তৃতীয় প্রান্তিকে রবির কর–পরবর্তী মুনাফা ২৪২ কোটি টাকা
Published: 28th, October 2025 GMT
২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রবি আজিয়াটা পিএলসি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে রবির মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১১ দশমিক ৪০ কোটি টাকা। আগের প্রান্তিকের তুলনায় ১ দশমিক ৭ শতাংশ কম। যদিও ২০২৪ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় মোট আয় বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ২৪২ দশমিক ৩০ কোটি টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) অর্জন করেছে রবি আজিয়াটা। খবর বিজ্ঞপ্তি
আর্থিক প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জিয়াদ সাতারা বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকায় রবির দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফল তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়ে ভালো ছিল। এ ছাড়া দীর্ঘায়িত বর্ষাকাল গ্রাহকদের টেলিকম সেবা গ্রহণে খরচে প্রভাব ফেলেছে। ব্যয় ব্যবস্থাপনা কর্মসূচিতে বেশ ভালো অগ্রগতি হয়েছে। কোম্পানির টেকসই প্রবৃদ্ধিতে এর ভূমিকা আছে। এ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট এবং ভবিষ্যতের গতিপথ নিয়েও আত্মবিশ্বাসী।’
২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে রবির আয়কর, অবচয় ও অবচয়ন বাদে মুনাফা (ইবিআইটিডিএ) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৩ দশমিক ১ কোটি টাকা, ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ। আগের প্রান্তিকের তুলনায় এই মুনাফা ৪ শতাংশ কমেছে। গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকের কর-পরবর্তী মুনাফায় (পিএটি) আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে রবি।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে রবি সরকারের কোষাগারে ১ হাজার ৩৮২ দশমিক ৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। এটি তাদের ওই প্রান্তিকের মোট আয়ের ৫৫ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির মূলধনি বিনিয়োগ ছিল ৩১৪ দশমিক ৯ কোটি টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে শূন্য দশমিক ৪৬ টাকা। আগের প্রান্তিকের তুলনায় ইপিএস কমেছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। যদিও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২৮ দশশিক ৪ শতাংশ।
এ বছর তৃতীয় প্রান্তিক শেষে রবির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ, আগের প্রান্তিকের তুলনায় ১ লাখ বেশি। এই প্রান্তিকে ডেটা গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে ৭ লাখ। মোট ডেটা গ্রাহকের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ কোটি ৪৮ লাখে। একই সঙ্গে ১১ লাখ নতুন ফোর–জি গ্রাহক যুক্ত হওয়ায় মোট ফোর–জি গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ।
তৃতীয় প্রান্তিক শেষে রবির মোট গ্রাহকের ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ ছিলেন ডেটা গ্রাহক ও ৬৯ শতাংশ ছিলেন ফোর–জি গ্রাহক। এ হার দেশের টেলিকম কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এই প্রান্তিক শেষে রবির ফোর–জি সাইটের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮ হাজার ৫০০। এর মাধ্যমে ৯৮ দশশিক ৯৮ শতাংশ মানুষ ফোর–জি সেবার আওতায় এসেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র ত ত য় প র ন ত ক ১ দশম ক গ র হক
এছাড়াও পড়ুন:
২৮ অক্টোবর উপলক্ষ্যে না’গঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের আলোচনা সভা ও দোয়া
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল আমিন বলেছেন, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামী আপোষহীন। যার প্রমাণ ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর। সেদিন সারাদেশে জামায়াতের কর্মীরা জীবন উৎসর্গ করেছে ইসলামী আন্দোলন ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য। আমাদের শহীদের শুধু জামায়াতের কাছে নয় পুরো জাতির কাছে প্রেরণার বাতিঘর।
তিনি ২৮ অক্টোবর মঙলবার সকাল ৭ টায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে ফেডারেশনের জেলার কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার তাণ্ডবে শাহাদাত বরণকারী শহীদ রুহুল আমিন ও শহীদ হাবিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো রিদওয়ানুল আজীম এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা মজলিসে শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মজিবুর রহমান মিয়াজী ।
নুরুল আমিন বলেন, সেই সময় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের কি পরিকল্পনা ছিল তা পরবর্তী ১৭ বছরে জাতি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছে। তারা বাংলাদেশকে ভারতের একটি তাবেদার রাজ্য পরিণত করার জন্য সেদিন এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অত্যন্ত প্রহরী জামায়াতে ইসলামী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর চূড়ান্ত আঘাত করেছিল। তারা চেয়েছিল এদেশের মাটি থেকে ইসলামী আন্দোলন ও তার নেতৃত্বকে মুছে ফেলার।
তার প্রথম পরিকল্পনা হিসাবে তারা সেই সময় ২৮ অক্টোবরকে বেছে নিয়েছে। তারা সারাদেশে লগি বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শহীদ মুজাহিদ, মাসুম, জসিম, হাবিবুরসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আমাদের অফিসগুলো জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
একই সাথে বহু মানুষের ঘরবাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে। পুরো বিশ্ব সেদিন হতবাক হয়ে গিয়েছিল। রাজনীতির নামে এ কোন ধরনের জ্বালাও পোড়াও নীতি। আসলে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতার মসনদ দখল করা। তারা ভারতের প্রেসক্রিপশনে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিলিয়ে দিয়ে দেশ ও জাতির উপর অসভ্য ও বর্বর আঘাত হেনেছে।
তিনি আরো বলেন, সেদিন জামায়াতের কর্মীরা জীবন বাজি রেখে নেতৃবৃন্দকে রক্ষা করেছে। ফলে তাদের একটি বড়ো পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যায়। জামায়াতের দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব থাকতে এদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য পরিণত করা যাবে না এই বিশ্বাস তাদের ছিল। পরবর্তীতে ভারতের অন্য একটি প্রেসক্রিপশনে তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের নামে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে।
নেতৃবৃন্দ জীবন দিয়েছেন কিন্তু আপোষ করেননি। তাদের সেই আত্মত্যাগের ফসল জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আজকে দেশের মানুষ জানে কাদের কাছে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ। আজকে জামায়াতের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তার পেছনে ২৮ অক্টোবরের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
সভাপতির বক্তব্য আবদুল মান্নান বলেন, এদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমিকদের অবদান কখনো সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। অথচ প্রতিটি আন্দোলনেই সফলতার পেছনে শ্রমিকদের অবদান অতুলনীয়।
২৮ অক্টোবরে ঢাকার পল্টনে শ্রমিক নেতা হাবিবুর রহমান ও গাজীপুরে শ্রমিক কল্যাণের তৎকালীন জেলা সভাপতি রুহুল আমিনের শাহাদাত আন্দোলন সংগ্রামে শ্রমিকদের ত্যাগ তিতিক্ষার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা মনে করি আমাদের ভাইদের আত্মত্যাগ বিফলে যায়নি। তাদের রক্তের উপরে এদেশে ইসলাম বিজয়ী হবে ইনশাল্লাহ।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো হুমায়ুন কবীর, ফতুল্লা দক্ষিণ থানা সভাপতি আজিজ উদ্দিন বাবুল, ও সাইনবোর্ড ওয়ার্ডের সভাপতি মো সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।