Prothomalo:
2025-11-26@08:42:27 GMT

রমনা পার্কের ম্যাকআর্থার পাম

Published: 26th, November 2025 GMT

রমনা উদ্যানের অরুণোদয় ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে সোজা বাঁ দিকের রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকলে কাকরাইল মসজিদের পেছনের রাস্তাটির দুই পাশে সারি করে লাগানো ৪৯টি ম্যাকআর্থার পামের ঝোপ চোখে পড়ে। এতগুলো ম্যাকআর্থার পামের বীথি আর কোথাও চোখে পড়েনি।

গাছগুলো দেখে মনে হয় একই সময় লাগানো হয়েছিল। লাগানোর সময় সেখানে আরও গাছ ছিল। কেননা, দুটি সারির মাঝে কিছু ম্যাকআর্থার পামগাছ নেই। সেখানে ভিন্ন গাছ লাগানো হয়েছে। পরিকল্পনা হয়তো ছিল যে এই রাস্তার ধারে ম্যাকআর্থার পামের এক নিরেট বীথি গড়ে তোলা হবে। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক, সেই একহারা বীথিটা এখন আর নেই। কোনো কোনো ঝোপে প্রচুর গাছ, গোড়া থেকে খাড়া হয়ে খুঁটির মতো উঠে বড় ঝোপ করেছে। আবার কোনো কোনো ঝোপে মাত্র একটি গাছ টিনটিন করে টিকে আছে। সঠিক পরিচর্যা না পেলে যা হয়।

যাহোক, প্রায়ই হাঁটতে গিয়ে কিছু কিছু গাছের এসব দুর্দশা দেখে মন খারাপ হয়, আবার কিছু কিছু গাছের ভালো চেহারা দেখে মন ভালো হয়ে যায়। ফলে অনুভূতির যোগ-বিয়োগ করে মনটা থাকে একই রকম। ম্যাকআর্থার পামগাছের চরিত্রটা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। সেপ্টেম্বরে গিয়ে পেলাম প্রচুর ফুলের দেখা। কিছু গাছে ফুল এখন হেমন্তকালেও ফুটছে। গাছের মাথার দিকে কাণ্ডের গিঁট থেকে বিপরীতক্রমে পুষ্পমঞ্জরি বা কাঁদি বের হয়। সেই কাঁদিতে অনেকগুলো পুষ্পমঞ্জরি শাখায়িত হয়ে জন্মে, নিচের দিকে সেগুলো ঝুলতে থাকে। এক একটি পুষ্পমঞ্জরি ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। পুষ্পদণ্ডের চারদিকে ছোট ছোট ঘিয়ে সাদা বা সবুজাভ-হলুদ রঙের ফুল ফোটে। সে দণ্ডে ফুলগুলো ফোটে দল বেঁধে। একটি দলে বা গ্রুপে থাকে একটি স্ত্রী ও দুটি পুরুষ ফুল। তুলনামূলকভাবে পুরুষ ফুল স্ত্রী ফুলের চেয়ে সামান্য বড় থাকে। ফুলে তিনটি বৃতি ও তিনটি পাপড়ি থাকে।

সে গাছেরই আরেক ঝোপে পেলাম পাকা হলুদ-লাল ফলের দেখা। আবার হেমন্তে গিয়ে দেখছি সেসব গাছে প্রচুর ফুল ও কাঁদি ভরে কাঁচা সবুজ ফল ঝুলছে। ফলগুলো দেখতে অনেকটা খুদিখেজুরের মতো। তবে আকৃতিতে সুপারির মতো, ডিম্বাকার ও অগ্রভাগ সুচালো, কিন্তু ফলগুলো সুপারির চেয়ে অনেক ছোট। পাকলে ফলগুলো প্রথমে হলুদ ও পরে লাল হয়ে যায়। লম্বা ছড়ায় প্রচুর ফল ধরে।

ম্যাকআর্থারগাছের ফুল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননার অভিযোগ

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।

আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই অভিযোগ করেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম। ট্রাইব্যুনাল আগামী রোববার শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

অভিযোগে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে ফজলুর রহমান বলেছেন, তিনি এই ট্রাইব্যুনাল মানেন না। তাঁর যুক্তি, এই ট্রাইব্যুনাল তৈরি হয়েছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য। এই ট্রাইব্যুনালে অন্য কোনো বিচার হতে পারে না।

প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, এই ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, ক্রাইম এগেইনস্ট পিসের বিচার করতে পারেন। এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে। ফজলুর রহমানের মাথায় শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়টি আছে।

টক শোর আরেকটি অংশ তুলে ধরে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘এই কোর্টের গঠনপ্রক্রিয়া বলে—এই কোর্টে বিচার হইতে পারে না। এই কোর্টে যাঁরা বিচার করতেছেন, আমার ধারণা এঁদের মধ্যে ভেতরে একটা কথা আছে।’

টক শোর এই দুটি অংশ তুলে ধরে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, ফজলুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বিএনপির সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে এ ধরনের মন্তব্য করার পরিণতি জানেন। তারপরও ফজলুর রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ট্রাইব্যুনালের গঠনপ্রক্রিয়া, বিচার নিয়ে প্রতিনিয়ত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ট্রাইব্যুনালকে অবমূল্যায়ন করে বক্তব্য দিয়েছেন। এতে প্রতীয়মান হয়, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আদালত অবমাননা করছেন।

আজ এ অভিযোগ উপস্থাপনের সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর সদস্য-২ বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার ও সদস্য-১ বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন না।

প্রসিকিউশনকে শোনার পর আদেশে বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী বলেন, এটি খুবই গুরুতর অভিযোগ। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আগামী রোববার আবার শুনানি হবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ফজলুর রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ