বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারিতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
Published: 27th, October 2025 GMT
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় চীন সব সময় পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবনে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, আসন্ন নির্বাচন, চীন–বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এবি পার্টির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসরীন সুলতানা এবং দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মজিবুর রহমান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে বিস্তারিত আলোচনা শেষ হয়েছে এবং এখন সিদ্ধান্ত সরকারের হাতে। গণভোট ও নির্বাচন বিষয়ে শিগগিরই ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছাড়া দেশের স্থিতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তিনি ফেব্রুয়ারিতে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা প্রকাশ করেন। বৈঠকে দূতাবাসের রাজনৈতিক পরিচালক ঝাং জিং ও কর্মকর্তা লিউ হংরু উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ণিল আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন
‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে র্যালি, চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সোমবার সকালে শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় ও ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এরপর শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে ‘বার্ষিক শিল্পকর্ম ২০২৫’ শীর্ষক একটি চারুকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর সেই পদক্ষেপের ফলেই আজ আমরা এখানে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছি। গত এক বছরে আমাদের অর্জন সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে ভালো জানেন। আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখন শিক্ষার্থীসংশ্লিষ্ট বাজেট ছিল খুবই সীমিত। এখন আমরা সেই বাজেট উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে পেরেছি।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা একাডেমিক মানোন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাব। নিয়মিত ক্লাস মনিটরিং–ব্যবস্থা চালু থাকবে ও ফলাফল প্রকাশে যেন কোনো বিলম্ব না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের গবেষণায় শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহকারী হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে, যাতে তারা হাতে-কলমে গবেষণার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।’
‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান, স্বপ্ন জয়ে অটল প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়