বংশালে তরুণের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
Published: 26th, October 2025 GMT
ঢাকার বংশালের আগামসিলেন এলাকার একটি বাসা থেকে মোহাম্মদ সজিব (১৯) নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে এক পরিচিত তরুণীর ডাকে সজিব ওই বাসায় যান। সেখানে মারধরে তার মৃত্যু হয়।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ দুলাল হক জানান, বিকেলে ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে ওই বাসার চতুর্থ তলার সিঁড়ি থেকে গলায় জিআই তার প্যাঁচানো অবস্থায় সজিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই দুলাল হক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সজিব ও ওই পরিবারের এক মেয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তবে উভয় পরিবারের কেউই সম্পর্কটি মেনে নেয়নি। এ নিয়ে সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিরোধও তৈরি হয়।
নিহতের বাবা মোহাম্মদ তাজউদ্দীন বলেন, “আমার ছেলে এসএসসি পাস করেছে। শিগগিরই বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। শনিবার বিকেলে সে পরিচিত এক মেয়ের ডাকে আগামসিলেনে যায়। পরে খবর পাই, তাকে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।”
তিনি আরো বলেন, “আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি চাই।”
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঢাকা/বুলবুল/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মর্গের তরুণীর লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার, ডোম গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে এক তরুণীর (২০) লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগে আবু সাইদ (১৯) নামের এক ডোমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে মমেক হাসপাতালের লাশকাটা ঘরে এ ঘটনা ঘটে। সেদিন রাতেই হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আবু সাঈদ ময়মনসিং হের হালুয়াঘাট উপজেলার খন্দক পাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি হালুয়াঘাট থানায় মরদেহ আনা-নেওয়া করতেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আবু সাইদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জসিম উদ্দিন বলেছেন, গত রবিবার হালুয়াঘাট উপজেলায় রাত আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। রাতে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হেফাজাতে রাখে। পরদিন সকাল ১১টায় ডোম আবু সাইদ ও আরেকজন তরুণীর লাশ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসেন। তারা মর্গে মরদেহ রেখে চলে যান। আধা ঘণ্টা পর আবু সাইদ ও তার সঙ্গী এসে চাবি নিয়ে মর্গে ঢুকে লাশের সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন। মর্গে কর্তব্যরত ডোম এসে অন্ধকার দেখতে পেরে লাইট জ্বালান। এ সময় আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে মর্গে ঘুমাতে দেখেন। মরদেহ দেখে কর্তব্যরত কর্তব্যরত ডোমের সন্দেহ হলে চিকিৎসককে খবর দেন তিনি। চিকিৎসক এসে ময়নাতদন্ত করে ধর্ষণের আলামত পান।
ওই ডোম বলেন, চিকিৎসক ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করলে হালুয়াঘাট থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আবু সাইদ ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মামলার বাদী হালুয়াঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল বলেন, আবু সাইদ জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি হালুয়াঘাট থানায় মরদেহ আনা-নেওয়া করতেন।
ঢাকা/মিলন/রফিক