। এটাই ছিল একমাত্র উপায়। এই ঘটনার ফলে আমি ও আমার পরিবার চরমভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।” 

উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রিয়া মালিক বলেন, “আমরা সবাই আগুনের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলি। কিন্তু মনে করি, এমন কিছু আমাদের সঙ্গে ঘটবে না। গত রাতের পর আমি বুঝলাম, মাত্র একটা অসাবধনতার কারণে মুহূর্তে জীবন চলে যেতে পারত। শরীরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে পালানোর কোনো উপায় থাকে না।” 

প্রিয়ার পিঠ, কাঁধ, চুল ও আঙুল হালকা পুড়েছে। এ তথ্য উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি জানি না কীভাবে আরো বড় ক্ষতি ছাড়াই বেঁচে গেলাম। এই দুর্ঘটনা হয়তো আমাকে দীপাবলি থেকে চিরদিনের জন্য দূরে সরিয়ে দেবে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমার বাচ্চা তখন আমার কোলে ছিল না।” 

“আমি হয়তো আগামী বছর আবার দীপাবলি উদযাপন করব। কিন্তু এটা আমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা হয়ে থাকবে। দয়া করে সবাই এমন সময়ে সাবধান থাকুন।” বলেন প্রিয়া। 

প্রিয়া মালিক ব্যক্তিগত জীবনে করণ বক্সির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ২০২২ সালে দিল্লি একটি গুরুদ্বারে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ, তাদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় একটি পুত্রসন্তান, যার নাম রেখেছেন জোরাবার।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র প দ প বল র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কেন বাংলাদেশে বেকারি ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন নিউজিল্যান্ডের ৮১ বছরের স্যান্ড্রা

রাজধানীর বনশ্রীর একটি খাবারের দোকানে ঢুকতেই একজন বয়স্ক বিদেশি নাগরিকের ছবি দেখা গেল। কেক, পাউরুটি, মিষ্টি, শিঙাড়া, জুস—এমন খাবারের দোকানে একজন বিদেশি নাগরিকের ছবি কেন? এই প্রশ্ন জেগে বসল। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে এই নারীর পরিচয় জানা গেল। ৮১ বছর বয়সী নিউজিল্যান্ডের এই নাগরিকের নাম স্যান্ড্রা ম্যাকারসি। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। এখন বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করেন।

স্যান্ড্রা ম্যাকারসি ২০১৮ সালে বাংলাদেশে বেকারি ব্যবসায় বিনিয়োগ করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৭৪ বছর। তৈরি করেন স্যান্ড্রা ফুডস ইন্টারন্যাশনাল। এখানে প্রায় ৩০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। স্যান্ড্রা ম্যাকারসি বিনিয়োগ করলেও কোনো মুনাফা নেন না। মুনাফার টাকা খরচ আবার বিনিয়োগ করেন। প্রতি মাসে মুনাফার একটি অংশ নারায়ণগঞ্জের একটি অনাথ আশ্রমে দান করেন।

কে এই স্যান্ড্রা ম্যাকারসি

স্যান্ড্রা ম্যাকারসি বসবাস করেন নিউজিল্যান্ডের ওয়াঙ্গারেই শহরে। এই শহর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড থেকে দেড় শ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্যান্ড্রা ম্যাকারসি পেশায় ছিলেন শিক্ষক। তবে পারিবারিক ব্যবসা হিসেবে নিউজিল্যান্ডে রয়েছে লাইব্রেরি। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডে ‘পিপল পটেনশিয়াল’ নামে একটি ভকেশনাল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানও রয়েছে তাঁর। শিক্ষা ও সামাজিক খাতে সেবামূলক কাজের জন্য ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে ‘কুইন্স সার্ভিস মেডেল’ পেয়েছেন স্যান্ড্রা ম্যাকারসি। ২৫ বছর বয়স থেকেই তিনি কাজ করছেন সেবামূলক বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান রোটারি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে।

অসম্ভব প্রাণশক্তির মানুষ স্যান্ড্রা ম্যাকারসি। ৭৩ বছর বয়সে প্যারাস্যুট দিয়ে বিমান থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্ক ম্যারাথন, অকল্যান্ড ম্যারাথন, লন্ডন ম্যারাথনও দৌড়েছি। আমার দর্শন হলো যা কিছু সামনে আসে হ্যাঁ বলতে হবে।’ গত মাসে তিনি নিউজিল্যান্ড থেকে ঢাকায় আসেন। তখন তিনি প্রথম আলোকে তাঁর এই অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বছরে অন্তত একবার বাংলাদেশে আসেন।

স্যান্ড্রা ফুডস ইন্টারন্যাশনালের নিউজিল্যান্ডের বিনিয়োগকারী স্যান্ড্রা ম্যাকারসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ