হুট করেই গত বছর মেহেদী হাসান মিরাজকে ওয়ানডে অধিনায়ক করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে এক বছরের জন‌্য তাকে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মিরাজের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জিতল। পাকাপাকি দায়িত্ব পাওয়ার পর দুটি সিরিজ হারে বাংলাদেশ। নেতৃত্ব দিয়ে তৃতীয় সিরিজে দলকে জেতানোয় যারপরনাই খুশি মিরাজ। 

সিরিজ জয় নিয়ে ম‌্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেছেন,‘‘নিশ্চিতভাবেই দল যদি ফল না করে, দায় অধিনায়কের উপরেই আসে। কিন্তু দল যখন ভালো খেলে, তখন কিন্তু অবশ্যই দলের সবাই একত্রিত হয়ে খেলার কারণেই ফল আসে। আমরা বাংলাদেশের হয়ে খেলছি এবং বাংলাদেশকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, এটাই হলো আমাদের লক্ষ্য।’’

আরো পড়ুন:

রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ সমতায় দ.

আফ্রিকা

অ্যাডিলেডে রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া

মিরাজের অধিনায়কত্বের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। শ্রীলঙ্কা সফরে ২-১ ব‌্যবধানে দল হেরে যায়। এরপর কিছুদিন আগে আফগানিস্তান বাংলাদেশকে ৩-০ ব‌্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে। এর আগে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে এক সিরিজে কাজ করেছেন। যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-০ ব‌্যবধানে হারায় বাংলাদেশকে। সামনে কী হবে তার জানা নেই। তবে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে চান মিরাজ, 

‘‘আমি অত দূর পর্যন্ত এখন চিন্তা করছি না। কারণ যেহেতু আমাকে এক বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এক বছরের ভিতর যতগুলো ম্যাচ আছে এবং বাংলাদেশকে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমাকে যখন ক্যাপ্টেন্সি দেওয়া হয়েছিল, তখন আমাদের টিমের পজিশন ছিল কত? ১০ নাম্বার। এখন আছে কত আমাদের? ১০-ই আছে। তার মানে আমি হ্যাঁ, মাঝখানে আমি অনেক ম্যাচ হেরেছি। দলের সবাই যদি পারফর্ম করতো, সবাই যদি সবার খেলাটা খেলতো, তাহলে হয়তো আমরা জিততে পারতাম।’’

অধিনায়কত্ব কতটা উপভোগ করছেন সেই কথা জানাতে গিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘‘আমার তিন নাম্বার সিরিজ চলছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলাম। ওই সিরিজে শান্ত অধিনায়ক ছিল, ও ইনজুরি থাকার কারণে আমি অধিনায়কত্ব করেছি। শুরুতে অবশ‌্যই একটু চাপ ছিল। এখন আমি যত (অধিনায়কত্ব)  করবো, তত আস্তে আস্তে উন্নতি হবে।‘’

মিরাজ কঠিন সময় কাটাচ্ছেন নিশ্চিতভাবেই। কঠিন এ সময়গুলোতে মিরাজ পাশে পেয়েছেন সাবেক দুই অধিনায়ক মাশরাফি ও তামিমকে। যারা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক। মিরাজ জানালেন, পেছন থেকে দেশের দুই কিংবদন্তি সাপোর্ট করছেন তাকে,  

‘‘আমাদের বাংলাদেশের যারা কিংবদন্তি খেলোয়াড় ছিলেরন, যারা অনেক অধিনায়কত্ব করেছেন, তারা আমাকে অনেক সাহায‌্য করছে এবং সত্যি কথা বলতে তারা পিছন থেকে আমাকে অনেক সহযোগিতা করছে, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের সফল অধিনায়ক। আমি যদি বলি, মাশরাফি ভাই, তিনি আমাকে অনেক সাপোর্ট করছেন এবং আমাকে বলেছে…তামিম ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন যে, এইভাবে এইভাবে করলে ভালো হবে।’’

‘‘আপনি যদি দেখেন, তারা কিন্তু দুইজনই বাংলাদেশের সবচেয়ে মোস্ট সাকসেসফুল ক্যাপ্টেন। এবং সত্যি কথা বলতে তারা আমাকে অনেক সাপোর্ট করছেন। এই যে দুইটা সিরিজে অনেক কিছু হয়েছে, তারা দেখেছেন এবং অনেক কথা হয়েছে। এই জিনিসটা আমার কাছে খুব ভালো লাগছে।’’ - বলেছেন মিরাজ। 

 

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প র ট করছ ন বল ছ ন অন ক স আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

১২ বছর পর থাইল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ, প্রথমার্ধে পিছিয়ে ঋতুপর্ণারা

১২ বছর পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমে আগের হিসাব পাল্টানোর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের।

তবে ব্যাংককের থনবুরি বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল মাঠে প্রীতি ম্যাচের প্রথমার্ধে সেই স্বপ্নে আপাতত ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক থাইল্যান্ডের কাছে ১–০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেছেন ঋতুপর্ণা-আফঈদারা।

বাংলাদেশ নারী দল এর আগে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল, ২০১৩ সালের এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে। সেই ম্যাচে ৯–০ গোলের বড় হার দেখেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও মুখোমুখি দুই দল।

ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার না হওয়ায় দেশের ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষা ফল জানার। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, প্রথমার্ধেই স্বাগতিকরা এগিয়ে গেছে এক গোল করে।
এ ম্যাচ দিয়েই সাড়ে তিন মাস পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী দল।

একই সঙ্গে আগামী বছরের এএফসি এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিও শুরু হলো এই প্রীতি ম্যাচ দিয়ে। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে থাইল্যান্ড ৫৩তম, বাংলাদেশ আছে ১০৪ নম্বরে। ম্যাচের আগে গোলকিপার রুপনা চাকমা বলেছিলেন, ‘অবশ্যই সেরাটা দিতে চাই, আমাদের লক্ষ্য জেতা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ