নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বোর্ডিং স্কুল থেকে গত সপ্তাহে অপহৃত ২৪ ছাত্রীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির। 

প্রেসিডেন্টের বিশেষ উপদেষ্টা বায়ো ওনানুগা মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু অপহৃত ২৪ জন স্কুলছাত্রীর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন।’

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ১৭ নভেম্বর রাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একটি দল কেব্বি রাজ্যের সরকারি বালিকা সমন্বিত সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে (জিজিসিএসএস) হামলা চালিয়ে একজন স্কুলকর্মীকে হত্যা করে এবং ২৫ জন ছাত্রীকে অপহরণ করে। এর কিছুক্ষণ পরেই একজন ছাত্রী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু এই ঘটনার প্রতি ‘দ্রুত প্রতিক্রিয়া’ দেখানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। যদিও তাদের মুক্তির পরিস্থিতি অস্পষ্ট।

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অপহরণের ঘটনা বেড়েছে। গত শুক্রবার রাতে একদল অস্ত্রধারী নাইজার অঙ্গরাজ্যের ক্যাথলিক সেন্ট মেরিস স্কুলে হামলা চালিয়ে ৩১৫ জন ছাত্র ও শিক্ষককে অপহরণ করে। এর মধ্যে ৫০ জন শিক্ষার্থী সফলভাবে পালিয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরেছে। বাকিরা এখনও অপহরণকারীদের হেফাজতে রয়েছে। গত এক সপ্তাহে নাইজেরিয়ায় এটি তৃতীয় বড়ো অপহরণ। 

নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “অপহরণের আরো ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আরো নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে টিনুবু লিখেছেন, “বিমান বাহিনীকে সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্রমাগত নজরদারি বজায় রাখতে হবে, সব প্রতিকূল উপাদানকে কার্যকরভাবে সনাক্ত, বিচ্ছিন্ন, ব্যাহত এবং নিরপেক্ষ করার জন্য স্থল ইউনিটের সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করতে হবে।”

সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা অপহৃত স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে। 

নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অংশে স্থানীয়ভাবে ‘ডাকাত’ নামে পরিচিত অপরাধী চক্রের মাধ্যমে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ একটি বড় সমস্যা। এই গোষ্ঠীগুলো প্রায়শই স্কুল, গ্রাম এবং অন্যান্য জনবহুল স্থান থেকে মানুষকে অপহরণ করে থাকে, যা দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তুলেছে। 

নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবিলায় নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় এই সপ্তাহান্তে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন সহ বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ইজ র

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার দুটি লকারে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না পাওয়া গেছে। অগ্রণী ব্যাংকে থাকা ওই লকার দুটি জব্দ করা হয়েছিল। আদালতের অনুমতি নিয়ে মঙ্গলবার একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার দুটি খোলা হয়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়িত্বশীল একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, লকার খোলার সময় এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় (সাবেক স্থানীয় কার্যালয় শাখা) শেখ হাসিনার দুটি লকার ছিল। সম্পদের তথ্য গোপন করে কর ফাঁকির অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে এনবিআরের সিআইসি তা জব্দ করে।

সিআইসির শীর্ষপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আদালতের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি মেনে লকার দুটি খুলেছি। সেখানে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না পাওয়া গেছে। এখন ওনার (শেখ হাসিনা) আয়কর রিটার্নে দেওয়া সম্পদ বিবরণীর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।’

আরও পড়ুনশেখ হাসিনা–আসাদুজ্জামান–মামুন কে কোন অপরাধে সাজা পেলেন ১৮ নভেম্বর ২০২৫


অগ্রণী ব্যাংকের এই লকার দুটি জব্দ করার এক সপ্তাহ আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর পূবালী ব্যাংকে থাকা শেখ হাসিনার আরেকটি লকার জব্দ করে এনবিআরের সিআইসি। সেটি রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে অবস্থিত পূবালী ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখার ১২৮ নম্বর লকার।

পূবালী ব্যাংকের একই শাখায় শেখ হাসিনার দুটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এর মধ্যে একটি হিসাবে ১২ লাখ টাকার এফডিআর এবং আরেকটি হিসাবে ৪৪ লাখ টাকা পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনশেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ, কত সম্পদ আছে তাঁদের১৮ নভেম্বর ২০২৫

এনবিআর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ তদন্ত করছে। অন্যদিকে দুদক শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। ইতিমধ্যে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানাসহ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাকে ১৭ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই আদালত তাঁর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও আদেশ দিয়েছেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিনই পালিয়ে ভারতে চলে যান। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের কর ফাঁকি ও দুর্নীতির তদন্তে নামে।

আরও পড়ুনশেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড, চৌধুরী আবদুল্লাহর ৫ বছরের কারাদণ্ড১৭ নভেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সন্তানদের নিয়ে দ্বন্দ্ব, গ্রেপ্তার আতঙ্কে দুবাইয়ের শাসক পরিবারের সাবেক বউ
  • বিশ্বে জনবহুল নগরের তালিকায় ৯ থেকে ২ নম্বরে ঢাকা, শীর্ষে এশিয়ারই আরেক শহর
  • হাসিনার দুটি লকারে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না
  • শেখ হাসিনার দুটি লকারে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না
  • কক্সবাজারে এতিমখানার ছাত্র অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
  • কক্সবাজারে এতিমখানার ছাত্রকে অপহরণ, লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
  • নাইজেরিয়ায় অপহৃত ৫০ শিক্ষার্থী পালিয়ে ফিরলো পরিবারে
  • সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে চার জেলে অপহৃত, মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন
  • অভাবের কথা বলে পরিচিত হন, আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে হাতিয়ে নেন টাকা