জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। তারা বলেছে, এই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, তার আগেই গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত গ্রহণ করতে হবে।

খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের অষ্টম অধিবেশন ও মজলিসে শুরার জরুরি অধিবেশনে দলটির নেতারা এ কথাগুলো বলেন। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলের মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খেলাফত মজলিসের অংশগ্রহণপ্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। মজলিসে শুরার সদস্য এবং তৃণমূলের নেতারা মৌখিক ও লিখিতভাবে মতামত দেন, তাঁরা এককভাবে অপরাপর ইসলামি দলের সঙ্গে আসনভিত্তিক সমঝোতার মাধ্যমে নাকি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।

অধিবেশনের উদ্বোধনী বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, যেকোনো মতামত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁদের ইসলাম, দেশ ও সংগঠনের কল্যাণকে পর্যায়ক্রমে বিবেচনায় নিতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, রাজনীতিতে কাউকেই চূড়ান্ত বন্ধু বা শত্রু মনে করা যায় না। বরং ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। মতামতের ভিত্তিতে যেই সিদ্ধান্তই গৃহীত হোক, সবাইকে তা মেনে নিতে হবে।

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা, গণভোটের দাবিসহ খেলাফত মজলিসের শুরা অধিবেশনে নয়টি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। অন্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃ স্থাপন; আল্লাহ, রাসুল (সা.

) ও ইসলাম অবমাননার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ; ফিলিস্তিন ও ভারতে মুসলিম নিধন বন্ধে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ; কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা; ইসকনসহ সব হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন মোকাবিলা এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগ জোরদার।

মামুনুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ, অভিভাবক পরিষদের অন্যতম সদস্য আকরাম আলী, নায়েবে আমির আফজালুর রহমান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন দলটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ই সনদ মত মত গণভ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় দেশের গবেষকদের নিয়ে চুয়েটে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ‘অষ্টম যন্ত্রকৌশল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন’। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে এ সম্মেলন আয়োজিত হচ্ছে।

আজ বেলা ১১টায় চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক কাজী আফজালুর রহমান এবং ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেন্সির পরিচালক অধ্যাপক বদিউস সালাম।

চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের সম্পাদক অধ্যাপক মো. সানাউল রাব্বী। এ ছাড়া বক্তব্য দেন জাপানের সাগা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকিও মিয়ারা এবং নরওয়ের আগডার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তোরে ভেহুসও।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফয়েজ বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে কাজ করার এবং দেশ ও সমাজের কল্যাণে নতুন কিছু করার সুযোগ এসেছে। এই সম্মেলন আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মানচিত্রে আমাদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করবে।’

চুয়েটের উপাচার্য ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া বলেন, ‘টেকসই ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প অর্থনীতিতে রূপান্তরের জন্য বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। এ জন্য গবেষণা, উদ্ভাবন এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। এ ধরনের সম্মেলন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

অষ্টমবারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নরওয়ে, মালয়েশিয়াসহ ছয়টি দেশের প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষক, গবেষক ও শিল্পোদ্যোক্তা অংশ নিচ্ছেন। থাকছেন সাতজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা। তাঁরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, রোবোটিকস, বুদ্ধিমান সিস্টেম, উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি ও আধুনিক যন্ত্র প্রকৌশল বিষয়ে গবেষণা উপস্থাপন করবেন।

সম্মেলনে মোট ২৪১টি গবেষণাপত্র উপস্থাপনের কথা রয়েছে। দ্বিতীয় দিনে ২০টির বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে সেমিনার হবে। তৃতীয় দিনে চুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধীনে থাকা চারটি সংগঠনের মাধ্যমে রোবো রেস, পোস্টার প্রেজেন্টেশন ও ডিজাইন কনটেস্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ