মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ও কাজিপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নারী, শিশু ও তৃতীয় লিঙ্গের ৬০ জন বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে এ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবি কাছে হস্তান্তর করে তারা।

আরো পড়ুন:

ফেনীতে সোয়া কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য উদ্ধার 

জৈন্তাপুর সীমান্তে বিজিবির গুলিতে যুবক নিহত

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কাথুলী ও কাজিপুর বিওপি সীমান্ত এলাকার প্রায় ১০০ গজ ভেতরে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ৬০ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসা ব্যক্তিদের বাড়ি কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। তারা বিভিন্ন সময় দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরে বিএসএফ তাদের আটক করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি ইসরাইল বলেন, “আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভারত থেকে হস্তান্তর হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।”

ঢাকা/ফারুক/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তে শেষবারের মতো বাংলাদেশি মায়ের মুখ দেখলেন ভারতীয় মেয়ে

বাংলাদেশি এক নারীর মৃত্যুর পর তাঁর ভারতীয় মেয়ের অনুরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের শূন্যরেখায় লাশ দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বিজিবি জানায়, গতকাল সোমবার রাতে বার্ধক্যের কারণে মারা যান বাংলাদেশি তারা বানু (৮০)। খবর পেয়ে ভারতের মালদা জেলার দুইশতবিঘি গ্রামের বাসিন্দা মেয়ে মালেকা বেগম বিএসএফের মাধ্যমে লাশ দেখার আবেদন করেন বিজিবির কাছে। বিষয়টি জানার পর মানবিক বিবেচনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি। আজ মঙ্গলবার সকালে শিবগঞ্জ সীমান্তের কিরণগঞ্জ সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকার সীমান্ত পিলার ১৭৯/৩–এস–এর শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে স্বজনদের লাশ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।

শূন্যরেখায় মায়ের মুখ দেখে আবেগে ভেঙে পড়েন মেয়ে মালেকা বেগম। আত্মীয়েরা শেষবারের মতো লাশ দেখার এমন সুযোগ পেয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তারা বানুর ছেলে কুরবান আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছোট বোনটাক শেষবারের মতো মায়ের মুখখান দেখাইতে পারনু। নাহিলে সারা জীবনের লাইগ্যা আফসোস থাইক্যা যাইতোক অরও, হামারও। বোনটার সাথে ভগ্নিপতি, দুই ভাগনি, ভাগনিজামাইসহ ১৫–১৬ জন আত্মীয় আইস্যাছিল। কাঁটাতারের বেড়ার আগে অবাধে যাওয়া–আসা ছিল। মাত্র তো দুই শ গজ দূরের গাঁ। এপারের অনেক মেয়ের যেমন ওপারে বিয়ে হয়েছে, তেমনি ওপারের অনেক মেয়ে এপারে আছে। হামি বিজিবি–বিএসএফের কাছে কৃতজ্ঞ।’

এর আগে গত শুক্রবার একই সীমান্তে ভারতীয় মৃত বোনের মুখ দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশি ভাই।

৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিজিবি সব সময় মানবিক প্রয়োজনে সহানুভূতিশীল ভূমিকা পালন করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  •  ১৩ মাস পর ভারত থেকে দেশে ফিরলেন ৬ জেলে
  • সীমান্তে শেষবারের মতো বাংলাদেশি মায়ের মুখ দেখলেন ভারতীয় মেয়ে