জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নির্বাচনের আগে গণভোট চায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
Published: 25th, October 2025 GMT
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। তারা বলেছে, এই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করতে হবে। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, তার আগেই গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত গ্রহণ করতে হবে।
খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের অষ্টম অধিবেশন ও মজলিসে শুরার জরুরি অধিবেশনে দলটির নেতারা এ কথাগুলো বলেন। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলের মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খেলাফত মজলিসের অংশগ্রহণপ্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। মজলিসে শুরার সদস্য এবং তৃণমূলের নেতারা মৌখিক ও লিখিতভাবে মতামত দেন, তাঁরা এককভাবে অপরাপর ইসলামি দলের সঙ্গে আসনভিত্তিক সমঝোতার মাধ্যমে নাকি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
অধিবেশনের উদ্বোধনী বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, যেকোনো মতামত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁদের ইসলাম, দেশ ও সংগঠনের কল্যাণকে পর্যায়ক্রমে বিবেচনায় নিতে হবে।
মামুনুল হক বলেন, রাজনীতিতে কাউকেই চূড়ান্ত বন্ধু বা শত্রু মনে করা যায় না। বরং ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। মতামতের ভিত্তিতে যেই সিদ্ধান্তই গৃহীত হোক, সবাইকে তা মেনে নিতে হবে।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা, গণভোটের দাবিসহ খেলাফত মজলিসের শুরা অধিবেশনে নয়টি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। অন্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃ স্থাপন; আল্লাহ, রাসুল (সা.
মামুনুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ, অভিভাবক পরিষদের অন্যতম সদস্য আকরাম আলী, নায়েবে আমির আফজালুর রহমান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন দলটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলা নিয়ে ট্রাম্প কী লক্ষ্য অর্জন করতে চান
দুই মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ আয়োজন। কিন্তু ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে কারাকাসকে বার্তা দিতে চায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ছোট ছোট নৌযানে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেছে। এই হামলাগুলোকে ঘিরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে—ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোকে ভয় দেখাতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
লন্ডনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের লাতিন আমেরিকা-বিষয়ক সিনিয়র ফেলো ক্রিস্টোফার সাবাতিনি বলেন, এটি মূলত সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা। তারা হয়তো সরাসরি আগ্রাসনে যাবে না, বরং শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে বার্তা দিতে চায়।
সাবাতিনির মতে, এই সামরিক আয়োজন আসলে শক্তি প্রদর্শন। এর উদ্দেশ্য ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মহলে ভয় সৃষ্টি করা, যাতে তারা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প