বিশ্বযুদ্ধে ‘মৃত্যু’র ১৫ বছর পর টেস্ট অভিষেক আর ক্যাপ–নাটকের একজন হ্যারি লি
Published: 26th, October 2025 GMT
ঠিকঠাক ক্রিকেট-ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার আগেই নিয়তি তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল ভয়ংকর রণক্ষেত্রে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হলেন। নো ম্যানস ল্যান্ডে পড়ে থাকলেন কয়েক দিন। ঘোষণা করা হলো মৃত। হয়ে গেল স্মরণসভাও। কিন্তু অলৌকিকভাবে তিনি বেঁচে গেলেন। সেখানেই শেষ নয়। কয়েক বছর পর বেঁচে গেলেন সমুদ্রযাত্রায় ডুবে মরার হাত থেকেও।
আর দুবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া এই মানুষই ৪০ বছর বয়সে হয়ে গেলেন টেস্ট ক্রিকেটার। তা–ও নানা নাটকীয়তার পর। পরবর্তী সময়ে ব্যাট–বলে অনেক বড় কেউ হয়ে উঠতে পারেননি, তবে জীবনের বাঁকে বাঁকে নানা উত্থান–পতনের মধ্যে টিকে থেকে হয়ে উঠেছেন কিংবদন্তিসম। নাম তাঁর হ্যারি লি।
রাস্তার সেই ল্যাম্পপোস্ট থেকেহ্যারি লির জন্ম ইংল্যান্ডের মেরিলিবোনের এক সাধারণ পরিবারে, ১৮৯০ সালে। বাবা ছিলেন সবজিওয়ালা, কয়লাও বিক্রি করতেন। তখনো পর্যন্ত আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে থাকা ক্রিকেটে এমন পরিবারের কারও প্রবেশ সহজ ছিল না। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি তীব্র আকর্ষণ লিকে ক্রিকেটেই আটকেছে। ল্যাম্পপোস্টকে স্টাম্প বানিয়ে রাস্তায় ক্রিকেট খেলতেন। খেলতেন স্কুলেও। সেন্ট টমাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক ডেসিপ্ট তাঁর ছাত্রদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতেন, যে তাঁকে আউট করতে পারবে, তাঁকে এক পয়সা দেওয়া হবে। বেশির ভাগ সময়ই সেটা লির পকেটে ঢুকত। তখন মূলত বোলিংই করতেন লি।
হ্যারি লি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মালাইকার বয়স নিয়ে গোলক ধাঁধায় নেটিজেনরা
বয়স যে কেবলি সংখ্যা, তা বহুবার প্রমাণ করে দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা। বয়সের সংখ্যাকে চলমান রেখে, নিজের শরীরি সৌন্দর্য ঠিকই স্থির রেখেছেন এই অভিনেত্রী।
ফ্যাশন ও স্বাস্থ্যসচেতন মালাইকা বরাবরই বিলাসবহুল জীবনযাপন করে থাকেন। ব্যয়বহুল পরিধেয় পোশাকে রাখেন নান্দনিকতা। ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটে না। সবকিছু মিলিয়ে মালাইকার সঠিক বয়স ঠাহর করা কঠিন।
আরো পড়ুন:
রাজেশ খান্নার নাতনিকে কতটা চেনেন?
ফুটপাতের দোকানের জিনিস ছুড়ে ফেলছেন ক্ষুব্ধ খুশি, ভিডিও ভাইরাল
কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে ‘থাম্মা’ সিনেমার ‘পয়জন বেবি’ গান। দীর্ঘ দিন পর এ গানের মাধ্যমে পর্দায় ফিরেছেন আইটেম কন্যা মালাইকা আরোরা। জেসমিন স্যান্ডলাস, সচিন-জিগর ও দিব্যা কুমারের এ গানে মালাইকার নাচে বুঁদ হয়ে আছেন দর্শকরা। গানটিতে মালাইকার হিল্লোল তোলা নাচ আর শরীরি সৌন্দর্য গোলক ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে দর্শকদের।
সকলেই জানেন মালাইকার বয়স ৫২। সত্যি কি তাই? এ প্রশ্ন যখন জোরালো হয়েছে, তখনই প্রকৃতির নিয়মে চলে এসেছে মালাইকার জন্মদিন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ছিল বলিউডের ‘মুন্নির’ জন্মদিন। এ উপলক্ষে বরাবরের মতো এবারো ঘরোয়া আয়োজন ছিল। পুত্র ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেক কেটে দিনটি উদযাপন করেন এই অভিনেত্রী। আর এই আসরে ‘রহস্যময়ী মালাইকার’ বয়স ফাঁস করলেন তার বোন অমৃতা আরোরা।
জন্মদিনের কেক ও মালাইকার কয়েকটি ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন অমৃতা আরোরা। এক পোস্টে অমৃতা আরোরা লেখেন, “এত বছর ধরেই তোমার ৫০ হওয়ার গল্প, অবশেষে সত্যি তোমার ৫০ হলো, আমার সুন্দরী বোন।”
অন্য একটি পোস্টে অমৃতা লেখন, “মাল্লা, অবশেষে তোমার ৫০ হলো। আহ, এর চেয়ে ভালো ৫০ বছরের কেউ হতে পারে নাকি! উফফ, আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি… গত রাতটা কী দারুণ ছিল… একেবারে জাদুকরি।”
অমৃতার এসব পোস্ট দেখে নেটিজেনদের অনেকের চোখ কপালে উঠেছে। রেডিটে দেওয়া এক পোস্টে একজন লেখেন, “২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত আপনি ৪৯ ও ৫০ তম জন্মদিন উদযাপন করছেন।” এ পোস্টে একজন লেখেন, “বয়স নিয়ে আপনারা কেন চিন্তিত? বয়সের তুলনায় সে (মালাইকা) দেখতে অসাধারণ।” আরেকজন লেখেন, “আমার বয়স ৩৫, আমাকে দেখতে তার চেয়েও বেশি বয়েসি মনে হয়।”
মালাইকার বয়স ৫০, নেটিজেনদের অনেকে তা মানতে নারাজ। একজন লেখেন, “এক সাক্ষাৎকারে মালাইকা বলেছিলেন, আরবাজের চেয়ে ২ বছরের বড় সে। গুগল বলছে, আরবাজের বয়স এখন ৫৮, তাহলে মালাইকার বয়স ৬০ বছর? ধুর, ৬০ বছর বয়সেও আমি এরকম দেখতে হলে যেকোনো কিছু করতে রাজি!”
এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বয়স নিয়ে নানা সময় নানা ধরনের চর্চা চললেও পরিষ্কার কোনো মন্তব্য করেননি মালাইকা।
মালাইকার বাবার নাম অনিল আরোরা, মায়ের নাম জয়েস পলিকার্প। অনিল-জয়েস দম্পতির দুই সন্তান। তারা হলেন—মালাইকা আরোরা ও অমৃতা আরোরা। মালাইকার বয়স যখন ১১ বছর তখন তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তবে পরবর্তীতে অনীল কুলদীপ মেহতাকে বিয়ে করেন মালাইকার মা। গত বছরের শেষের দিকে আত্মহত্যা করেন মালাইকার সৎবাবা অনিল কুলদীপ।
মালাইকার বাবা-মা অনিল আরোরা ও জয়েসের বিচ্ছেদের পর মায়ের কাছেই বেড়ে উঠেন মালাইকা ও তার বোন অমৃতা। ফলে মালাইকার চাকচিক্যময় জীবন নিয়ে নানা সময়ে নানা প্রশ্নও উঠলেও তার সত্যিকারের জীবন এতটা সহজ নয়, কখনো ছিলও না। কারণ অনেক সংগ্রাম করে আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন এই অভিনেত্রী।
১৯৯৮ সালে আরবাজ খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মালাইকা আরোরা। ২০১৬ সালে দীর্ঘ ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এই দম্পতি। ২০১৭ সালের মে মাসে তাদের বিচ্ছেদ মঞ্জুর করেন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার পারিবারিক আদালত। মালাইকা-আরবাজের আরহান খান নামে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এরপর আর বিয়ে করেননি মালাইকা।
ঢাকা/শান্ত