ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন পেয়েছেন পদত্যাগ করা বিএনপির মালয়েশিয়া কমিটির সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ড. ফয়জুল হক।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান। 

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় জার্মানি

সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহারই আমাদের অঙ্গীকার: সিইসি

বিএনপির নেতারা জানান, ড.

ফয়জুল হক ঝালকাঠি বিএনপির কোনো ইউনিটের সদস্য হিসেবে ছিলেন না। তিনি অন্য কোথাও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা তা তাদের জানা নেই।

ড. ফয়জুল হক ওলীয়ে কামেল হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর (রহ.) এর নাতি। তিনি বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মুজ্জাম্মিলুল হক রাজাপুরী হুজুরের ছোট ছেলে। গত ১২ জুলাই বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। 

রাজাপুরের স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ড. ফয়জুল হক ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি চেষ্টা করছেন ভোটারদের মন জয় করতে।  

ড. ফয়জুল হক বলেন, “আমি মালয়শিয়া বিএনপির সহ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। সেখান থেকে আমি পদত্যাগ করেছি। গত ৫ আগস্ট আমরা দেশ থেকে স্বৈরাচার হটিয়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর বির্তকিত কর্মকাণ্ড আমারা খুব লেগেছে। এ কারণে আমি দল থেকে পদত্যাগ করেছি।”

জামায়াতের মনোনয়ন পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দাঁড়িপাল্লার মনোনয়ন পেয়ে আমি আনন্দিত এবং গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জিতে জামায়াত ইসলামের ডা. শফিকুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন। জামায়াত ইসলামের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে। সেই দলের পার্ট হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। ঝালকাঠি-১ আসনের সব দল ও মতের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবারের ভোট দাঁড়িপাল্লায় হবে।”

জামায়াতের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‍“আমি কৃতজ্ঞতা জানাই জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান সাহেবকে। আমাকে তিনি কঠিন সময়ে মানসিক শক্তি অর্জনে সর্বদা সাহস দিয়েছেন। ফ্যাসিবাদ পতনের পর তিনি তার দল থেকে আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছেন।” 

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন বলেন, ‍“ড. ফজুল হক ঝালকাঠি জেলার অধিনস্ত বিএনপির কোনো সাংগঠনিক ইউনিটের কমিটিতে ছিলেন না। হয়তো অন্য কোথাও বিএনপি করতে পারেন। এ সম্পর্কে আমার জানা নেই।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) ও এমএ পাস করেন ড. ফয়জুল হক। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, মালয়েশিয়া থেকে ২০১৯ সালে পিএইচডি ও ২০২৩ সালে পোস্ট-ডক্টোরাল ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন। 

ঢাকা/অলোক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম র ব এনপ র জ ল হক ঝ লক ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

রস ছাড়াই গুড় তৈরি, রাজশাহীতে ৫ কারখানায় জরিমানা

রাজশাহীর বাঘায় খেজুরের রস ছাড়াই চিনি, রং, ফিটকিরি, হাইড্রোজসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান মিশিয়ে ভেজাল গুড় উৎপাদনের প্রমাণ পেয়েছে র‌্যাব-৫ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। 

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার আড়ানি পৌরসভার শাহাপুর এলাকায় যৌথ এ অভিযান শুরু হয়ে বেলা পৌনে ১২টায় শেষ হয়।

অভিযানে পাঁচটি ভেজাল গুড় তৈরির কারখানা শনাক্ত করা হয়। ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমাণ আদালত সাল্টু, লাল্টু ও মুক্তার আলীকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেন। ইনারুলকে ২০ হাজার টাকা এবং মো. এনারুলকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সব মিলিয়ে পাঁচটি কারখানাকে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ইব্রাহীম হোসেন বলেন, “কারখানাগুলোতে চিনি, রং, হাইড্রোজসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান মিশিয়ে খেজুরের গুড় তৈরি করা হচ্ছিল। এখানে খেজুর বা আখের রসের ছিটেফোঁটাও পাওয়া যায়নি। এসব ভেজাল গুড় মানুষের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। পাঁচটি কারখানা মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভেজাল নির্মূলে ভবিষ্যতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

র‌্যাব-৫ রাজশাহীর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “এরা আসলে মাদকের চেয়েও খারাপ কাজ করছে। মানুষের খাবারের মধ্যে এমন বিপজ্জনক জিনিস মিশিয়ে দেওয়া ভয়াবহ অপরাধ। চিনি, রং, ফিটকিরি ও হাইড্রোজ মিশিয়ে তারা গুড় তৈরি করত এবং সেগুলো সারাদেশে পাঠানো হতো। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আলামত জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযানে জরিমানাও করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।”

ঢাকা/কেয়া/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ