হাসপাতালে শয্যাশায়ী অসুস্থ বাবাকে দেখার জন্য ছেলে ইমরান মুন্না ছুটে আসেন আরব আমিরাতের দুবাই থেকে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে নেমে বাড়ির উদ্দেশে ওঠেন সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। অটোরিকশাটি পতেঙ্গা উড়াল সড়কে ওঠার পর অস্ত্রের মুখে মুন্না ও তাঁর এক আত্মীয়কে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল এই ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে, তবে অপহরণকারী ব্যক্তিদের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সুলতান মোহাম্মদ আহসান উদ্দিন রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল পতেঙ্গা হলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় উদ্ধার হন। সেখানে মামলা করার কথা বললে অপহরণের শিকার ইমরান রাজি হননি, তবে তাঁকে বুঝিয়ে মামলা করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর ইসলাম রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ইমরান মুন্নার গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী নজুমিয়াহাট এলাকায়। বিমানবন্দরে নেমে তিনি গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। সঙ্গে ছিলেন সুলাইমান নামের তাঁর এক আত্মীয়। তাঁদের বহনকারী অটোরিকশা শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়াল সড়কে ওঠার পর একটি প্রাইভেট কার এসে গতি রোধ করে। এরপর দেশি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাঁদের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো এলাকার একটি পরিত্যক্ত কটন মিলের ভেতরে নিয়ে যায়।

অপহরণের বিষয়টি গোপনসূত্রে জানতে পারে পতেঙ্গা থানা–পুলিশ। পরে বায়েজিদসহ বিভিন্ন থানায় বিষয়টি জানায় তারা। এরপর খবর পেয়ে বায়েজিদ থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দূর থেকে দেখে অপহরণকারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। উদ্ধার করা হয় প্রবাসী মুন্নাকে। পরে তাঁর আত্মীয় সুলাইমানকেও পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় প্রবাসীর লাগেজও।
অভিযানে থাকা বায়েজিদ বোস্তামী থানার এসআই মোহাম্মদ মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, দুই ভুক্তভোগী ও অটোরিকশাচালকের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত থানায় বোঝানো হয়। কিন্তু তাঁরা কিছুতে মামলা করতে রাজি হচ্ছেন না।

প্রবাসী ইমরান মুন্নার মুঠোফোনে রাতে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উদ ধ র প রব স ইমর ন

এছাড়াও পড়ুন:

বংশালে ভবনের সিঁড়িতে তরুণের লাশ

রাজধানীর বংশালের আগামসি লেনের একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে মো. সজীব (১৯) নামের এক তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ আসা কলের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। সজীবের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক বলেন, আগামসি লেনের ভবনটির চতুর্থ তলার সিঁড়িতে সজীবের লাশ পাওয়া যায়। তাঁর গলায় জিআই তার প্যাঁচানো ছিল। লাশটি উপুড় হয়ে পড়ে ছিল।

বংশাল থানার পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ।

নিহত তরুণের চাচাতো ভাই শাহরিয়ার বলেন, বিকেলে সজীবকে তাঁর প্রেমিকা ফোন করে বাসায় ডেকে নেন। পরে মেয়েটির স্বজনেরা সজীবকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করেন।

পুলিশ বলছে, তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, মেয়েটির সঙ্গে সজীবের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দুই পরিবারের কেউই সম্পর্কটি মেনে নিচ্ছিলেন না।

এসআই দুলাল হক বলেন, লাশটি উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সজীবের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

স্বজনের তথ্যমতে, সজীব বংশাল এলাকার আগামসি লেনের বাসিন্দা তাজউদ্দিনের ছেলে। এবার এইচএসসিতে অকৃতকার্য হন সজীব। তিনি বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মোহেববুল্লাহ নিজেই অপহরণ-নাটক সাজান: পুলিশ
  • টঙ্গীর খতিব মোহেববুল্লাহ শিকল লাগিয়ে নিজেই অপহরণের নাটক সাজান: পুলিশ
  • যাত্রাবাড়ীতে ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ এক ব্যক্তির মৃত্যু
  • রূপগঞ্জে শিক্ষার্থীকে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে চোখ উপড়ে হত্যা চেষ্টা
  • বরিশালে গৃহবধূকে অপহরণ করে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
  • বংশালে ভবনের সিঁড়িতে তরুণের লাশ
  • বংশালে তরুণের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
  • ২০২৫ সালের সেরা ১০ সিনেমা কোনগুলো
  • রংপুর চিড়িয়াখানার ট্রেনের চাপায় শিশুর মৃত্যু