রাজশাহীতে নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক কারাগারে
Published: 27th, October 2025 GMT
রাজশাহীতে এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
ওই চিকিৎসকের নাম আহসান হাবিব (২৯)। তার বাড়ি নওগাঁ। তবে, রাজশাহীতেই থাকেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় অবস্থিত আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জিডি করলেন টুকু
গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
আহসান হাবিব ওই প্রতিষ্ঠানের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ভুক্তভোগী (২৫) অন্য একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত। বিয়ের প্রলোভনে আহসান হাবিব তাকে আল-আরাফাহ ক্লিনিকে নিজের চেম্বারে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
মামলার এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রায় দুই বছর আগে ভুক্তভোগী ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। সে সময় ফেসবুকের মাধ্যমে আহসান হাবিবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর বিয়ের প্রলোভনে ঢাকার চাকরি ছাড়িয়ে ভুক্তভোগীকে রাজশাহী আনেন অভিযুক্ত। রাজশাহী আসার পর দুজন ভাড়া বাসায় একসঙ্গে থাকলেও ভুক্তভোগীকে বিয়ে করনেনি অভিযুক্ত। সর্বশেষ ক্লিনিকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আহসান হাবিব।
এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর নগরীর রাজপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী। রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাজপাড়া থানার পরিদর্শক আব্দুল আলিম বলেন, ‘‘ঘটনার পর ভুক্তভোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা ও শারীরিক পরীক্ষা শেষে তিনি মামলা করেন। রবিবার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’’
এ বিষয়ে আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। মামলায় ঘটনাস্থল হিসেবে আমাদের ক্লিনিকের নাম আছে বলে জেনেছি। এরপরই ডা.
ঢাকা/কেয়া/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম মল আহস ন হ ব ব
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, বাস চালিয়ে ছিনতাইকারীকে নিয়ে থানায় চালক
চলন্ত বাসে মুঠোফোন ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়েন যাত্রী বেশে ওঠা এক ছিনতাইকারী। এরপর নেমে যেতে চেষ্টা করেন তিনি, ছুরিকাঘাত করেন চালকের সহকারীকে। তবে তাঁকেসহ চালক বাস চালিয়ে নিয়ে যান নিকটবর্তী থানায়। সেখানে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
চট্টগ্রাম নগরের কাস্টমস মোড় এলাকায় গতকাল রোববার দিবাগদ রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীর নাম আকবর হোসেন (২৪)। এ ঘটনায় আকবরের তিন সহযোগী বাসের জানালা দিয়ে পালিয়ে যান।
ঘটনার শিকার বাসযাত্রী আরিফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সিটি সার্ভিসের একটি বাসে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এরপর নিজ আসনে বসে কানে হেডফোন দিয়ে মুঠোফোনে ইউটিউব দেখছিলেন। একপর্যায়ে তাঁর পাশে যাত্রী বেশে দাঁড়িয়ে থাকা একজন তাঁর মুঠোফোনটি নিয়ে নেন। এরপর বাসের দরজা বন্ধ করে সব যাত্রীর মুঠোফোন যাচাই করতে বলা হলে অভিযুক্ত আকবর মুঠোফোনটি এক যাত্রীর কাছে ফেলে নেমে যেতে চান। বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আকবর ছুরি বের করে চালকের সহকারীকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় চলন্ত অবস্থায় তাঁর তিন সহযোগী জানালা দিয়ে পালিয়ে যান। এরপরও বাস থামাননি চালক। তিনি বাস চালিয়ে বন্দর থানায় নিয়ে যান।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক বাকি তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।