ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় কোনো ধরনের চাপ বা প্রভাবের কাছে নতি স্বীকার না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবে না। আইন অনুযায়ী কমিশন নির্দেশনা দেবে, বেআইনি কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে না।”

আরো পড়ুন:

এআই ও ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় গঠিত হবে কেন্দ্রীয় সেল: সিইসি

সংসদ নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সোমবার

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য ‘নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতির মূল কারণ হলো আইনের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব।” এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।

সিইসি পরামর্শ দেন- নির্বাচনকালীন যেকোনো সংকট মোকাবিলার মানসিক প্রস্তুতি থাকতে হবে। ভোট বাক্স দখলের পর মাঠে গেলে হবে না, তখন কিছু করার সময় থাকে না।

ঢাকা/এএএম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইস ইস ইস ইস

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাপ্রধান হানেগবিকে কেন বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবিকে বরখাস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল মঙ্গলবার হানেগবি নিজেই এক বিবৃতিতে এমন কথা জানিয়েছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, পরিষদের উপপ্রধান গিল রিচকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হবে।

গতকাল সন্ধ্যায় হানেগবি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আজ (মঙ্গলবার) আমাকে বলেছেন, তিনি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে নতুন করে কাউকে প্রধান হিসেবে নিয়োগের পরিকল্পনা করছেন। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে আমার মেয়াদ আজ শেষ হলো।’

এর কিছুক্ষণ পরই নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নেতানিয়াহু জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান গিল রিচকে পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত তিন বছর ধরে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে সেবা দেওয়ার জন্য জাচি হানেগবিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি তাঁর ভবিষ্যতের সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।’

গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলাকে কেন্দ্র করে অনেক দিন ধরেই হানেগবি ও নেতানিয়াহুর মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ দ্বন্দ্বের কারণে হানেগবির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে সরে যাওয়াটা প্রত্যাশিতই ছিল।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গাজা নগরীকে সম্পূর্ণভাবে সামরিক দখলের বিরোধিতা ও হামাসের সঙ্গে আংশিক চুক্তিকে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন হানেগবি। এ নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

আরও পড়ুনগাজায় যুদ্ধবিরতি নেতানিয়াহুর জন্য ডেকে এনেছে ৬টি বড় বিপদ১৮ অক্টোবর ২০২৫

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস হামলা চালিয়েছিল। হানেগবি তাঁর বিবৃতিতে ওই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার কারণ জানার জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তিনি নিজের ব্যর্থতার দায়ও স্বীকার করেছেন।

নেতানিয়াহু সরকার এখনো এই ঘটনার তদন্তে কোনো কমিশন গঠন করেনি। ইসরায়েলের বিরোধী দলের অভিযোগ, তিনি এই প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছেন।

জাচি হানেগবিকে বরখাস্ত করার সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের সাবেক সেনাপ্রধান ও বিরোধী নেতা গাদি আইজেনকোট।

প্রভাশালী লিকুদ নেতা ও নেতানিয়াহুর দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হানেগবি ২০২৩ সালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি জননিরাপত্তা, গোয়েন্দা ও আঞ্চলিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ