পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার সোনাপাতিলা সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ছয় বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সোনাপাতিলা ক্যাম্পের সদস্যদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানের সময় মাদক চোরাচালানিরা পালিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:
মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাদক কারবারির বাড়িতে আগুন
দুর্গাপুরে ২৬৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় কার্যালয়ের পরিদর্শক এএসএম মঈনউদ্দীন কবির বলেন, ‘‘অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে আটোয়ারী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পঞ্চগড় জেলা কার্যালয় থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাপাতিলা সীমান্ত এলাকার পশ্চিমপাড়া গ্রামের কুদ্দুসের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে বাড়ির পূর্ব পাশের খড়ির ঘরে মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি এবং ছয় বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা/নাঈম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র দ রব য ন উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
তানজিমের আক্ষেপ, ‘যদি একজন ব্যাটসম্যানও দাঁড়িয়ে যেত’
তানজিম হাসানের কণ্ঠে আফসোস, ‘ম্যাচটা যদি শেষ করে আসতে পারতাম...’। বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম ছেড়ে যাওয়ার সময় এমন একটা আক্ষেপ হয়তো বাংলাদেশের সব সমর্থকদের ভেতরেই—কোনো একজন ব্যাটসম্যান যদি ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারতেন! ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও যে শেষ দুই ওভারে জয়ের সমীকরণটা নেমে এসেছিল ৩০ রানে।
চট্টগ্রামে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যা খুব কঠিন কাজও ছিল না। কিন্তু তখন হাতে উইকেট ছিল আর একটি। তবুও সম্ভাবনাটা ছিল শেষ পর্যন্ত। তাসকিন আহমেদের হিট আউট হওয়া বলটাও তো রশির ওপর দিয়ে চলে গিয়েছিল সীমানার ওপারে। তিনি আউট না হলে সমীকরণটা নেমে আসত ২ বলে ১১ রানে। কে জানে, তখন কী হতো!
বাংলাদেশের জন্য কাজটা আসলে কঠিন করে দিয়ে গিয়েছিলেন ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানরা। সেটি ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন তানজিম হাসানও, ‘আপনি যদি দেখেন, শেষের দিকে শিশির থাতায় বল অনেক সহজে ব্যাটে আসছিল। আমার কাছে মনে হয়, যদি একটা সেট ব্যাটসম্যান থাকত, তাহলে খেলাটা সহজ হয়ে যেত। কারণ, শেষ দুই ওভারে ৩০ রান লাগত, একটা ব্যাটসম্যান থাকলে সব সময় এই ম্যাচ হাতের মধ্যে থাকে।’
বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা এত দূর নিয়ে এসেছে আসলে তানজিম হাসানের সঙ্গে নাসুম আহমেদের জুটি। সপ্তম উইকেট জুটিতে ২৩ বলে দুজন মিলে করেছেন ৪০ রান। তবে ম্যাচটা কাছাকাছি আনার তৃপ্তি নয়, ২৭ বলে ৩৩ রান করা তানজিমের কণ্ঠে শোনা গেল না জেতাতে পারার আফসোস। কাল তিনি বলেছেন, ‘আসলে শেষ করতে পারলে খুব ভালো লাগত। কারণ, আমি পুরো সেট ছিলাম, বল অনেক ভালো ব্যাটে লাগছিল। নাসুম ভাইও আমাকে ভালো সাপোর্ট দিচ্ছিলেন, বাউন্ডারি মারছিলেন। মনে হচ্ছিল আমি একটা ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ব্যাটিং করছি।’