ভারতে টেস্ট সিরিজে ফিরছেন অধিনায়ক বাভুমা, আছেন ব্রেভিসও
Published: 27th, October 2025 GMT
ভারতের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনজুরির কারণে পাকিস্তান সিরিজ মিস করা নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ফিরছেন দলে। টেস্টে ফেরার আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের হয়ে খেলবেন।
বাভুমার ফেরায় জায়গা হারিয়েছেন ডেভিড বেডিংহাম। একইভাবে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন প্রেনেলান সুব্রায়েন।
আরো পড়ুন:
শেষ ৩ ওভারে ৫১ রান, পরাজয়ের কারণে বললেন লিটন
সন্ধ্যায় উইন্ডিজের ঝড়, রাতে বাংলাদেশের ‘নিরামিষ’ ব্যাটিংয়ে হার
সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বছরই তারা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। আর পাকিস্তানের মাটিতে ১৯৯৭ সালের পর প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে এখনো কোনো টেস্ট না হারা বাভুমার নেতৃত্বে ভারত সফর নিয়েও আশাবাদী প্রোটিয়ারা। বিশেষ করে গত দুই সফরে বড় পরাজয়ের পর এবার ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা।
যুবা তারকা ব্রেভিস পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেও স্কোয়াডে রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কারণ প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তার করা অর্ধশতক দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তরুণ ব্যাটার রায়ান রিকেলটন, টনি ডি জরজি ও ট্রিস্টান স্টাবসও ঘূর্ণিপিচে ব্যাট হাতে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। ভারতের মতো চ্যালেঞ্জিং সফরের আগে এদের পারফরম্যান্স প্রোটিয়াদের ব্যাটিং অর্ডারে স্থিতি এনে দিয়েছে।
বোলিং আক্রমণে আগের মতোই শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। পেস বিভাগে আছেন কাগিসো রাবাদা, মার্কো জানসেন ও করবিন বশ। স্পিন বিভাগেও অভিজ্ঞতা ও বৈচিত্র্যের মিশেল- কেশব মহারাজ, সেনুরান মুথুসামি ও সাইমন হার্মার পাকিস্তান সিরিজে ভালো করেছিলেন। ভারতেও তাদের ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ।
দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ১৪ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। আর দ্বিতীয়টি অনুষ্ঠিত হবে গৌহাটিতে।
ভারত সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দল:
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, রায়ান রিকেলটন, কাইল ভেরেইনি, ডিওয়াল্ড ব্রেভিস, জুবায়ের হামজা, টনি ডি জরজি, ট্রিস্টান স্টাবস, করবিন বশ, উইয়ান মুলডার, মার্কো জানসেন, কাগিসো রাবাদা, কেশব মহারাজ, সেনুরান মুথুসামি ও সাইমন হার্মার।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ণিল আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন
‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে র্যালি, চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সোমবার সকালে শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় ও ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এরপর শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম ২০২৫’ শীর্ষক একটি চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর সেই পদক্ষেপের ফলেই আজ আমরা এখানে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি। গত এক বছরে আমাদের অর্জন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে ভালো জানেন। আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখন শিক্ষার্থীসংশ্লিষ্ট বাজেট ছিল খুবই সীমিত। এখন আমরা সেই বাজেট উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে পেরেছি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা একাডেমিক মানোন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাব। নিয়মিত ক্লাস মনিটরিং–ব্যবস্থা চালু থাকবে ও ফলাফল প্রকাশে যেন কোনো বিলম্ব না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের গবেষণায় শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহকারী হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে, যাতে তারা হাতে-কলমে গবেষণার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।’
‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়