বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকায় সমাবেশ ২৪ অক্টোবর
Published: 22nd, October 2025 GMT
সরকার এখনও নিরপেক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক ‘গণঅভ্যুত্থানের গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন’ ও ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন’সহ আট দফা দাবিতে আগামী ২৪ অক্টোবর ঢাকা সমাবেশ ও গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
জোবায়েদ হত্যার বিচার যেন গ্রেপ্তারেই সীমাবদ্ধ না থাকে: জবি উপাচার্য
ইবিকে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি ছাত্রদলের
তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল আড়াইটা থেকে সমাবেশ শুরু হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে পুনর্গঠন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে পদক্ষেপ, সন্ত্রাস–চাঁদাবাজি–দখলবাজি রোধ এবং দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার তৎপরতা বন্ধের দাবিতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর কারও কারও উগ্র ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য, সরকারের অকার্যকারিতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনে দুর্বলতার কারণে এখনও ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ বিদ্যমান।”
তিনি সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডগুলোর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “মিরপুরের কেমিকেল গুদাম, চট্টগ্রামের ইপিজেড এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো গুদামে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা নিছক দুর্ঘটনা নাও হতে পারে। এসব ঘটনায় পরিকল্পিত নাশকতার ইঙ্গিত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।”
তিনি এসব ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত, দায়ীদের শাস্তি, নিহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, আহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
সাইফুল হক বলেন, “নিরপেক্ষতার পরীক্ষায় সরকার এখনও পাস করতে পারেনি। এবার ফেল করার সুযোগ নেই। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছাই মূল শর্ত।”
সাইফুল হক বলেন, “অঢেল অর্থব্যয়, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, ধর্মীয় অনুভূতির অপব্যবহার রোধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত না হলে নির্বাচন অর্থহীন হয়ে পড়বে।”
তিনি নির্বাচনকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ারও দাবি জানান।
সেগুনবাগিচার সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, কেন্দ্রীয় সংগঠক বাবর চৌধুরী ও যুবরান আলী জুয়েল প্রমুখ।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দল র জন ত ক সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সংসদ নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সোমবার
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সমন্বিত পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে উচ্চপর্যায়ের আন্তঃসংস্থা বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সচিবালয় থেকে গত ১৩ অক্টোবর জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, বৈঠকটি সোমবার (২০ অক্টোবর, ২০২৫) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
আরো পড়ুন:
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল: সিইসি
নাটোরে পিআরসহ ৫ দাবিতে জামায়াতের জনসভা
সভায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা, ভোটের দিনের নিরাপত্তা কৌশল নির্ধারণ এবং নির্বাচনি এলাকাভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
ইসির উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে নির্দেশনা হিসেবে পাঠানো হবে।
বৈঠকের আমন্ত্রণপত্র সেনাবাহিনীর প্রধান, নৌবাহিনীর প্রধান, বিমানবাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, পুলিশ প্রধান (আইজিপি), বিজিবির মহাপরিচালক, আনসারের মহাপরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালকসহ একাধিক সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, তথ্য মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিভিল এভিয়েশন), পুলিশ সদর দপ্তর ও এনএসআইসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, এ বৈঠকেই নির্ধারিত হতে পারে নির্বাচনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠপর্যায়ের সমন্বয় কাঠামো ও দায়িত্ব বণ্টন।
ঢাকা/এএএম/রফিক