টাঙ্গাইল–৮ (সখীপুর–বাসাইল) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার অভিযোগ এনে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আরও ২২ নেতা পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে ওলামা দলের ১৫ জন, বিএনপির চারজন, শ্রমিক দলের দুজন ও যুবদলের এক নেতা আছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁরা ফেসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

এর আগের ১২ ঘণ্টায় একই অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সদ্য অব্যাহতি পাওয়া সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সাজু ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাসেদসহ ১১ নেতা পদত্যাগ করার ঘোষণা করেন। এ নিয়ে পদত্যাগকারীর সংখ্যা দাঁড়াল ৩৩।

আরও পড়ুনটাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে বিএনপির ১১ নেতার পদত্যাগ২১ ঘণ্টা আগে

গত ২৪ ঘণ্টায় জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উপজেলা কমিটির যাঁরা পদত্যাগ করেছেন, তাঁরা হলেন দলের উপজেলা কমিটির সভাপতি মো.

হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, আবদুল লতিফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, আবদুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস আলী, দপ্তর সম্পাদক কায়ছারুল হক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, সদস্যপদ থেকে ইসমাইল হোসেন, মির্জা আতোয়ার রহমান, হোসেন আলী, বছির উদ্দিন আহমেদ ও আনোয়ার হোসেন।

এ ছাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. সজীব মিয়া, বজলুর রশিদ ওরফে খালেদ, আরিফুল ইসলাম ওরফে টিটু, দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, গজারিয়া ইউনিয়ন যুবদলের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, দারিয়াপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্যসচিব শামীম শিকদার, শ্রমিক দলের দারিয়াপুর ইউনিয়ন শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিয়া হোসেন তাঁদের পদত্যাগপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। প্রতিটি পদত্যাগপত্র জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিছু নেতা–কর্মী পদত্যাগ করেছেন, তবে আমরা এখনো অফিশিয়ালভাবে কোনো পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি। যাঁরা পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তাঁদের অনেকেই ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা হয়তো আবার দলে ফিরে আসবেন। অনেক দিন পর যখন এ আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে, তখন একটি কুচক্রী মহল বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’

বিএনপি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া ও পদত্যাগে নেতৃত্বদানকারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সাজু আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে আরও দুই শতাধিক পদধারী নেতা পদত্যাগ করবেন বলে আমার সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে।’

টাঙ্গাইল–৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহমেদ আযম খান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে, ধানের শীষের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। জনগণ এবার ঐক্যবদ্ধ আছে, কোনো ষড়যন্ত্রই ধানের শীষের বিজয় ঠেকাতে পারবে না।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স সদস য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

খেলাপি ঋণ ৬ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ আরো বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। গত জুন মাসে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৮ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, চলতি বছর সেপ্টেম্বর শেষে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা। এ সময় বিতরণ করা ঋণের ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা বা ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ট্রেনের নিচে প্রাণ দিলেন ছেলে, ঋণের বোঝায় দিশেহারা মা

কমালো নীতি সুদহার, বাড়বে ঋণ প্রবাহ

গত জুন পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৬৮ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৩৫ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা।  

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। সরকার পরিবর্তনের পর খেলাপির প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসে। সেই হিসেবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র বের হতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে প্রভাবশালীরা নামে বেনামে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছিলেন। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কাগজে-কলমে কম দেখানো হয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পর খেলাপির প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসছে।

ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ