অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনশনরত রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৫ শিক্ষ
Published: 27th, October 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন পাঁচ শিক্ষার্থী।
টানা ২১ ঘণ্টা ধরে অনশন থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তারা। এর মধ্যে, গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বাকসু অকার্যকর থাকায় সাঁটানো হলো ‘সেন্ট্রাল ভাতের হোটেল’ লেখা ব্যানার
টিউশনিতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার জবি ছাত্রী, অভিযুক্ত পলাতক
এর আগে, টানা চারদিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্যালাইন দেওয়া হয়। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব এসে তাদের খোঁজ নেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তাদের।
এদিকে, শিক্ষার্থীরা বলছেন প্রশাসন শুধু আমাদের আশ্বাসই দিচ্ছে, কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ তারা নিচ্ছে না।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো.
এ সময় শিক্ষার্থী রাইসুল আহমেদ বলেন, “আমাদের এক দফা দাবি ছিল, বহিরাগত সভাপতির অপসারণ। আমরা চাই, বিভাগ থেকেই বিভাগের সভাপতি করতে হবে। গতকাল প্রশাসনের সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু তারা বহিরাগত চেয়ারম্যানকে বহাল রাখতে চায়। এজন্য গতকাল থেকে আমরা অনশনে বসেছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের কয়েকজন অনশনরত অবস্থা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাকে অপসারণ করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।”
২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী জান্নাত জামান বলেন, “আমরা গতকাল প্রশাসনের সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কোনো আশ্বাস দেয়নি, আরো সময় চেয়েছেন। তারা আমাদের বলেছে বর্তমান সভাপতি সঙ্গে নিগোশিয়েট করে তাকে মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু আমরা তাকে চাই না। যেহেতু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না, তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত অনশন চলবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “একটা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব সব বিভাগ যেন ভালোভাবে চলে, সেটা দেখা। সেটার জন্য আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা সমাধান বের করার চেষ্টা করছি। একটা সমাধান বের হবে দ্রুতই। এখন এই কাজগুলো করতে গেলে যে সময়টুকু লাগে, সেটা তো আমাদের দিতে হবে।”
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে এক আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। তবে কোনো রকম আশ্বাস না পাওয়ায় তারা আমরণ অনশনে বসেছেন বলে জানিয়েছেন তারা। প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের রাইসুল মাহমুদ।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অনশন মন ব জ ঞ ন ব ভ গ র শ ক ষ বর ষ র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তরা ইপিজেডের ৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
বন্ধ ঘোষিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্ট লিমিটেড এবং মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড।
কারখানা কর্তৃপক্ষের জারি করা নোটিশে জানানো হয়েছে, গত শনিবার কিছু শ্রমিক কারখানার কাজে যোগ না দিয়ে প্রধান ফটকের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে তারা অন্যান্য শ্রমিকদেরও সঙ্গে একত্রিত করে বেআইনিভাবে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করেন।
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তাদের যেকোনো দাবি-দাওয়া আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে এবং দ্রুত কাজে যোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু, শ্রমিকরা নির্দেশনা অমান্য করে কাজে যোগদান থেকে বিরত থাকেন। রবিবার একইভাবে কাজ বন্ধ রাখায় কারখানার উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শ্রমিকদের এই আচরণ বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘটের অন্তর্ভুক্ত। শ্রমিকদের বাধা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করা কর্তৃপক্ষের পক্ষে আর সম্ভব নয়।
শ্রমিকদের জোরপূর্বক উৎপাদন বন্ধ রাখা, বেআইনি ধর্মঘট এবং কারখানার অস্থিতিশীল পরিবেশ বিবেচনা করে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী রবিবার থেকে ৪টি কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তীতে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে নোটিশের মাধ্যমে পুনরায় কারখানা খোলার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে, এই ঘোষণা কারখানার নিরাপত্তা শাখা ও জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য নয় বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/সিথুন/রাজীব