তেল চুরি বন্ধে জ্বালানি বিভাগের ৩ নির্দেশনা
Published: 28th, October 2025 GMT
সরকারি খাতে জ্বালানি তেল চুরি, তেলে ভেজাল মেশানো নিয়ে টানা কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। এ নিয়ে জ্বালানি বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) গঠিত একাধিক তদন্ত কমিটি কাজ করছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) অনুসন্ধান করছে। এর মধ্যেই জ্বালানি তেল খাতের অনিয়ম রোধে তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
জ্বালানি তেল আমদানির একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিপিসি। এর অধীনে তিন সরকারি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা বাজারে তেল বিক্রি করে। এ চারটি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়ে গত ২৬ অক্টোবর একটি আদেশ জারি করেছে জ্বালানি বিভাগ। এতে বলা হয়, বিপিসির অধীন বিপণন কোম্পানিগুলোর স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনার মধ্যে আছে, প্রধান স্থাপনা এবং ডিপোতে যথাসম্ভব স্থায়ী মিটার রিডার ও গেজার দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। অস্থায়ী দক্ষ কর্মচারীকে মিটার রিডার বা গেজার হিসেবে কাজ করালে একই পয়েন্টে এক মাসের বেশি সময় নিয়োজিত রাখা যাবে না। এক মাস পর তাঁকে ডিপোর অন্যত্র কাজে নিয়োজিত করতে হবে। অস্থায়ী দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিক কে, কোথায়, কত দিন কাজ করছেন; তার একটি রেজিস্ট্রার ডিপো ইনচার্জ সংরক্ষণ করবেন। এসব নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে নিজ নিজ স্থাপনা ও ডিপো ইনচার্জ ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আদেশে।
আরও পড়ুনতেল চুরি শুরু জাহাজ থেকে, বিজ্ঞান জানে চোরেরা২০ অক্টোবর ২০২৫কিছু সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তিন কোম্পানিকে চিঠি দিয়েছে বিপিসি। এতে বলা হয়, ট্যাংকলরির হালনাগাদ সক্ষমতা প্রতিবেদন দেখে তেল দিতে হবে। ভেজাল রোধে আধুনিক ল্যাব স্থাপন করতে হবে। অবৈধ উৎস থেকে তেল সংগ্রহ ও বিক্রি বন্ধে ডিপো থেকে ফিলিং স্টেশনের তেল নেওয়ার তথ্য নিয়মিত নজরদারি করতে হবে। জ্বালানি তেলের অনিয়ম, ভেজাল ও চুরি বন্ধে চট্টগ্রামের প্রধান স্থাপনাসহ সব ডিপোর কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় আনতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত সরকারের সময় জ্বালানি তেলের সব কটি ডিপো স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় আনার উদ্যোগ নিয়েছিল বিপিসি। দরপত্র আহ্বান করা হলেও পরে সেটি থেমে যায়। এখন নতুন করে ধাপে ধাপে বিভিন্ন ডিপো স্বয়ংক্রিয় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিপিসি।
আরও পড়ুন‘তেল চুরি’, ব্রাজিল বাড়ি ও তাঁদের আয়েশি জীবন১৮ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এমবিবিএস-বিডিএসের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ জানাল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর
দেশের সরকারি-বেসরকারি এমবিবিএস-বিডিএসের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কবে তা জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামীকাল রোববার ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব না হলে সোমবারের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা চলছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফল তৈরির কাজ চলছে। তারিখ বলা কঠিন। সঠিকভাবে তারিখ বলতে পারছি না। আগামীকাল রোববার কি ফলাফল প্রকাশ হবে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশের জন্য চেষ্টা চলছে। রোববার না দিতে পারলে সোমবার দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। যেহেতু সোমবারের পরদিন মঙ্গলবার ছুটির দিন (শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস), তাই সোমবারের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর ২০২৫) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন ফলাফলের অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টা থেকে দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। পরীক্ষার সময় গত বছরের তুলনায় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।
এ বছর লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নে (এইচএসসি বা সমমানের সিলেবাস অনুযায়ী) পরীক্ষা হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্ন ১ নম্বর করে মোট ১০০ (একশত) নম্বরের বিষয়ভিত্তিক বিভাজন হলো যথাক্রমে জীববিজ্ঞান-৩০, রসায়ন-২৫, পদার্থ বিজ্ঞান-১৫, ইংরেজি-১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়ন-১৫। পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ নম্বর। পরীক্ষার সময় গত বছরের তুলনায় ১৫ মিনিট বাড়িয়ে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট করা হয়েছে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে। পাস মার্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ নম্বর।
আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষা-২০২৬ নিয়ে নতুন নির্দেশনা শিক্ষা বোর্ডের৪ ঘণ্টা আগেমেধাতালিকা নির্ধারণ কীভাবে—
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হবে।
(ক) এসএসসির জিপিএর-৮ গুণ = ৪০।
(খ) এইচএসসির জিপিএর ১২ গুণ = ৬০।
লিখিত পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এই দুইয়ের যোগফলেই মেধাতালিকা চূড়ান্ত হবে।
*২০২৪ সালের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মোট নম্বর থেকে ৩ নম্বর এবং গত শিক্ষাবর্ষে কোনো সরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৫ নম্বর কেটে মেধাতালিকা করা হবে।
আরও পড়ুনগুচ্ছের ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, ছবি ও সেলফির ক্ষেত্রে নির্দেশনা১ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি যার মধ্যে এমবিবিএস ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫টি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৪০৬টি। যার মধ্যে এমবিবিএস ৬ হাজার ১ এবং বিডিএস এক হাজার ৪০৫টি। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১টি। যার মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১১ হাজার ১০১ এবং বিডিএস কোর্স এক ৯৫০টি আসন। ১৩ হাজার ৫১ টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন।
আরও পড়ুনস্কুলে ভর্তির লটারি: নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি ৩ ধাপে, যেভাবে হবে৮ ঘণ্টা আগে