বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে ফার্মগেটে নিহত ১, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ
Published: 26th, October 2025 GMT
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে গেছে। এতে নিচে থাকা একজন পথচারী নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগেও গত বছর সেপ্টেম্বরে ফার্মগেট এলাকায় বিয়ারিং প্যাড খুলে নিচে পড়ে গিয়েছিল।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনার কারণে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথেই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কখন চালু হবে তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোরেলে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। এর ফলে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে পর্যন্ত ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছে।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়াল পথের পিলারের সঙ্গে রাবারের এসব বিয়ারিং প্যাড থাকে। এগুলোর প্রতিটির ওজন আনুমানিক ১৪০ বা ১৫০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়াল পথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্যেই মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি চাকরিতে কোটাসহ ৫ দফা দাবিতে প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটদের অবস্থান কর্মসূচি
সরকারি চাকরিতে কোটাসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’ ব্যানারে ১৯ অক্টোবর থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন প্রায় ৬০ জন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্বতন্ত্র ২% কোটা এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫% স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্য দাবিগুলো হলো—নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বিশেষ নিয়োগ প্রদান, বিদ্যমান অভিন্ন জাতীয় শ্রুতলেখক নীতিমালা সংশোধন, পিএইচটি সেন্টারগুলোর শূন্য পদে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চাকরিপ্রত্যাশীদের বিশেষ নিয়োগের ব্যবস্থা এবং চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করা।
আরও পড়ুনকাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে বড় নিয়োগ, পদসংখ্যা ৯৯১ ঘণ্টা আগেআন্দোলনকারীদের একজন আলিফ হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৮ সালে কোটা বাতিলের পর থেকেই আমরা আন্দোলন করছি। বিগত সরকারের সময়েও আমরা বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি, এখনো হচ্ছি। পাঁচ দিন ধরে রোদে পুড়ছি এখানে, কেউ খোঁজও নেয়নি।’
অপর একজন আন্দোলনকারী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কোনো সমাধানের আশ্বাস দেননি। আমরা একাধিকবার সচিবালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। এতগুলো সংস্কার কমিশন হয়েছে, কিন্তু প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো কমিশন হলো না।’
সরকারি চাকরিতে কোটাসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা