কক্সবাজারে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের  (বিএফইউজে) নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে ২১ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হলো— নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং ‘নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া’ নীতি কার্যকর করা।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন। সঞ্চালনায় ছিলেন মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী। সভায় সহ-সভাপতি একেএম মহসিন, সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, ড.

সাদিকুল ইসলাম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বলা হয়, সাংবাদিকদের জন্য দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি নির্ধারণ, সাগর-রুনি হত্যাসহ সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার, গণমাধ্যমবিরোধী আইন বাতিল ও পৃথক শ্রম আদালত স্থাপন এখন সময়ের দাবি।

বক্তারা বলেন, দেশের গণমাধ্যম খাতে ৫০টিরও বেশি আইন, বিধি ও নীতিমালা থাকলেও এখনো কোনো সমন্বিত জাতীয় গণমাধ্যম নীতিমালা নেই। একটি পূর্ণাঙ্গ ও অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করলে তা বাস্তবায়ন সহজ হবে।

সভায় আরো জানানো হয়, সংবাদপত্রে ২৭.৫ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স আরোপ গণমাধ্যম শিল্পকে সংকটে ফেলছে। এই হার কমিয়ে পোশাক খাতের মতো ১৫ শতাংশে আনার আহ্বান জানানো হয়।

বিএফইউজে নেতারা জোর দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি প্রণয়নে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা টেকসই হবে না।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণম ধ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিটি আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার গোপনীয়তার আশ্রয় নিয়েছে: ইফতেখারুজ্জামান

অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি আইন করার ক্ষেত্রে গোপনীয়তার আশ্রয় নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। সংস্কার কমিশনের প্রধান হওয়ার পরও তাঁকে অন্য মাধ্যম থেকে অধ্যাদেশের খসড়া পেয়ে মতামত দিতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘কর্তৃত্ববাদের পতন–পরবর্তী গণমাধ্যম পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এক প্রবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করে টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ সরকারের সময় পাস হওয়া বেশ কয়েকটি অধ্যাদেশের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত হতে পেরেছিলেন। ‘আমাকে সম্পৃক্ত হতে দেওয়া হয়েছে। আমি সেটা বলছি না, আমি পেরেছি’ বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘দুদক সংস্কার কমিশন যে আশু বাস্তবায়ন প্রস্তাবগুলো সরকারকে দিয়েছিল, অধ্যাদেশ করার সময় তার শতভাগই বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।’

ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কমিশনের প্রস্তাবনায় দুদকের জন্য একটি ‘বাছাই’ ও ‘পর্যালোচনা’ কমিটির কথা বলা ছিল। অধ্যাদেশ করার সময় ‘বাছাই’ শব্দটি রেখে ‘পর্যালোচনা’ শব্দটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। এটা জানার পর তিনি শীর্ষ পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তাঁরা ‘পর্যালোচনা’ রাখতে রাজি হন। এরপর তিনি জানতে পারেন, সেটা বাতিল করা হয়েছে।

দেশে সংস্কারের পথে বড় অন্তরায় আমলাতন্ত্র বলে মন্তব্য করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আর এর পেছনে হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে রাজনীতিবিদদের “আওয়ার টাইম” সংস্কৃতি। ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলাম, এবার আমাদের পালা।’ রাজনীতিবিদ ও আমলাতন্ত্রের এমন মানসিকতার কারণে সংস্কারের সম্ভাবনা ঝুঁকিতে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রতিটি আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার গোপনীয়তার আশ্রয় নিয়েছে: ইফতেখারুজ্জামান