বন্দরে ইউএনও ও ওসির বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
Published: 4th, December 2025 GMT
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে রদবদল শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মোস্তাফিজুর রহমান ও বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.লিয়াকত আলীকে বদলী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বন্দর উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে উল্লেখিত দুই কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার(ভুমি) রহিমা আক্তার ইতি, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.
অনুষ্ঠানে বিদায়ী দুই অফিসারের কার্যকালে জনস্বার্থে বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের স্মৃতিচারন করে বক্তারা বলেন,চরম টালমাটাল অবস্থায় ইউএনও মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং ওসি লিয়াকত আলী কর্মস্থলে যোগদান করেন।দু’জনেই স্ব-স্ব দায়িত্ব গ্রহণের পরপর গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে জনমনে স্বস্তি ফেরাতে নিরলস কাজ করেছেন।অনেকাংশেই তারা সফলভাবে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বন্দরের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইউএনও কর মকর ত অফ স র অন ষ ঠ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সাবেক প্রধান শিক্ষকের নামে ইউএনওর চাঁদাবাজির মামলা
নড়াইলের লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম খানের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করেছেন লোহাগড়া উপজেলার ইউএনও মো. আবু রিয়াদ।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে তিনি নিজে বাদী হয়ে আবদুর রহিম খানসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে বুধবার সকালে পুলিশ আবদুর রহিম খানকে আতোষপাড়া তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করে ইউএনওর কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সুধীজন ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অভিযুক্ত আবদুর রহিম খান মল্লিকপুর ইউনিয়নের আতোষপাড়া গ্রামের মৃত মঞ্জেল খানের ছেলে। ২০২৪ সালের শুরুর দিকে লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তিনি চাকরিচ্যুত হন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর ইউএনও আবু রিয়াদ অফিস শেষে ডাক বাংলোয় যাওয়ার পথে আবদুর রহিম অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে নিয়ে ইউএনওর গাড়ির গতিরোধ করেন। এ সময় তারা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আবদুর রহিম ইউএনওর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে বিভিন্ন সময় টাকা চেয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ টেক্সট করেছে এবং তা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ করে ইউএনওর সম্মানহানি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আবদুর রহিম খান বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’
ঢাকা/শরিফুল//