বন্দরে পুলিশের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ নারীসহ ৪ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় স্থানীয় এলাকাবাসী আহত পুলিশ সদস্য জনী (৩৫)কে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।  বর্তমানে সে বন্দর থানার মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৩০) একই এলাকার মৃত মনির হোসেনের মেয়ে ও রবিউল ইসলামের স্ত্রী লেডি সন্ত্রাসী মুন্নি আক্তার (২৭) সোনাকান্দা বেপারীপাড়া এলাকার নুরুল আমিন মিয়ার মেয়ে  ফারজানা আক্তার (২৫) ও একই এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে ও সোহেল মিয়ার স্ত্রী সুমা (২২)।

এ ব্যাপারে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি উপ-পরিদর্শক সৈয়দ জাকির হোসেন  বাদী হয়ে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারকৃত ৪ হামলাকারিসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও  আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সংশ্লিষ্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার (১৬ অক্টোবর)  রাত ১০টায় বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।

থানার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  রোববার রাতে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় মাদক উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা কালে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরাসহ অজ্ঞাত নামা মাদক কারবারিরা পুলিশের উপর লক্ষ করে অতর্কিত হামলা চালায়।  ওই সময় হামলাকারিরা পুলিশ সদস্য জনীক বেদম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতরা মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।  তারা দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় অবাধে মাদক বিক্রি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।

এর ধারাবাহিকতা গত ১৫ অক্টোবর   রাত ৮টায় বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে শওকত  মিয়া কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বন্দর থানাধীন দড়ি সোনাকান্দা বেপারীপাড়া সাকিনস্থ ধৃত লেডী সন্ত্রাসী  মুন্নী বেগমের মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র বিবাদী মুন্নীসহ অন্যান্য বিবাদীগন পথ গতিরোধ
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শওকতের নিকট  ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।

আমি বিবাদীদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বিবাদীগন আমাকে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়।  

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সন ত র স ন র য়ণগঞ জ গ র প ত রক ত সন ত র স এল ক র র উপর

এছাড়াও পড়ুন:

যে সরকার মামলা প্রত্যাহার করেছে, তাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছি, এটা অবিশ্বাস্য: আদালতে শওকত মাহমুদ

সরকার উৎখাতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রিমান্ড শুনানিতে আদালতকে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে হওয়া ৭০ মামলার ৬০টি প্রত্যাহার করা হয়েছে। যে সরকার (অন্তবর্তী সরকার) আমাদের মামলা প্রত্যাহার করেছে, তাকে উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্র করেছি? এটা আমার জন্য অবিশ্বাস্য মনে হয়।’

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আক্তার আন্নার আদালতে বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদন শুনানির সময় তিনি এই কথা বলেন।

গত ২০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয় এবং তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৭ ডিসেম্বর এই মামলায় শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ রিমান্ড শুনানির জন্য শওকত মাহমুদকে আদালতে এনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাজতখানায় রাখা হয়। দেড় ঘণ্টা পর তাঁকে সিএমএম আদালতে ওঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে নেওয়া হচ্ছে শওকত মাহমুদ। ১১ ডিসেম্বর

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে সরকার মামলা প্রত্যাহার করেছে, তাকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছি, এটা অবিশ্বাস্য: আদালতে শওকত মাহমুদ
  • শওকত মাহমুদ ৫ দিনের রিমান্ডে