যবিপ্রবি প্রক্টর ওঠা মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 27th, October 2025 GMT
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের শিক্ষক।
এসব সংবাদকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি সংঘাত, ক্ষতিপূরণ পাবে সিটি
রাবি উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন স্থগিত, শাটডাউন বহাল
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে (গ্রামের কাগজ, দৈনিক জনকণ্ঠ) প্রকাশিত সংবাদে অধ্যাপক ড.
কর্মসূচিতে বক্তারা একযোগে অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নানা এসব অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং তা যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে খণ্ডন করেন। এসব অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে তারা জানান, একজন সম্মানিত শিক্ষকের মানহানি করার অপচেষ্টা।
পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ঐত্রী বলেন, “স্যারের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত আক্রোশ ও প্রতিহিংসার ফল। স্যার সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি টানা ৯ বছর সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ৫ বছর পূর্ণ হলেই অধ্যাপক পদে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়।”
তিনি আরো বলেন, “চাকরিরত অবস্থায় পিএইচডি সম্পন্ন করা কোনো নিয়মবহির্ভূত কাজ নয়। দেশের নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো চাকরিজীবী পিএইচডি করতে পারেন। স্যার সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই তার গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। আর যারা বলছেন স্যারের পিএইচডিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব নেই, তারা প্রকৃতপক্ষে অজ্ঞ। স্যার ফ্রান্সের বিখ্যাত ‘ইউনিভার্সিটি ডি মন্টপেলিয়ার’ থেকে পিএইচডি করেছেন, যা প্রায় ৮০০ বছরের পুরোনো একটি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়।”
ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন এবং পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরীন নিগার বলেন, “কিছু পত্রিকায় স্যারকে নিয়ে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিবাদে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী বলা নৈতিক নয়। এটি শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এইচড কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
বাউফলে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ভূমিহীনদের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ, প্রতিবাদে মানববন্ধন
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চর ঈশানে ভূমিহীনদের নামে সরকারি বন্দোবস্তের প্রায় ৫০০ একর জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে আজ শনিবার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের তালতলি বাজার এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অভিযুক্ত মাসুম বিল্লাহ বাউফল পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ২০ অক্টোবর রাতে কিছু লোক খননযন্ত্র দিয়ে তাঁদের জমির মাটি কাটতে শুরু করে। খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে গেলে ৩০-৪০ জন অস্ত্রধারী তাঁদের তাড়িয়ে দেন। মাটি খননকারীরা বলেন, মাসুম বিল্লাহর নির্দেশে তাঁরা মাটি কাটছেন। পরদিন তাঁরা মাটি কাটতে নিষেধ করলেও তারা শোনেনি। বুধবার সকালে স্থানীয় ভূমিহীন কৃষকেরা ঐক্যবদ্ধভাবে গিয়ে ১৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চর ঈশানের প্রায় পাঁচ শ একর জমি ১৪১ জন ভূমিহীনের মধ্যে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে তাঁরা সেখানে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু তিন-চার মাস ধরে মাসুম বিল্লাহর নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি ওই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কৃষক মো. মোসারেফ হোসেন বলেন, চর ঈশানের পাঁচ একর জমি তিনি বন্দোবস্ত পেয়ে চাষাবাদ করে আসছেন। সম্প্রতি সেই জমি ভূমিদস্যুদের নজরে পড়েছে। তাঁরা জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন।
মোসা. কহিনুর বেগম (৬০) নামের এক নারী বলেন, তাঁদের থাকার ভিটেমাটি পর্যন্ত নেই। এ কারণে তাঁর ও তাঁর স্বামী সুলতান হাওলাদারের নামে সরকার ২০০১ সালে চর ঈশানের একটি জমি বন্দোবস্ত দেয়। সরকারিভাবে সেই জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পর থেকে তাঁরা চাষাবাদ করে আসছেন। সেই জমি দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা মাসুম বিল্লাহ বলেন, তিনি বা তাঁর কোনো লোক চর ঈশানের জমি দখল করতে যাননি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ২২ অক্টোবর দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে এক পক্ষের হাতে আটক ব্যক্তিদের নিয়ে আসে। লিখিত কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, যেসব ভূমিহীনের নামে জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে, অবশ্যই তাঁরা তাঁদের জমি ভোগদখল করবেন।