সোনারগাঁয়ের পঞ্চমীঘাটে মামুন মাহমুদের উদ্যোগে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প
Published: 25th, October 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফার প্রচারণার অংশ হিসেবে সোনারগাঁয়ের পঞ্চমী ঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালিত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয় এই ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প। ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখানে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। রোগীদের প্রয়োজনীয় ঔষধ, চশমা ফ্রি দেওয়া হচ্ছে।
পঞ্চমী ঘাট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব কামরুজ্জামান ভুইয়া মাসুম
নারায়ণগঞ্জ জেলা বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি ডা: মজিবুর রহমান
সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজ এর সহযোগিতা অধ্যাপক বদরুন নাহার
বিশিষ্ট চর্মরোগ ও বার্ণ প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা: আমিনুল ইসলাম
মুগধা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা: মো: ফরহাদ হাসান চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনির মল্লিক, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: মোসলেহ উদ্দিন, জেলা তাঁতীদলের সহ-সভাপতি ইসমাইল শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাকের আহমেদ সোহান, প্রভাষক রোমানা জাহান বন্যা, সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, প্রভাষক রোজিনা আক্তার, উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাদীপুর ইউনিয়ন ইউনিয়ন বিএনপি'র যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল-আমিন, সনমানদী ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ সভাপতি সুরুজ মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন মিয়া, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি আবু বক্কর, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম, সনমানদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো : কামরুল, সাদিপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন ভুট্টু, ৮ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি মামুন প্রধান, ৭নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি মহসিন সরকার, সহ-সভাপতি মো: জাকির হোসেন প্রমূখ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ইউন য ন ব এনপ র দল র স স ন রগ ক দল র র সহ স
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে হামেশা ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার
অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় হামেশা ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করে। সোনারগাঁ থানা পুলিশ নারায়ণগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী এলাকায় হামেশা ফুড লিমিটেড নামের একটি কারখানা খুলে আসাদুল ইসলাম আটা-ময়দার ব্যবসা করেন।
ব্যবসার নাম করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সদর ও ঢাকার অর্থঋণ আদালতে তার বিরুদ্ধে করা তিনটি মামলায় দায়ের করেন ভূক্তভোগীরা। সেই মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
সেসব মামলার ওয়ারেন্ট মূলে শুক্রবার ভোরে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তাকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে সকাল ১০টার দিকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসাদুল ইসলাম সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের মসলেন্দপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী ওরফে ডা. মাহমুদের ছেলে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ইমাম পরিচয়ে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি ব্যবসার নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করেন। অর্থ আদায় করতে গেলে বিভিন্ন সময় তিনি পাওনাদারদের মারধর ও হুমকি ধামকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এসব ঘটনায় সোনারগাঁ থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা ও একাধিক সাধারণ ডায়েরী রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়া এলাকার তানভীর ফ্লাওয়ার এন্ড ডাল মিলসের কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হোসাইন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসাদুল ইসলামের হামেশা ফুডের সঙ্গে তানভীর ফ্লাওয়ার এন্ড ডাল মিলসের ব্যবসা ছিল। ব্যবসার সূত্রে আসাদুল তানভীর ফ্লাওয়ার মিলের ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার কাঁচামাল প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছেন।
আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত চাইতে গেলে আসাদুল ইসলাম ভূক্তভোগী মাহমুদ হোসাইনকে মারধর করে এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন। পরবর্তীতে আসাদুল ইসলাম পাওনা টাকা না দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।