আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে নেই শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজটি শামীমের ভালো যায়নি। কিন্তু এর আগে তার পারপরম্যান্স একেবারে খারাপ ছিল না। এক সিরিজের পারফরম্যান্সে নিয়মিত ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া পছন্দ হয়নি অনেকেরই।

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু গণমাধ্যম এড়িয়ে চলছেন লম্বা সময় ধরেই। দল দিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। কখনো প্রকাশ করা হয় ভিডিও। কখনো হয় না। কিভাবে দল বাছাই করা হলো সেই সব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

টি-টোয়েন্টিতে তাসকিন-শামীম বাদ, সুযোগ পেলেন সাইফ উদ্দিন-মাহিদুল

এখন অনেকেই বলছে, আমিও ১০০ টেস্ট খেলব: নাজমুল

তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে মাঠে নামার আগে অধিনায়ক লিটন দাস জানিয়ে দিলেন, শামীম কেন বাদ তিনি জানেন না। শামীম ইস্যুতে নির্বাচকদের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি তার। এই বাদ পড়ার প্রক্রিয়া পছন্দ হয়নি লিটনেরও। অধিনায়ক হিসেবে খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে না পারায় তাকে সরি বলতে পিছু পা হননি লিটন। দল বাছাইয়ের এই প্রক্রিয়ায় অধিনায়ক-কোচ না থাকা বিসিবি ও নির্বাচকদের ‘এক হাত নিলেন’ তিনি।

শুরুতে শামীমের বাদ পড়া নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘‘থাকলে (শামীম) অবশ্যই ভালো হতো। ইটস নট মাই কল। টোটালি সিলেক্টর কল। আমি জানি না কেন? তবে সিলেক্টররা কোনো নোটিশ করা ছাড়াই শামীমকে দল থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। কোনো নোটিশ ছাড়া। আমি এতোদিন জানতাম, একটা দল যখন মানুষ হ্যান্ডেল করে, অ্যাটলিস্ট অধিনায়ক জানে কোন খেলোয়াড়টা ইন হবে। কোনটা আউট হবে। শামীমের বাদ পড়ার কোনো কারণ আমি দেখি না। আমি এটা জানিও না কেন সে বাদ পড়েছে। বাট ও টিমে থাকলে ভালো হতো।’’
দল বাছাইকে অধিনায়ক একেবারেই যে গুরুত্বহীন সেটা লিটনের কথাতেই ফুটে উঠল, ‘‘আমাকে টোটালি বলা হয়েছে সিলেক্টের প্যানেল ও বোর্ড থেকে যে, আমাকে যে টিমটা দেয়া হবে সেটা নিয়েই কাজ করতে হবে। আমার কোনো চাওয়া থাকবে না যে, আমি কোন খেলোয়াড়কে চাই বা কোন খেলোয়াড়কে না চাই। এতোদিন জানতাম, অধিনায়কের টিম গোছানোর একটা পরিকল্পনা থাকে। রিসেন্ট কয়েকদিন আগে জানতে পারলাম যেটা আমাকে দেওয়া হবে আমার কাজ হচ্ছে সেই টিমটাকে নিয়ে বেটার কিছু দেওয়া মাঠে।’’

বোর্ড ও নির্বাচকদের এমন ভাবনা, চাপিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া অধিনায়কের জন্য অপমানজনক কি না সেই উত্তরটাও খোলামনে দিয়েছেন লিটন, ‘‘ইনসালটিংয়ের জায়গা বলবো না। আমার মনে হয় কোচ ও অধিনায়কের জানা উচিত। সেই জায়গা থেকে আমরা কিছুই জানি না। যদি বিশ্বকাপেও সেইম জিনিস ঘটে, আমাকে বিশ্বকাপেও চেষ্টা করবো সেরা ১১ জন খেলানোর।’’

লিটনের যে ধরনের ব্যক্তিত্ব, এমন ঘটনার পর কি তিনি অধিনায়ক থাকবেন? তার সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘‘ওইটা পরে দেখার বিষয়।’’

শামীমকে সরি জানিয়ে লিটন যোগ করেন, ‘‘এটা হতাশাজনক। আপনি প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের কাছে, প্রতিটি সিরিজে পারফরম্যান্স আশা করতে পারবেন না। আমরা চেষ্টা করেছি, এতোদিন ধরে টিমটাকে গোছানোর জন্য। হোয়াইট নট। শামীম কিন্তু একটা সময়ে দুই-তিনটি সিরিজে এক্সট্রা অর্ডিনারি ক্রিকেট খেলেছে যেটা আমাদের দরকার ছিল। সেখান থেকে যদি শামীম বাদ পড়ে, সেটা শামীমের জন্যও হতাশাজনক। অধিনায়ক হিসেবে আমিও…আমি তাকে সরি ছাড়া কিছুই বলতে পারব না। আমি প্রত্যাশা করি না, আমাকে ১৫টা খেলোয়াড় প্রতিদিন পারফর্ম করে দেবে। তাকে ২-৩টা সিরিজে যখন পারফর্ম করবে না তখন তাকে ব্যাক করতে হবে। আমি রিয়েলি সরি যে আমি তাকে ব্যাক করতে পারিনি।’’ 

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র ব চকদ র প রক র য়

এছাড়াও পড়ুন:

সুপার ওভারে কোনো দলই অভ্যস্ত নয়, দেশে ফিরে আকবর আলী

জিশান আলমকে কি ওই শট খেলতেই হতো? প্রথম ২ বলে ৬ রান পাওয়া বাংলাদেশ কি শেষ ৪ বলে আরও ৬ রান তুলতে পারত না? ৪ বলে ৬ রান তুলতে তো প্রতি বলে বড় শটের দরকার হয় না!

গত পরশু কাতারে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষ সুপার ওভারে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আকবর আলী এ নিয়ে কী বলছেন?

আজ সকালে কাতার থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আকবর বলেছেন, কোনো দল সুপার ওভার খেলতে অভ্যস্ত নয়। ভারতের বিপক্ষে করা তাঁর শিশুতোষ ভুল নিয়েও কথা বলেন আকবর।

সেদিন সুপার ওভারে ৬ রান তুলেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম বলে হাবিবুর রহমান ১ রান নেন। দ্বিতীয় বলে আবদুল গাফফার ফিরতি ক্যাচ দেন পাকিস্তানি পেসার আহমেদ দানিয়ালকে। পরের বলে ওয়াইড থেকে আসে ৫ রান। বৈধ তৃতীয় বলে জিশান আলমকে বোল্ড করে দেন দানিয়াল। সুপার ওভারে বাকি ৩টি বল খেলতে পারলে ১০ রানের বেশি তোলার সম্ভাবনা থাকত বাংলাদেশের। এই টুর্নামেন্টে ইয়র্কার স্পেশালিস্ট হয়ে ওঠা রিপন মণ্ডলের বিপক্ষে ১০ থেকে ১২ রান তোলা সহজ হতো না পাকিস্তান ‘এ’ দলের। কিন্তু সংগ্রহ কম হওয়ায় পাকিস্তান ‘এ’ দলে সহজেই ম্যাচটি জিতে নেয়।

সুপার ওভারের পারফরম্যান্স নিয়ে আকবর বলেছেন, ‘সুপার ওভারে কোনো দলই অভ্যস্ত নয়, সুপার ওভার হয়ই কালেভদ্রে। টানা দুইটা ম্যাচে সুপার ওভার খেলার ঘটনা কমই ঘটে। সুপার ওভারে হাইরিস্ক শটই খেলতে হয়, অনেক সময় ক্লিক করে, অনেক সময় করে না। আমি এভাবেই দেখছি ব্যাপারটাকে।’

সেদিন সুপার ওভারের ব্যাটসম্যানদের সমন্বয় নিয়ে আকবর বলেন, ‘সুপার ওভারে সোহানকে (হাবিবুর) পাঠানো কারণ হলো পুরো টুর্নামেন্টে ও আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান ছিল। আর সাকলাইন আবদুল গাফফার) ওই ম্যাচে অনেক ভালো টাচে ছিল।’

ফাইনাল জিততে না পেরে হতাশাও প্রকাশ করেছেন আকবর, ‘প্লেয়ার, কোচিং স্টাফ থেকে সবাই একটু হতাশ, যেখান থেকে আমরা ফিরে এসেছি, এরপর সুভার ওভারে হারা সবার জন্য হতাশাজনক। চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চটা দেওয়ার, শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। সব মিলিয়ে বলতে হবে আমরা বেশির ভাগ জায়গায় ভালো ক্রিকেট খেলেছি, ফাইনাল জিততে পারলে, কোনো কোনো ম্যাচে ভুল কম করলে বলতাম আমরা পারফেক্ট টুর্নামেন্ট খেলে ফিরেছি।’

এর আগে সেমিফাইনালেও ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে সুপার ওভার খেলে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সেদিন ম্যাচ সুপার ওভারে যায় আকবরের বোকামিতে। সেমিফাইনালে শেষ বলে ভারত ‘এ’ দলের লাগত ৪ রান। হার্শ দুবে বাউন্ডারি মারা চেষ্টা করলেও বল যায় লং অনে জিশানের হাতে। তিনি উইকেটকিপার আকবরের দিকে থ্রো করলেও ২ রান নেয় ভারত ‘এ’ দল।

এরপর হার্শকে রানআউট করতে আকবর বল স্টাম্পে মারলেও স্টাম্প না ভাঙায় কোনো ফিল্ডারও কাছে না থাকায় ভারত ‘এ’ দল সুযোগ পেয়ে তৃতীয় রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে। অথচ বল হাতে রেখে দিলেও বা হেঁটে গিয়ে স্টাম্প ভাঙলেও ১ রানে জিততে পারত বাংলাদেশ। এ নিয়ে আকবর বলেছেন, ‘ওই মোমেন্টে কী হয়েছে, আমি নিজেও জানি না। আমি কেন করেছি, এটার কোনো ব্যাখ্যাও নেই। তবে যে ভুলটা আমি করেছি, ওটা অনূর্ধ্ব–১২–এর খেলোয়াড়েরাও করবে না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের বাজে পারফরম্যান্স: শ্রীকান্তের কাঠগড়ায় গম্ভীর ও পন্ত
  • সুপার ওভারে কোনো দলই অভ্যস্ত নয়, দেশে ফিরে আকবর আলী
  • শুভাগতর কীর্তিটা ক’জন জানেন?
  • টিভি ও অনলাইন স্ট্রিমিং: বদলে যাচ্ছে বিনোদনের ধারা