নেতাকর্মীদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি : সাখাওয়াত
Published: 28th, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আমাদের নেতা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বার্তা নিয়ে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি।
তারেক রহমানের বার্তা হল আমরা যারা বিএনপি করি যুবদল করি ছাত্রদলসহ বিএনপির অন্যান্য সংগঠন ও বিএনপি’র সমর্থকদের প্রতিবার্তা আমরা যেন সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি।
আমরা যেন সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে আমরা ধানের শীষের পক্ষে থাকি বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে থাকি তারেক রহমানের পক্ষে থাকি।
আজকে এই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র ঐ সময় সফল হবে যদি আমাদের মধ্যে ঐক্য না থাকে। সুতরাং আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে আগামী নির্বাচনে বিজয় হতে পারব ইনশাল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা অন্তর্গত ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে মদনগঞ্জ বটতলা মাঠে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বন্দর হলো নারায়ণগঞ্জের অন্যতম একটি প্রাণকেন্দ্র। এই বন্দরের মদনগঞ্জের মানুষ শান্তিপ্রিয়। গত ১৬ বছর এই শান্তি প্রিয় মানুষদেরকে ওই আওয়ামী ফ্যাসিসরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত করেছিল।
সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের দোসরাই এ এলাকার মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে অন্যায় আচারন ও জুলুম করেছিল। আপনারা দেখেছেন বিগত ১৬ টি বছর কিন্তু আপনারা ভোট দিতে পারেন নাই। আমরা বলতে চাই আমরা যেন তাদের মত না হই। আমরা এই বন্দরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
কোন সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজকে আমরা প্রশ্রয় দিতে চাই না। আমরা সবাই মিলেমিশে বন্দর ওনারায়ণগঞ্জকে একটি সুন্দর আধুনিক শহর হিসাবে গড়ে তুলতে চাই। এ নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন আগামীতে বিএনপির দ্বারা আরো প্রসারিত হবে ইনশাল্লাহ।
মহানগর ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো.
আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, মহানগর ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র মাসুদুর রহমানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পলু, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাজাদা আলম রতনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন র ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে হাদি হামলায় মহাসড়ক অবরোধ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। এরপর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটক সংলগ্ন খুলনা–কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও হাদির সুস্থতা কামনায় দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এবং আইইউসানস-এর নেতাকর্মীসহ দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘হাদির ওপর হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’, ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’, ‘জুলাই যোদ্ধা আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘বিপ্লবীরা আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
সমাবেশে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, “আজ সারা দেশে জুলাই নেমে এসেছে। জুলাই যোদ্ধা হাদির ওপর হামলা হয়েছে। এটা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র। জুলাইয়ের পর দেশে সামগ্রিক পরিবর্তন চাওয়াতে এই হামলা। এই ষড়যন্ত্র মানুষ মেনে নেবে না। কখনো জুলাই বানচাল করা যাবে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা।”
আইইউসানসের সাবেক সভাপতি সাজ্জাতুল্লাহ শেখ বলেন, “সন্ত্রাসীরা এই হামলার হুমকি অনেক দিন ধরে দিচ্ছিলেন। কিন্তু, আজ সরকারের ব্যর্থতায় হামলা হয়েছে। হাদির রক্ত বারুদ হয়ে গোটা বাংলায় ছড়িয়ে যাবে। দেশ নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। গোটা দেশের ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে। আওয়ামী লীগ চায় না নির্বাচন হোক। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ছাড়ব।”
ইবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুফ আলী বলেন, “একটি গ্রুপ জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশে জুলাই নিয়ে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এক দল সুশীল জুলাই ও একাত্তরকে মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে। আজ জুলাইয়ের জনগণ জেগে উঠেছে। আমরা আর কোনো ছাড় দিতে রাজি নই। যেখানে জুলাইয়ের ওপর হামলা সেখানেই আমরা প্রতিবাদ করবো। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু লোক ষড়যন্ত্র করছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করা হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জুলাইয়ের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করব।”
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ বলেন, “এই হামলা শুধু এক ব্যক্তির ওপর হামলা নয়। এটা সমগ্র জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা। সন্ত্রাসী হামলা করে আন্দোলন নিস্তব্ধ করা যায় না। ওসমান হাদি শুধু একজন ব্যক্তি নয়, তিনি সমাজের ন্যায়, অধিকার ও স্বাধীনতার কথা বলে। একটা মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস. এম. সুইট বলেন, “আজ ইবিতে আরেকটি জুলাই নেমে এসেছে। সকল দল-মত জুলাইয়ের স্পিরিট ধরে রেখে নেমে এসেছে। হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্নভাবে নিলে ভুল হবে। এই হামলা ইন্টেরিম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামে এক জুলাই যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে, ব্যারিস্টার ফুয়াদের ওপর হামলা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র করছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। আপনারা আর কোনো ষড়যন্ত্রের সাহস দেখাবেন না। ছাত্র-জনতা রুখে দেবে। আজ হাদিকে হত্যার জন্য হামলা করা হয়েছে। এক হাদি মারা গেলে লক্ষ হাদি জন্ম নেবে।”
ঢাকা/তানভীর/জান্নাত